সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান।মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, এবার শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, প্রতি বছরই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সংঘবদ্ধ দালাল চক্র সক্রিয় ওঠে। চাকরির জন্য পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা দিতে হয় দালাল চক্রকে। পাশাপাশি প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিরাও পুলিশ সুপারদের হাতে নিজেদের পছন্দের চাকরি প্রার্থীদের নাম-ঠিকানা সংবলিত তালিকা ধরিয়ে দেন।

তবে এবার পুলিশ সদর দফতর থেকে সংশ্লিষ্টদের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ করার জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির তালিকা আসেনি। তালিকা এলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, যদি আমার সিনিয়র কোনো অফিসারও কারো জন্য আমাকে ফোন করেন তাহলেও আমি তাকে বলব আমার পক্ষে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, চাকরি প্রার্থী ও স্বজনরা যেন দালাল চক্রের সাথে চাকরির জন্য কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করে সেজন্য আমরা জেলার সবকটি উপজেলায় মাইকিং করেছি। নানাভাবে তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। তারপরও কোনো প্রার্থী যদি আর্থিক লেনদেন করেন এবং সেটি প্রমাণিত হয় তাহলে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
###

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই এবার পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে

সুমন আহম্মেদঃ
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন-ভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালুর দাবি ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মানীভাতা দেয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন পালন করেছে করেছে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আবুজর গিফরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির ভুইয়া, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, সহকারী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা ইউনিটের সভাপতি সুমন দত্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই কর্মসূচীর জন্য মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পৌরসভা প্রদত্ত সকল সেবা বন্ধ থাকবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচী-মানববন্ধন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজেদের মনগড়ামতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করার অপরাধে ৪ ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটরকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও মোঃ জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ উপজেলায় পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত ক্যাবল অপারেটররা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের এস.স.বি ক্যাবল নেটওয়ার্ক ও সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকার তুহিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক, আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ইউনিয়নের আশুগঞ্জ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এবং একই উপজেলার সোনারামপুর সাগর ক্যাবল নেটওয়ার্ক।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান কাউসার, সহকারী জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস, বিটিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপকেন্দ্রের ইনচার্জ সালমা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
###

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের অপরাধে ৪ ক্যাবল নেটওয়ার্কে জরিমানা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে পৌর এলাকার মধ্যপাড়ায় অবৈধভাবে ভরাটকৃত একটি পুকুরের বালি অপসারনের কাজ শুরু করেছেন পুকুরের মালিকপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ৬/৭জন শ্রমিক পুকুরে নেমে পুকুর থেকে বালি অপসারনের কাজ শুরু করেন। অপসারণকৃত বালি ভ্যানে করে অনত্র নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পুকুরের মালিকপক্ষের শাহআলম বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা নিজ খরচে অবৈধভাবে ভরাটকৃত পুকুরের বালি অপসারণ শুরু করেছি। তিনি বলেন, রাতের বেলা ভেকু মেশিন এনে পুকুরের তলদেশ থেকে বালি অপসারন কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের দেয়া সময়সীমার মধ্যেই পুকুরে ফেলা বালি অপসারণ করা হবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাট করার দায়ে ওই পুকুরের মালিকপক্ষের মোঃ শাহজাহান মিয়া-(৫৫) কে গত সোমবার বিকেলে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড এবং আগামী তিনদিনের মধ্যে ব্যক্তি খরচে পুকুরে ফেলা বালি অপসারণ করে পুকুরকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। দন্ড পাওয়া মোঃ শাহজাহান মিয়া মধ্যপাড়ার বাওলা দীঘির পাড়ের মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক পুকুর ভরাট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পুকুর ভরাট করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া পুকুরের মালিকপক্ষের শাহজাহান মিয়া ডেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাহজাহান মিয়াকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল প্রদান করেন। পাশাপাশি আগামী তিনদিনের মধ্যে ব্যক্তি খরচে পুকুরে ফেলা বালি অপসারণ করে পুকুরকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার মধ্যপাড়া বর্ডার বাজারের উত্তর পাশে ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় বিএস খতিয়ান নং- ৪৩৪ ও বিএস দাগ নং-৬৬১ এর পুকুরটি পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহন ছাড়াই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। ওই এলাকার শাহজাহান মিয়া, মোঃ শাহ আলম, পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আহসান কাওছার, মোঃ মুনির হাজী, আলী হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজন মিলে পুকুরটি ভরাট করছেন। প্রায় ১৫ ফুট গভীরের এ পুকুরটির দক্ষিণ পশ্চিমাংশে ৯০০ বর্গফুট ও উত্তরাংশে ৬০০ বর্গফুট অংশ ভরাট করা হয়।

এ বিষয়ে বর্ডার বাজার জামে মসজিদ ও এলাকাবাসীর পক্ষে ডাঃ মো. আবু সাঈদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল ইসলাম, মোঃ সুজন মিয়া, মাহবুব আলম, মনির হোসেন, মোঃ সুজন মিয়া প্রমুখ বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আহসান কাউসারের নেতৃত্বে রাতের বেলা ট্রাক্টরে করে বালি ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাউন্সিলর কাউছার পুকুর ভরাট করে সেখানে তার একটি অফিস নির্মান করেছেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে পুকুরের মালিকেরা মঙ্গলবার সকাল থেকে পুকুরে ফেলা বালি অপসারনের কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, পুকুরটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।                                                       ###

নিজ উদ্যোগে পুকুরে ফেলা বালি অপসারনের কাজ শুরু করেছেন মালিকপক্ষ

ফেসবুকে আমরা..