স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাহারাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার উপজেলার কে.এম. রুহুল রাব্বী-(৪৮)সহ তিন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে বাহারাইনের জাল্লাক মহাসড়কের বাহারাইন ইউনিভার্সিটির কাছে দুটি গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারান তারা।
কে.এম. রুহুল রাব্বী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মরহুম রকিব উদ্দিনের ছেলে। চলতি বছরের শেষ দিকে রাব্বীর দেশে ফেরার কথা ছিলো। নিহতের স্বজনরা দ্রুত তার লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাব্বীর মা- বাবা গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বী দ্বিতীয়। বিগত ২০১৭ সালে রাব্বী বাহারাইনে পাড়ি জমান। সেখানকার একটি কোম্পানীতে তিনি সুপারভাইজারের চাকুরী করতেন।
রাব্বীর ভাগ্নে আরাফাত হোসেন জানান, তার মামা ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তার কোন সন্তান ছিলনা। মামির সাথে মামার কোন সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিলনা। চলতি বছরের শেষ দিকে মামার দেশে ফেরার কথা ছিলো। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে মামা বাহারাইন যাওয়ার আগে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাহারাইনে যাওয়ার পর তিনি আর দেশে আসেন নি। স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে (রাব্বীর স্ত্রী) বনিবনা না হওয়ায় তাঁর সাথেও যোগাযোগ ছিলনা রাব্বীর।
তিনি বলেন, রোববার ভোর রাতে তার মেজো মামা মাসুদ খন্দকার ফোন করে তার মাকে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীর নিহত হওয়ার ঘটনাটি জানান। রাব্বী ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে সেখানকার সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীসহ তিনজন মারা যান। আরাফাত হোসেন তার মামা রাব্বীর লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ-উল আলম জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। লাশ আনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।