botvনিউজ:
সরকার কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাশ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা প্রদান করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে কওমী ওলামা ঐক্য পরিষদ।
রোববার সকালে ‘অবহেলার দিনশেষ, কওমী শিক্ষার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কালিকচ্ছ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সকল কওমী মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই আনন্দ মিছিল করে।
মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে মাওলানা এরশাদুল হক কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জাহিদুল ইসলাম জাবেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী,
মাওলানা ইউসুফ আকরাম, হাফেজ মোঃ বশির উল্লাহ, হাফেজ আবু নাছার, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আরেজি, মাওলানা আলমগীর, মুফতি মাসুকুর রহমান কাসেমী, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মাওলানা বেলাল উদ্দিন, মাওলানা জসিম উদ্দিন আরেজি, মুফতি বশির আহমেদ ও মাওলানা মুফতি মারুফ খান জালালী প্রমুখ।
পথ সভায় বক্তারা বলেন, দেড়শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদরাসাই (দেওবন্দ মাদরাসা) প্রথম ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আসল হক ও দ্বীনের রাস্তা দেখিয়ে আসছে। কওমী মাদরাসা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা কোথায়? সেটা বাংলার মানুষ জানে। কোরআন হাদিস শিক্ষার এ মহান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহান জাতীয় সংসদে এই স্বীকৃতির বিল পাস করে কোরআন ও হাদিসের ইজ্জত দিয়েছেন। দাওরায়ে হাদিস উত্তীর্ণকে মাষ্টার্স পাসের স্বীকৃতি দিয়ে দেশের ৫০ লক্ষাধিক কওমী শিক্ষার্থীদের জীবনের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছেন। এ কাজটির জন্য শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে কিয়ামত পর্যন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। তাই আল্লামা আহমদ সুফির নির্দেশে রোববার সারা দেশে কওমী উলামা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
পথসভায় বক্তারা বলেন, জামায়াত শিবিরের সাথে এ দেশের কওমী মাদরাসার আলেম ও শিক্ষার্থীদের কোন সম্পর্ক অতীতেও ছিল না। বর্তমানেও নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না।
###