সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বার্ষিক মেধাবৃত্তি, এস.এস.সি ও দাখিল পরীক্ষায় ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫২৯ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বার্ষিক মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ শনিবার দুপুওে বাঞ্ছারামপুর সদরে ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম এমপি।

কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মিজানুর করিম, সহ-সভাপতি ও সাবেক যুগ্ম
সচিব আমিরুল করিম মাওলা, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ সেলিম রেজা, কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সমিতির উপদেষ্টা সামেনা বেগম, অধ্যক্ষ আবুল খায়ের দুলাল,মোঃ নুরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ বাবু, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম,

অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম,সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুল, আব্দুল হক, নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ, মাসুদ করিম সাজু,এ.কে.এম সহিদুল হক বাবুল, আব্দুল আহাদ খোকন, জাকারিয়া খোকন, খলিলুর রহমান টিপু,কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, তফাজ্জল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, আলী রেজা রাব্বী,মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, সৈয়দ মোঃ আজিজ, মোঃ জুয়েল আহম্মেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘‘তোমরা যারা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছো, তোমরা নিজ প্রতিভার যোগ্যতায় আজকে মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা পুরষ্কার পাচ্ছো। আমি চাই তোমাদের এই মেধার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনে দেশ-জাতির কল্যাণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তিনি অভিভাক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাক এবং শিক্ষকদের প্রভাব অপরীসিম।

একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মেধাবিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাকদের মধ্যে দৃঢ় পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা একান্ত আবশ্যক।’’
###

জন শিক্ষার্থীর মাঝে মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান

সুমন আহম্মেদঃ
২১ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বেলা ১১:০০টায় বিশ্ব নদী দিবস ২০১৯” উপলক্ষে “বিশ্ব নদী দিবসের অঙ্গিকার, রুখে দাও খাল-নদী দূষণকারী-দখলদার” এই দাবিতে নোঙর (নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ সড়কে এক ‘মানববন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে সকল নদ-নদীর শেকড় হচ্ছে খাল-বিল, জলাশয়, হাওর-বাওর। জেলার খালগুলো ছিল মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, ছিল প্রাণবন্ত। কিন্তু এখন এ খালগুলোর অধিকাংশেরই মরণদশা। এসব খাল ভরাট করে অবৈধভাবে দোকানপাট, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। আবর্জনায় পরিপূর্ণ কোনো কোনো খাল বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এসব খালের পানি নিষ্কাশন ক্ষমতাও হারিয়ে যাচ্ছে। বারবার অভিযান চালিয়েও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সফল হতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

কঠিন বর্জ্যে ভরে আছে তিতাস নদীসহ জেলার বিভিন্ন খালগুলো। নির্গমণ পথ না থাকায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জমি অধিগ্রহণের কথা বহু বছর ধরে শোনা যাচ্ছে। তিতাস নদী খনন কাজ শুরু হলেও তা গতিহীন হয়ে পড়েছে।

সরকারের পাশাপাশি আমাদের জনগণ, রাজনৈতিকনতৃবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, তরুণ সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।তাহলেই আমাদের খাল-নদী বাঁচবে, নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ।

উক্ত মানববন্ধনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক সাংবাদিক মনির হোসেন, পিস ভিশন বাংলাদেশ সভাপতি এড. শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার বাবু কিংকর ঘোষ, নোঙর সদস্য নারী নেত্রী খালেদা মুন্নি, অংকুর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী রিপন, নোঙর সদস্য ফেবিন রহমান, নোঙর সদস্য সঙ্গীত শিল্পী সোহেল রানা,

শান্তা ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন নোঙর সদস্য মিজানুর রহমান, কামাল উদ্দিন, শিপন কর্মকার, তোফাজ্জল হোসেন জীবন, দৈনিক ভোরের দর্পণ ও বিজয় টিভি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি খায়রুল কবীর, নাফিজ আহমেদ সেলিম, পিস ভিশন বাংলাদেশ সম্পাদক শরীফ আহমদ খান, ইবনে মনির হোসেন, মনির হোসেন, আবদুল হাকিম প্রমূখ। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নোঙর জেলা আহবায়ক শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন নোঙর সদস্য সোহেল আহাদ।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোঙরের বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
বণাজি গাছের ঝোঁপঝাঁড়। সামান্য দূরত্বে কাঠ ও ফলের গাছ। বাড়ির ওঠানে কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলছে ক্যাবল (লোহা ও তামার)। এসবের মাঝখান দিয়েই সরাইল পিডিবি টেনে দিয়েছেন মোটা সার্ভিস সিঙ্গেল (এক তারের) ক্যাবল। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই ক্যাবল থেকেই শতাধিক গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সরাইল উপজেলার পল্লী একা চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর এলাকায় দেয়া হয়েছে এ সংযোগ।

প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে তিন তারে লাইন দিতে ৪ খুঁটির জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন বিল বিতরণকারী মো. কিবরিয়া। তার সাথে রয়েছেন হানিফ নামের আরেক কর্মকর্তা। দরদামে মিলেনি। তাই ভুগান্তিতে পড়েছে ঘাগড়াজোর গ্রামের শতাধিক গ্রাহক। অস্থায়ী কর্মচারি কিবরিয়া গত ২-৩ বছর আগে চুক্তির ভিত্তিতে চুন্টা বাজারে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিটার বাইপাস সংযোগ দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন।

পরে আবার যাদু মন্ত্র দিয়ে কিভাবে বেঁচেও গেলেন। সরজমিনে ঘাগড়াজোর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রায় আধা কিলোমিটারেরও অধিক জায়গার শতাধিক গ্রাহক ছটফট করছেন। মাটিতে পড়ে রয়েছে ডিশ লাইনের ক্যাবলের বান্ডিল। ওই এলাকার বিদ্যুতের পুরাতন ৪-৫টি খুঁটি তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন পিডিবি’র লোকজন। গ্রামের আরেক অংশে বসানো হয়েছে নতুন পুরাতন খুঁটি। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির (৫০),

আজিজুর রহমান (৫৩) ও হাবিবুর রহমান (৭২) জানান, ১০-১২ বছর আগে তারা প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৪/৫টি খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছিলেন। হঠাৎ করে গত ২-৩ মাস আগ থেকে সেখানকার পুরাতন খুঁটি গুলো তুলে নিতে থাকে পিডিবি। লোকজন বাঁধা দেয়। পিডিবি থামেনি। আস্তে আস্তে সেখানকার ৪টি খুঁটিই পিডিবি উঠিয়ে নিয়ে আসে। একাধারে ৩ দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকে ওই গ্রামের লোকজন। মসজিদের মুসল্লি, রোগী ও শিশুরা প্রচন্ড কষ্ট করে। ফ্রিজের কাঁচা মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। গরুর খামারিরা পড়ে বিপাকে। গ্রামবাসী বিষয়টি মিডিয়ার লোকজনকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে অবহিত করেন। ওইদিন সন্ধ্যার সময় তড়িঘড়ি করে পিডিডি’র লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতেই ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছেন।

যেকোন সময় ওই সংযোগে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গ্রামবাসী। সিঙ্গেল ক্যাবল ছিদ্র হয়ে গাছ টিনের চাল ও ওঠানের কাপড় শুকানোর তারেও বিদ্যুৎ এসে যেতে পারে। আব্দুল হান্নান (৩৮) নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গ্রামের এই অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৪ খুঁটির জন্য কিবরিয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলেছি। এতে রাজি হয়নি। টাকা একটু বেশী পেয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করে গ্রামের আরেক অংশে খুঁটি বসানোর কাজ করছেন।

আমাদের পুরাতন খুঁটি গুলোও সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে ৪-৫ দিন অন্ধকারে রেখেছেন। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ কাজের সাথে লাইনম্যান-বি মো. আব্দুস সবুর ও লাইনের কাজের সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়াও এ কাজের সাথে জড়িত। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) নওয়াজ আহমেদ খান বলেন, এ লাইনের কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খুঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

###

সরাইল ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ ৪ খুঁটির মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা

সুমন আহম্মেদঃ
নৌকাযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেরার পথে তিতাস নদীতে একদল দৃর্বৃত্তের হানায় জেলার বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৫ জন রক্তাক্ত আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের তিতাস নদী এলাকায় দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।

হামলায় আহতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনি, চরইসলামপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তফসিরুল ইসলাম, নৌকার মাঝি একই ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলী (৪০) ও উলফত আলীর ছেলে রহমত উল্লাহ (২০)। আহতরা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলার শিকার বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আগামিকাল শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে তারা কয়েকজন একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে শহরের দিকে ফিরছিলেন। তাদেরকে বহনকারি নৌকাটি কাশিনগর গ্রামের তিতাস নদীতে আসার পরপরই একদল দুর্বৃত্ত অন্য একটি নৌকা তাদের নৌকার উপর আড়াআড়িভাবে তুলে দেয়। এসময় কোন কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার মাঝিদের পেটাতে থাকে। এসময় এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঠিপেটা করে দুর্বৃত্তরা। তবে এসময় অন্ধকার থাকায় তারা হামলাকারিদের চিনতে পারেননি।

তিনি জানান, এ ঘটনার পর আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
###

আ’লীগ নেতার নৌকায় দুর্র্বৃত্তদের হামলায় আহত ৫

ফেসবুকে আমরা..