২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মাতা প্রতিমা চৌধুরী পরলোকগমন করেছেন।

গত শনিবার দুপুর পৌনে তিনটায় তিনি বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। শনিবার রাত ৯টায় মির্জাপুর গ্রামের পারিবারিক শ্বশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সাংবাদিক নেতা দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মাতার পরলোকগমন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাহারাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার উপজেলার কে.এম. রুহুল রাব্বী-(৪৮)সহ তিন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে বাহারাইনের জাল্লাক মহাসড়কের বাহারাইন ইউনিভার্সিটির কাছে দুটি গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারান তারা।

কে.এম. রুহুল রাব্বী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মরহুম রকিব উদ্দিনের ছেলে। চলতি বছরের শেষ দিকে রাব্বীর দেশে ফেরার কথা ছিলো। নিহতের স্বজনরা দ্রুত তার লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাব্বীর মা- বাবা গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বী দ্বিতীয়। বিগত ২০১৭ সালে রাব্বী বাহারাইনে পাড়ি জমান। সেখানকার একটি কোম্পানীতে তিনি সুপারভাইজারের চাকুরী করতেন।

রাব্বীর ভাগ্নে আরাফাত হোসেন জানান, তার মামা ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তার কোন সন্তান ছিলনা। মামির সাথে মামার কোন সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিলনা। চলতি বছরের শেষ দিকে মামার দেশে ফেরার কথা ছিলো। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে মামা বাহারাইন যাওয়ার আগে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাহারাইনে যাওয়ার পর তিনি আর দেশে আসেন নি। স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে (রাব্বীর স্ত্রী) বনিবনা না হওয়ায় তাঁর সাথেও যোগাযোগ ছিলনা রাব্বীর।

তিনি বলেন, রোববার ভোর রাতে তার মেজো মামা মাসুদ খন্দকার ফোন করে তার মাকে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীর নিহত হওয়ার ঘটনাটি জানান। রাব্বী ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে সেখানকার সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীসহ তিনজন মারা যান। আরাফাত হোসেন তার মামা রাব্বীর লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ-উল আলম জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। লাশ আনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।

বাহারাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বী নিহত, দ্রুত লাশ দেশে আনার দাবি স্বজনদের


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আকস্মিক ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মোজাম্মেল হক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোজাম্মেল হক বিটঘর বটতলা সুপার মার্কেটের মালিক ও বিটঘর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙ্গে যায়। ছিঁড়ে যায় বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার। ঝড়ে বিটঘর গ্রামে বটগাছের একটি ডাল ভেঙ্গে পড়লে তার নীচে চাপা পড়ে মোজাম্মেল হক নামে এক ব্যক্তি মারা যান।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক জানান, দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হঠাৎ ঝড় হয়। ঝড়ে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও কিছু গাছপালা ভেঙ্গে যায়। ঝড়ে বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘড় গ্রামে একটি বটগাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মোজাম্মেল হক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ঝড়ে নিহতের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

নবীনগরে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে বৃদ্ধ নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে গত ২১ দিনে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ৬২৭ যাত্রী। তাদের মধ্যে ৬১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৫ জন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ভারতের নাগরিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিয়ে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
সেই নির্দেশনা মোতাবেক গত ২১ দিনে ৬২৭জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গতকাল রোববার ২৭জন দেশে ফিরেছেন। ৬২৭ জনের মধ্যে ৬১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৫ জন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ভারতের নাগরিক।

মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, গত ২৬ এপ্রিল থেকে গতকাল রোববার (১৬ মে) পর্যন্ত এসব যাত্রীরা বাংলাদেশে আসেন। অপরদিকে এই সময়ে বাংলাদেশে আটকা পড়া ১৮৫ জন ভারতীয় পাসপোর্টধারী নাগরিকও তাদের নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

আখাউড়া স্থল বন্দর পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবদুল হামিদের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, গত শনিবার ১২ জন যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও ৯ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ফিরে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৭৩ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

এদিকে ভারত থেকে আসা একজন যাত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

২১ দিনে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ৬২৭ যাত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিশু শাহাব উদ্দিন। বয়স মাত্র ১২ বছর। যে বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই অভাব অনটনের কারনে জীবন-জীবিকার সংগ্রামে নেমে পড়ে সে। একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পুরাতন জিনিসপত্র কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মরহুম চামবিচা মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন। তিন বোন, চার ভাইয়ের মধ্যে শাহাব উদ্দিন চতুর্থ। তার বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ভাই মাঈনুদ্দিন-(১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তিনিও বিয়ে করে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। শাহাবউদ্দিনের ছোট এক ভাই প্রথম শ্রেনীতে পড়ে আরেক ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র ৬ বছর।

শাহাব উদ্দিনের বাবা মারা গেছেন বহু বছর আগে। বাবা মারা যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরেন শাহাব উদ্দিন। অভাব অনটনের কারনে দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর আর সে লেখাপড়া করেনি।

শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টায় ৩০ টাকা ভাড়ায় একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের আশপাশে পড়ে থাকা পুরানো জিনিসপত্র কুড়িয়ে এগুলো ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে। প্রতিদিন সংসারের খরচ মেটানোর জন্য বড় ভাই মাঈনুদ্দিনের কাছে ১০০ টাকা দেয়। বাকী টাকা পরিচিত একজনের কাছে জমা রাখে।

শাহাব উদ্দিন জানায়, রাস্তায় রাস্তায় পুরাতন জিনিসপত্র কুড়াতে ভালো লাগেনা। তাই একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক কেনার জন্য সে টাকা জমাচ্ছে। শাহাব উদ্দিন জানান একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক কিনতে ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। দুই বছরে সে ৭ হাজার টাকা জমিয়েছে। এভাবে টাকা জমিয়ে এ সময় সে একটি ইজিবাইক কিনবে এটাই তার স্বপ্ন।

একটি ইজিবাইক কেনার স্বপ্ন শিশু শাহাব উদ্দিনের


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৫২ জন ব্যক্তির মধ্যে ঈদ-উল ফিতরের দিন উন্নতমানের খাবার বিতরণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন।

ঈদ-উল ফিতরের দিন (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের টি.এ.রোডে অবস্থিত আশিক প্লাজা হোটেলের কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলাও, খাসির রেজালা, মোরগির রোষ্ট, ডিমের কোরমা, সেমাই ও কোমল পানীয়।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার মোঃ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্যসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য বিতরণকালে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫২ জন এসেছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হোটেল ও হাসপাতালের কোয়ারেইন্টানে রাখা হয়েছে। পরিবার পরিজন থেকে বিছিন্ন থাকা ব্যক্তিরা যাতে পবিত্র ঈদের দিনে একাকিত্ব ও অসহায়বোধ না করেন সে জন্য তাদের মধ্যে খাবার পরিবশেন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে দেশে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস যেনো না ছড়াতে পারে সেজন্য তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের খাবার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায় পানিতে ডুবে ফাতেমা আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লহরী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজকে সকালে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন ফাতেমা। খেলার কিছুক্ষণ পর ফাতেমাকে দেখতে না পেয়ে সবাই খুঁজতে বের হয়। অবশেষে অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির দক্ষিণ পাশের ডোবাতে ফাতেমাকে ভাসতে দেখেন তার স্বজনরা।

ফাতেমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফাতেমা আক্তার উপজেলার লহরী গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার মেয়ে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, পানিতে ডুবে শিশু মারা গেছে বলে একটু আগে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে জানানো হবে।

নবীনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ফেসবুকে আমরা..