ফাহিম মুনতাসির:

গতকাল বিকালে আল্লামা জুবায়ের আহমেদ আনসারী মারা গেছেন।এই ব্যক্তির পরিচয় আশা করি সবার জানা।সে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়,সমস্ত বাংলাদেশের একজন নামকরা বক্তা।কাল থেকে আচ করতে পারছিলাম যে,আগামীকাল বড়সড় একটা জমায়েত হতে যাচ্ছে।তাই হলো!
এখন অনেকে হুজুরকে গালি দিচ্ছে তোহ আবার অনেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে।এখন এটা কি হুজুরের দোষ যে তার জানাজায় মানুষের জমায়েত হয়েছে নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দোষ যে এমন একজন আলেম ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে জন্ম নিয়েছে?

 

ফেসবুকে ঢুকলে গালাগালি চলছে,গ্রুপে গালিগালাজ চলতেছে,বুঝে না বুঝে গালি দিচ্ছে। মেইন টপিক একটাই “ব্রাহ্মণবাড়িয়া”।
এখন আসি আসল কথায়,আল্লামার জানাযায় শুধুমাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলার যেমনঃ নরসিংদী,হবিগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ,সিলেট ইত্যাদি থেকে মানুষ এসেছে।তারা যে এসেছে এটা ও কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দোষ? নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ বাসা থেকে তাদের নিয়ে এসেছে?

এখন আসি ঝগড়া ঝাটির ব্যাপারে।গত দু-তিন সপ্তাহ ধরেই খবরের কাগজ,টিভির হেডলাইন,ফেসবুক সবকিছুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিউজ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ঝগড়াটে, বর্বর,অশিক্ষিত ইত্যাদি ইত্যাদি।তোহ কথা হচ্ছে ঝগড়া কোন জায়গায় না হয়? কোন এমন ফেরেশতাদের জায়গা আছে বাংলাদেশে যেখানে ঝগড়া হয় না? ঠিকানা দিন,সেখানে চলে যাব সারাজীবনের জন্য।
হ্যা,প্রশ্ন করতে পারেন এই সময়টাতে ঝগড়া করা কি ঠিক? অবশ্যই না।কিন্তু তাই বলে এভাবে সবাই মিলে এক জায়গার পিছনে লেগে পড়লেন ঝগড়ার বিষয় কেন্দ্র করে? বাহ! বাঙালি আর কিছুতে একতা দেখাতে পারুক আর না পারুক, অন্যের সম্মানহানিতে একতার দেখা মিলবেই।
আর কিছু ফেসবুক রিনাউনেড পার্সন আছেন, যারা এখন হাসিতামাশা করে যাচ্ছেন এই জেলা নিয়ে।তারা মনে হয় বছরখানেক আগে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে ঘুরে গিয়েছেন।ঘুরে যাওয়ার পর তাদের বিশাল বিশাল স্ট্যাটাস দেখেছিলাম আমার জেলার ভূয়সীপ্রশংসায়।কিন্তু এখন দেখছি তারা মুখোশওয়ালা।তারাই এখন ট্রল করে বেড়াচ্ছে,মজা নিচ্ছে।বারোবাতারি হওয়ার একটা লিমিট আছে রে ভাই!
অশিক্ষিত,বর্বর,আদিমযুগ এর তকমা ঝুলিয়ে দিচ্ছে নামের পাশে।তোহ ভাই এত শিক্ষিত হয়ে লাভ কি? সেই তোহ ঘুরেফিরে ৬০০০টাকার বালিশ কিনবে আর ৫০০০ ক্যারিং খরচ নিবে সরকার থেকে।

যাজ্ঞে, আমার জেলার একটা নয়, হাজারখানেক দোষ।কিন্তু বাংলার কোন জায়গার মানুষই ধোয়া তুলসি পাতা না।যারা ট্রল না করে, খবরের কাগজ আসলেই ঘাটাঘাটি করে তাদের আসলে বোঝার কথা। আর বাকি অবুঝদের,বোঝানোর ঠ্যাকা আমি নেই নাই।

আর নিজ জেলার কিছু আল্ট্রা মডার্ণ, খ্যাতদের বলতে চাই।তোমরা যারা অপরের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের জেলার বদনাম করে যাচ্ছো,, তাদের প্রোফাইলে আমি এখনো (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওষুধের মূল্য হ্রাসের) গর্বিত স্ট্যাটাস খুজে পাচ্ছি। তোহ তোরা এমন বারোবাতারি কেন?

বাংলাদেশ এখন বাংলাদেশের জন্য রিস্ক।মিলাদ,ওয়াজ সবজায়গায় হয়েছিল,হচ্ছে।চাল চুরি,তেল চুরি সব জায়গায় হচ্ছে।ঝগড়া-বিবাদ সব জায়গায় হয়(কোথাও কম,কোথাও বেশি)।কোন এলাকার মানুষই লকডাউন মানছে না।অপরের দোষ না খুজে ঘরে থাকি,ভালো থাকি ❤

আর যদি ট্রল করে,পরের সম্মানহানি করে ভালো থাকা যায় তাহলে তোমরা দীর্ঘজীবী হও ❤

আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।


আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে গোটা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায়ও একটি সুখবর রয়েছে। আর তা হলো নাসিরনগর জুড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন চলছে ধান কেটে তা ঘরে তুরার পালা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জাপানের অত্যাধুনিক ধান কাটা মেশিন কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নাসিরনগর সদরের কামারগাঁও এলাকায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার দ্বারা ধান কাটা কর্মসূচির ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান,এসিআই মটরস লিমিটেডের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার আবদুল্লাহ তালুকদারসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। কামারগাও এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের যন্ত্র প্রদর্শনীতে কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে উপস্থিত অতিথি ও কৃষকদের দেখান।

সিলেট অঞ্চলের এসিআই মটরস লিমিটেডের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার আবদুল্লাহ তালুকদার জানান; এ মেশিনে ধান কাটা,খর কাটা ও মাড়াই সুবিধা-তিন ধরনের সুবিধা একসাথে পাবে কৃষকরা। এর ফলে কৃষকরা স্বল্প সময়ে কম খরচে তাদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। জাপানের তৈরি অত্যাধুনিক এই ধান কাটা মেশিনটি গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। চাষীদের সময়,অর্থ সাশ্রয় ও শারীরিক কষ্ট লাঘব হবে এ মেশিনটি ব্যবহারের মাধ্যমে। এই মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ খরচ খরচ কমানো যায়।এই তিন ধরনের কাজ শ্রমিক দিয়ে করাতে হলে চাষীর খরচ পড়ত দ্বিগুণ।

নাসিরনগরে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন

সোহেল আহাদ/নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব বিখ্যাত বরেণ্য ইসলামী চিন্তবিদ ও আলোচক আল্লামা হযরত মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইন ও লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাখো মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার (১৮এপ্রিল) সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজায় অংশ নেয়া লোকদের লোকারণ্যে মাদরাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ ছিল এক প্রকার নীরব দর্শক।
সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে জানায় শরীক হন। এতো লোকের সমাগম হবে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না। তবে বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান বলে তিনি জানান।

যুবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।

যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

 

বিশ্বজিৎ পাল বাবু :

দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের স্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র মা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক (৮৬) শনিবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাতেই তাঁর
লাশ দাফনের কথা রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই
আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। মন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলাম মারাগেছেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখেগেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারানা তিনি।  ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আনিসুল হকে বাবা।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৮ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন

নজরুল ইসলাম তোফা:
অর্থ বা সম্পদ মানব জীবনের জন্যে অপরিহার্য হলেও অর্থ কিংবা সম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহার নাহলে তা যেন ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে নেমে আসে অকল্যাণ। জানা কথা হলো, সুশীল সমাজ গঠনে প্রয়াসী মানুষ ব্যক্তি ও সমাজজীবনের বৃহত্তর কল্যাণ ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার করার জন্যই গড়ে তুলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রীয় অনুশাসন এবং অনুকরণীয় ন্যায়-নীতি’। কিন্তু সমাজ জীবনে এমন কিছু লোক থাকে যারা এসব অনুশাসন কিংবা ন্যায়নীতি মান্য করেনা। তারা অন্যকে উৎপীড়ন করে, অন্যের অধিকারেও যেন তারাই অন্যায় হস্তক্ষেপ করে, তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে যেন সামাজিক শৃঙ্খলাকে নস্যাৎ করে, সামাজিক স্বার্থ বিরোধী অন্যায় কিংবা অবৈধ কর্মতৎপরতায় লিপ্ত হয়। এরাই সমাজের চোখে অন্যায়কারী ও আইনের চোখেও অপরাধী বলেই বিবেচিত হয়। এদের অপরাধ অবশ্যই দণ্ডনীয়। সুতরাং, বিবেকবান মানুষকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই বিবেক বান মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার চেতনাতেই নানা বাঁধার সম্মুখীন করে থাকে, ‘নীতিকথা’ যদি তুলেই ধরি তাহলে বিবেকবান মানুষ হিসেবে অন্যায়কে দিনের পর দিন সহ্য করা ঠিক নয়। আবার বলা যায় যে, এমন অন্যায় সহ্যকারীরাও ঠিক সরাসরি অন্যায় না করলেও অন্যায়কে সহযোগিতা এবং সমর্থন করা কোনো ভাবেই ঠিক হবেনা। কিন্তু দেশের যা পরিস্থিতি কি করবে তারা, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই সমাজের ভালো মানুষ প্রতিবাদ করতে যে ভয় পায়। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, প্রতিবাদ করলে ভালো মানুষেরা ঠিক ফেঁসে যায়। বস্তুত অন্যায় প্রবণ মানুষদের সংখ্যা কম হলেও সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদে যেন বিপদ-ঝুঁকি নীরবেই সহ্য করে থাকে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এখন আতঙ্কিত বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব। এই চরম ক্রান্তিকালে এইদেশে হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যের জন্য হাত পাতছে তাদেরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে। থমকে গেছে তাদের  অর্থনৈতিক কাজ-কর্ম, থমকে গেছে জীবনযাত্রা। এখন  চারিদিকে শুধুমাত্র মৃত্যুর মিছিল ও নিত্যদিনেই অসহায় মানুষের খাদ্য সংগ্রহের নানা দুঃসংবাদ। এ “বাংলাদেশে অদৃশ্য করোনাভাইরাস” যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেইটাকেই সামাল দিতে পৃথিবীর উন্নত ও মহাশক্তিধর দেশগুলোও হাবুডুবু খাচ্ছে। স্বভাবতই এমন প্রভাবের বাইরে থাকতে পারছে না বাংলাদেশও। ক্রমাগতই বাড়ছে যে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে বেকারত্ব কিংবা মানুষের ক্ষুধা। মুখ থুবড়ে পড়েছে এইদেশের অর্থনীতি।
এরি মধ্যে সরকার বিরোধী একটি চক্র না কি হতদরিদ্র মানুষকে উসকে দিয়ে এই সরকারকে বিপাকে ফেলছে।
সরকার গরিব-অসহায় মানুষদের জন্যে সাহায্যে দিচ্ছে না তা নয়। কিন্তু শোনাও যাচ্ছে, এক শ্রেণীর মানুষ তারা এ সংকট মুহূর্তে অসৎ উপায়েই গরীব-অসহায়দের নাম ভাঙিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে। বর্তমানের এই সরকার গরীব- অসহায়দের নানা ভাবে খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করা সত্ত্বেও সরকারের জনপ্রতিনিধিরাই যে চাল সহ অন্যান্য কিছু চুরি করছে। কি নিষ্ঠুর এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। শুনাও যাচ্ছে, এই গরিব অসহায় মানুষরা খাদ্যের জন্যে প্রতিবাদ করলে সে সকল প্রতিনিধিরা তাদের মারছে ও মানসিক আঘাত করছে। সরকারের উচিত হবে খুবদ্রুত তাদেরকে চরম শাস্তি দেওয়া। তারা এই দেশের সাধারণ মানুষদের ভোটে- কখনই নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না। এ সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও খুব দ্রুত  এগিয়ে আসা উচিত। এখনই সময় মানবতা প্রদর্শনের।
সুতরাং যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে খুব শক্ত হয়ে। হতদরিদ্র মানুষের নিত্যদিনের জন্যে সাধারণ খাবারের অধিকার রয়েছে। আমাদের ভাবনায়  শুরুর মাত্র একমাস না যেতেই ক্ষুধার নতুন রাজ্যে যেন প্রবেশ করছে মানুষ। আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশটার কোনো মানুষ না খেয়ে না মরে সেই লক্ষে সর্ব প্রথম এই সরকারকেই ভাবতে হবে। সম্মিলিত ভাবেই চেষ্টা করতে হবে, যাঁরা পারবে তাঁরাও গরিব অসহায় মানুষের জন্যে  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। অসহায় মানুষের ইচ্ছা এবং সামর্থ থাকলেও এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য-ঝুকির কারনে সবার দরজায় গিয়ে সাহায্য চাওয়া বেশ কঠিন। তাই অনলাইনেও তো পারি মিলিত হয়ে সাহায্য করতে। আপনার অংশগ্রহণ যত সামান্যই হোক না কেন বিশ্বাস নিয়েই পাঠানো চেষ্টা করা উচিত। অন্তত একটি ঠিকানা আছে এখানে দেওয়া যেতেই পারে। যোগাযোগ ঠিকানা –simullovetv24@gmail.com আর তাঁদের, Bkash – 01794178063
বর্তমান সরকার সকল সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের একদিনের বেতনটা কেটে নিয়ে হতদরিদ্র মানুষদের সাহায্যের জন্যে একটি মহৎ কাজ করছে। কিন্তু সকল শ্রেণী পেশার মানুষের এ সরকার সাহায্যের জন্য কোনো আবেদন করতে পারছে না। তাই উচিত হবে, সকল পেশার সামর্থযোগ্য মানুষের এই দেশের গরিব অসহায় মানুষদের জন্য সাহায্য করা। পরিশেষে আবারও বলতেই হচ্ছে অন্যায় স্বার্থ হাসিলের জন্য অর্থকে কোনো মহল বা শ্রেণীর অসৎ মানুষ টোপ হিসেবে কাজে লাগায়। এরাই হীন চরিত্রে মানুষ, সম্পদ হোক বা খাদ্য কিংবা অর্থই হোক লোভের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। ঠিক এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তা ঘটছে। এদের ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা, নীতি-আদর্শটা লোপ পায়। সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও সীমাহীন দুর্নীতি  করার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হলেই যেন উদগ্র অর্থলালসা এবং  অসহায় গরিবদের দেওয়া সামান্য খাদ্যদ্রব্য গুলোকেও  হাত ছাড়া করতেই চায় না। অন্যায় পথে অর্জিত কোনো কিছুই সেই মানুষকে বিবেকহীন ও দাম্ভিক করে তোলে। এক শ্রেণীর মানুষ শুধুই সুযোগ খোঁজে কখন তার সময় আসে চুরি করার বা আত্মসাৎ করার উপযুক্ত সময়। এ ভাবেই সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে, ধনী-দারিদ্র্যের বৈষম্য। গরিব মানুষের খুব সাধারণ খাদ্য দ্রব্যটাকে যারা এমন দুর্দিনে চুরির ইচ্ছা পোষণ করে তারা এক কথায় বলতে গেলেই বলা যায় বিবেকহীন পশুরূপী শয়তান।
লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

সরকারের লকডাউনে জনপ্রতিনিধিরাই দরিদ্র মানুষের খাদ্য ভোগ করছে

ফেসবুকে আমরা..