স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরো ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

“ আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে এসব ঘর।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পাবেন সরকারি এই ঘর। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০ জুন ৬৮১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এসব পাকা ঘর।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণ কাজ ও নির্মাণের কাজের গুনগত মান তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মান কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সবগুলো ঘরই একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে জেলায় ১ হাজার ৯১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা তথ্য আপা অফিসের উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার নিদারাবাদ গ্রামে ২৫ জন নারীর উপস্থিতিতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম।
উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের তথ্যসেবা কর্মকর্তা মেহের নওরীন খান। উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস.এম. জহিরুল আলম চৌধুরী (টিপু), তথ্যসেবা সহকারী সুস্মিতা সরকার প্রমুখ।

উঠান বৈঠকে শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্মনিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী ও শিশুর সচেতনতা, জেন্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে বিজয়নগরে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচীর চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। আজ সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নৌকা ঘাট থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা ১৩ কেজি চাল জব্দ করার কথা বললেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ কেজি চাল বিতরণ করার কথা ছিলো। কিন্তু এসব চালের মধ্যে ১৩শ কেজি চাল কালোবাজারির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।

বুধবার সকালে গোয়ালনগর নৌকা ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া এইসব চাল সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় ভরার সময় স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নৌকা ঘাটে গেলে পাচারকারি মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া পালিয়ে যায়। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা (১৩শ কেজি) চাল জব্দ করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এসব চাল জব্দ করে।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মিয়া জানান, নৌকা ঘাটে প্রকাশ্যে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার করার সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল আটক করি। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, ১৩শ কেজি নয়, ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়টি ফোন করে আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাসিরনগরে পাচারের সময় ১৩শ কেজি ভিজিডির চাল জব্দ

ফেসবুকে আমরা..