Botvনিউজ:

পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে , মোকতাদির চৌধুরী এমপি ।

আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গিকার নিয়ে পৌর এলাকার পুনিয়াউটে প্রতিষ্ঠিত অংকুর-অন্বেষা বিদ্যাপীট (স্কুল এন্ড কলেজ) এ গতকাল মঙ্গলবার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও মাউশির অবসরপ্রাপ্ত ডিজি প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম.বিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হানিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গবেষক মুহম্মদ মুসা, সমবায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী আফজাল হোসেন নিসার, সদর বিআরডিবির চেয়ারম্যান এম.এ.এইচ মাহবুব আলম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসর মঞ্জুরা বেগম।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মোকতাদির-ফাহিমা কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত অংকুর-অšে¦ষা বিদ্যাপীট ইতিমধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন ধারার, ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার।

শিক্ষার উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রতিযোগীতাময় বিশ্বে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন উপস্থিত ছিলেন।

অংকুর-অন্বেষা বিদ্যাপীটের ইফতার মাহফিলে মোকতাদির চৌধুরী এমপি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মার্কেটে চুরির ঘটনায় আটক রাসেল মিয়া-(১৯) নামে এক নৈশ প্রহরী থানা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ রাসেলকে নির্যাতন করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার রাতে সদর মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত রাসেল পৌর শহরের মধ্যপাড়া এলাকার শান্তিবাগের আলকাছ মিয়ার ছেলে ও শহরের সিটি সেন্টারে অবস্থিত শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের নৈশ প্রহরী।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে আহত রাসেলের গ্রাম মধ্যপাড়াবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার ভোর রাতে শহরের ‘সিটি সেন্টারে অবস্থিত ‘স্বপ্নলোক ফ্যাশন হাউজে’ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ওই দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বিকেলে চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিটি সেন্টারের নৈশ প্রহরী, চুরি হওয়া দোকানের কর্মচারী ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের নৈশ প্রহরী রাসেলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশের দাবি ইফতারের পর পর সদর থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ভবনের ছাদে ওঠে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য লাফিয়ে পড়ে মারাত্মক আহত হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাসেলকে সিটি সেন্টারে স্থাপিত একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। সেখানে দেখা যায় রাসেল রাতের বেলা একটি পুটলি নিয়ে দৌড়াচ্ছে। এই ফুটেজ দেখার পর পরই রাসেল পালিয়ে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে গিয়ে লাফিয়ে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। বর্তমানে তার চিকিৎসার খরচও বহন করছি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) রেজাউল কবীর বলেন, চুরির ঘটনার রাসেলসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। ইফতারের সময় থানা ভবনের দোতালায় রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাসেলকে সিটি সেন্টারে স্থাপিত একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। সেখানে দেখা যায় রাসেল একটি পুটলি নিয়ে দৌড়াচ্ছে। এই ফুটেজ দেখার পর পরই রাসেল পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে ওঠে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এদিকে রাসেলকে পুলিশ মারধোর করে থানা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন রাসেলের আত্মীয়রা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে রাসেলের আত্মীয় স্বজনসহ মধ্যপাড়ার কয়েকশত লোক অংশ নেন।
মানববন্ধনে রাসেলের মা-আমেনা বেগম, ভাই রুবেল মিয়াসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার ভোর রাতে সিটি সেন্টারের স্বপ্নলোক ফ্যাশন হাউজে চুরির ঘটনায় সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রাসেলকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে থানা হেফাজতে নিয়ে তাকে বেদম মারধোর করে।

নির্যাতনের এক পর্যায়ে পুলিশ থানা ভবন থেকে তাকে ফেলে দেয়। এতে রাসেল মারাত্মক আহত হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিওতে নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।

রাসেলের মামা খবির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাসেলকে ডেকে থানায় নিয়ে গিয়ে থানা ভবনের ছাদে নিয়ে গিয়ে বেধরক পেটানো হয়। এক পর্যায়ে বাঁচতে রাসেল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। মানববন্ধনে বক্তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
###

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থানার ছাদ থেকে পড়ে নৈশ প্রহরি আহত ॥

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারতীয় স্টিল পাইপ পরিবহন শুরু হয়েছে।  বুধবার সকালে পাঁচটি ট্যাংক লরিতে করে ১৬২ টন স্টিল পাইপ আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের পৌঁছে অনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গেছে।

আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টিল পাইপ বহনের জন্য বাংলাদেশের বিআইডব্লিউটিএ ২৫ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত অনুমতি নেয় ভারত।

গত ২৫ এপ্রিল ভারতের কলকাতার হলুদিয়া নৌবন্দর থেকে এমভি মহাদেব নামে একটি ভারতীয় জাহাজ এক হাজার ৭৩১ টন স্টিলের পাইপ নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে। গত ৬ মে দিনগত মধ্যরাতে জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের জলসীমানার মেঘনা নদীর মাঝখানে নোঙ্গর করে। গত ২১ মে এমভি মহাদেব নামে জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে ভিড়ে।

গত মঙ্গলবার জাহাজ থেকে স্টিলের পাইপ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নামামো শুরু হয়।  বুধবার সকালে নৌ-বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঁচটি ট্যাংক লরিতে করে ১৬২ টন স্টিল পাইপ সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকাল বিকেলে স্টিল পাইপ আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা গেছে।

গালফ ওরিয়েন সিওয়েজ শিপিং এজেন্টের নৌপথে এই স্টিলের পাইপ পরিবহনের দায়িত্ব¡ পান। জানা গেছে, ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তির ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় জলপথ ও স্থলপথ ব্যবহার করে স্টিলের পাইপ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নেয়া শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিএ এর আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩১ টন স্টিল পরিবহনে বাংলাদেশ প্রতিটনে ভয়েজ পারমিশন চার্জ, পাইলট অবস্থান চার্জ, ল্যান্ডিং চার্জ, চ্যানেল ফি ও নরাপত্তা ফিসহ প্রতি টনে ১৯২ টাকা করে পাবে।

পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, পুরো চালানটি ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠাতে অন্তত ২০/২৫দিন সময় লাগবে।
##

আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে ১৬২ মেট্রিকটন স্টিল পাইপ

ফেসবুকে আমরা..