botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের উপজেলার বগইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে বগইর গ্রামের মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রীর সাথে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম ঠাকুরের ছেলে জিএম ঠাকুরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

বিয়ে উপলক্ষে কনে বাড়িতে গেইটসহ প্যান্ডেলও নির্মান করা হয়। দুপুরে বরযাত্রীসহ বর উপস্থিত হন কনে বাড়িতে। এরপর শুরু হয় খাবারের পর্ব।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা। তিনি তাৎক্ষনিক গিয়ে হাজির হন কনে বাড়িতে। তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে কনের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা কনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা দেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরে মৌসুমী বাইন হীরা দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খানের জিম্মায় কনেকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
###

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পাচারের অভিযোগে ট্রাকসহ চারশ’ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই সার পরিবহনকারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকৃত সার নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ সময় সার ভর্তি এসএ পরিবহন ও নোমান পরিবহনের দুইটি ট্রাক আটক করা হয়। নোমান পরিবহনে বোঝাই সারের কাগজপত্র থাকায় এগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে এসএ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
রাতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহীনা আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত ট্রাক সংশ্লিষ্ট এনামুল মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্দকৃত সার গতকাল সোমবার নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আলম তালুকদার বলেন, ‘সারগুলো অবৈধভাবে এক জায়গার বদলে অন্য জায়গায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাকসহ সার আটক করে মনিটরিং কমিটির কাছে তুলে দেয়া হয়। পরে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেন।
###

আশুগঞ্জে পাচারের অভিযোগে সার জব্দ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হাওর এলাকায় মাসব্যাপী ক্ষুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই রোগে শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের কয়েক হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষুরা রোগের ব্যাপকতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিরা। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করছেন গরুর মালিকরা।

হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে খবর নিয়ে জানা গেছে, অরুয়াইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অরুয়াইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভুইয়ার দুই লাখ টাকা মূল্যের ১টি গাভী,বাহার মেম্বারের ১টি বাছুর, ইসমাইল মিয়ার ২টি ষাড়, দুবাজাইল গ্রামের বশির মিয়ার ১টি ষাড়, সাদত আলীর ৩টি গরু, হারুন মিয়ার ১টি গরু, পাকশিমুলের সিদ্দিক মিয়ার ১টি গরুসহ এই এলাকায় শতাধিক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

এ ব্যাপারে কৃষক ইসমাইল মিয়া জানান, উপজেলা প্রাণিস¤পদ অফিসে গিয়ে ক্ষুরা রোগের কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গেলে তারা জানায়, বাড়িতে গিয়ে ক্ষুরা রোগের টিকা দিলে চিকিৎসকের ফি লাগবে ১ হাজার টাকা এবং ভ্যাকসিনের জন্য আরো দিতে হবে দুইশ টাকা। এ ধরনের অভিযোগ করেছেন আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
এদিকে প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু গুলোকে দ্রুত বড় করতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। নরম ভাত খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে সেখানকার গরু গুলো ফুটপয়জনে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুজিবুর রহমান শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবরকে অস্বীকার করে বলেন, ক্ষুরা রোগে গত এক মাসে ৭টি বাছুর মারা গেছে। অধিকাংশ গরু ফুটপয়জনে আক্রান্ত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে ক্ষুরা রোগের পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্যাকসিন আছে। যা কৃষকদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, কৃষকদের সচেতনতাই পারে এ রোগ প্রতিরোধ করতে।
###

ক্ষুরা রোগের প্রকোপ সরাইলে শতাধিক গরুর মৃত্যু ॥ কৃষক ও খামারিরা দিশেহারা

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতশবাজির কারখানায় অগ্নিকান্ডে দুটিঘর ভস্মিভূত এবং বিপুল পরিমান আতশবাজি বিস্ফোরিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার জীবন মিয়ার বাড়ির একটি অবৈধ আতশবাজির কারখানায় এঘটনা ঘটে। মূহুর্তেই আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পরে। অগ্নিকান্ডে আতশবাজি ও পটকাবাজি বিস্ফোরিত হয়ে দুটি ঘর ভস্মিভূত হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী অপু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জসিম মিয়া বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে কান্দিপাড়ার জীবন মিয়ার আতশবাজির কারখানায় আগুন লাগে। মূহুর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িরে পরে। এ সময় বিকট শব্দে বারুদের ড্রাম এবং তৈরীকরা আতশ ও পটকা বাজি বিস্ফোরিত হতে থাকে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ওই আতশ ও পটকাবাজীর কারখানায় ককটেল ও বোমা তৈরী করা হয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ওই বাড়ি থেকেই পিকেটাররা ককটেল ও বোমা কিনে নেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ষ্টেশন অফিসার আল আমীন সরকার বলেন, আতশ ও পটকাবাজি তৈরীর জন্য প্রস্তুত রাখা বারুদ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা যায়নি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেন বলেন, এটি অবৈধ কারখানাটি । তদন্তসাপেক্ষে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতশবাজির কারখানায় আগুন ॥ বিপুল পরিমান বাজি বিস্ফোরন

botvনিউজ:

ভালোবাসার আলোয় হোক আগামীর পথচলা এই শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন অবিরাম ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী গত শুক্রবার পালিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের বিএমএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অবিরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।

অবিরামের সদস্য নাইম ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীন, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কবি মনির হোসেন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জসীম উদ্দিন বেপারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ মামুন প্রমুখ।
####

স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন অবিরাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

botvনিউজ:

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বলছি যে এ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ সহিংসতা যে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরই হবে তা নয়, আমার উপরও টার্গেট আছে।

আমার চলাফেরা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। চাইলেই আমি কোথাও বেরুতে পারি না। অনেকের উপরই এ অবস্থা।
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভিযাত্রা” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি আইএসআইয়ে নিযুক্ত হন। আইএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা হয়ে মুক্তিযুদ্ধে গেলেন। শাহরিয়ার রশিদসহ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তারা দেশের জন্য নয়, আইএসআইয়ের মিশন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তাদের মিশন ছিল যদি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় তা কিভাবে রদ করা যায়। ওই নীল নকশা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের পর থেকে পাকিস্তানী করণ, মৌলবাদী করণসহ সবই শুরু হয়।
শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কারো কারো জন্য উৎসব হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রচ- আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। ডিসেম্বরে নির্বাচন আসছে, আবার কোন কেয়ামত নেমে আসে এটা নিয়ে তারা আতঙ্কগ্রস্ত।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার পর তিনি বলেছেন হিন্দুদের ছাল তুলে নেবেন। যে হামলা করেছে তার গায়ে কি লেখা ছিল সে হিন্দু? এ হামলার জন্য তিনি কিভাবে একটা গোটা সম্প্রদায়কে দায়ী করতে পারেন?
তিনি বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। একাত্তরের চেতনায় এখানেও দলীয় মতপার্থক্যের উপরে উঠতে হবে। যেসব বাম দলগুলো ১৪ দলের সাথে নেই আমরা তাদের সাথে আগামী এক মাসের মধ্যে এ কথাগুলো বলবো। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না যে, আমারও জানান দেয়া দরকার, আমি ভোট পাই না পাই।
মতবিনিময় সভায় শাহরিয়ার কবির বলেন, দুই জেনারেলের সময় সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলা হয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে। ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন আছে তাহলে কিভাবে তার উপর আস্থা রাখা যায়? শহীদদের সংখ্যা নিয়ে তো প্রশ্ন করে পাকিস্তানীরা। বেগম জিয়া পাকিস্তানীদের সাথে সুর মিলাতে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বলছি যে এ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ সহিংসতা যে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরই হবে তা নয়, তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিবে। তারা গৃহযুদ্ধের পথ বেছে নিবে। এই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, এটা কল্পনাও করা যেতো না । তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ওপর আপনারা আস্থা রাখুন। তিনি ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসম্পূর্ণ কাজগুলো আমরা আদায় করতে পারবো।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, কেন্দ্রীয় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মকবুল-ই-এলাহী, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী।
জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লিটন দেবের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। মতনিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট লেখক শাহরিয়ার কবির

botvনিউজ:

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত সীমান্ত এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় বিজয়নগর থানাসহ বি-বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২৭/০৭/২০১৮ ইং ০০.৪৫ ঘটিকায় বি-বাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন ১। মোঃ হাবিব মিয়া (৩৪) পিতা- এলো মিয়া ২। মোঃ সুমন মিয়া (৩২) পিতা মৃত-

আমিন মিয়া, সর্ব সাং সিঙ্গারবিল , থানা- বিজয়নগর , জেলা- বি-বাড়িয়াদ্বয়কে আটক করেন। জনৈক এলো মিয়ার বাড়ীর সামনে বাঁশ ঝারের নিকট থেকে ১। মোঃ হাবিব মিয়ার ডান হাতে থাকা কফি রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় ১০ (দশ) বোতল মাদক দ্রব্য স্কাফ পাওয়া যায় এবং অপর আসামী ২। মোঃ সুমন মিয়ার পরিহিত লুঙ্গির ডান কোমরে গোজা অবস্থায় ১৪৮০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

সর্বমোট উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১১,৪৮০/- টাকা। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের (সংশোধনী ২০০৪) এর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিল ৩(ক) ধারা মোতাবেক বি-বাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল হতে স্কাফসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনতলা ভবন থেকে পড়ে জুনায়েদ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।বুধবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুনায়েদ এসি মেরামতের মিস্ত্রি ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর গ্রামে।

প্রর্তক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, দুপুরে পুরাতন জেল রোডস্থ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নষ্ট এসি মেরামত করতে যান জুনায়েদ। ক্লিনিকের বাইরে দিয়ে রশি টানিয়ে উপরে ওঠে এসির কমপ্রেসার খুলতে গেলে রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান জুনায়েদ। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার (ওসি) মো: নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালের ভবন থেকে পড়ে যুবক নিহত

ফেসবুকে আমরা..