botv নিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র হরিজন সম্প্রদায়ের বিয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা বরকে মারধোর করে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের রাউৎহাট গ্রামে। এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই পুলিশ ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।
খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, বিনাউটি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে রাউৎহাট গ্রামের হরিজন সম্প্রদায়ের জহরলাল ঋষির ছেলে হুমেন ঋষি বিয়ে করতে সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে যাওয়ার সময় একই গ্রামের জামাল মিয়া ছেলে তপু- (২২) বরযাত্রী রেখা ঋষিকে ইভটিজিং করে। এসময় কিশোরীর বড় ভাই রায়মন ঋষি প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে ইভটিজার তপু মোবাইল ফোনে পার্শ্ববর্তী নেমতাবাদ-মনিচং ও চান্দাইসার গ্রামের কতিপয় যুবক এনে বিয়ে বাড়িসহ হরিজন সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা বর হুমেন ঋষিকে মারধোর করে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। হামলায় হরিজন সম্প্রদায়ের ৫ জন আহত হয়। আহত অবস্থায় রায়মন ঋষি-(২৫) কে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে দ্রুত ৩ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় বর ও বরযাত্রীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের মজলিশপুর গ্রামের কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। বিয়ে অনুষ্ঠান শেষে গতকাল শনিবার সকালে ছেলের বাড়িতে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাসুক, জুয়েল,তানভীর নামক ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া সার্কেল) আবদুল করিম ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ জহরলাল ঋষি বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামী করে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

###

ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে কসবায় হরিজন সম্প্রদায়ের বিয়ে বাড়িতে হামলা

botv  নিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে নূর আলম- (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সোহাতা গ্রামে। নূর আলম সোহাতা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নূর আলমের সাথে একই গ্রামের শাহজালাল এবং খলিল মিয়ারর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহজালাল ও খলিলের নেতৃত্বে ৫/৭ জনের একটি দল নূর আলমকে তার ঘরে ঢুকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে মৃতের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে নূর আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেন বলেন, হাসপাতালে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ

 

botv নিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অপর দু’জন হলেন, জেলা বিএনপির কর্মী জহিরুল হক ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুর রহমান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাফিজুর রহমান মোল্লা একাধিক মামলার আসামী, দুপুরে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে বিএনপি-ছাত্রদলের দুই নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ গ্রেপ্তার- ৩

ফেসবুকে আমরা..