সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিজুর রহমান ৩৬ বছর ধরে চাকুরী করে এখন তিনি “ অতিরিক্ত শিক্ষক” বনে গেলেন।
তিনি ১৯৮৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চাকরি করছেন। এ অবস্থায় মনিজুর রহমান যে কোনা সময় সরকারিভাবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা বন্ধের শঙ্কায় আছেন।
মনিজুর রহমানের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলে তথ্য বিবরণীতে তার স্বাক্ষর জাল করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বদলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য শিক্ষকও নিয়োগ দিয়ে ফেলেছেন। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি সরাইল থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি) করেছেন।
তবে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘মনিজুর রহমান মিথ্যুক। তথ্য বিবরণীতে তাঁর স্বাক্ষরের ঘর খালি আছে। এখন তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েকজন শিক্ষকের বেতন ভাতা আটকে রেখেছেন। অথচ মনিজুর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি সব বেতন-ভাতা এমনকি পেনশন পাবেন। নিয়ম অনুসারে আমরা এনটিআরসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করিয়েছি মাত্র।
মনিজুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়ে আসছি। হঠাৎ করে আমি ও ফারহানা বেগম নামে দুই শিক্ষকের জায়গায় অন্য দুই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে আমরা অতিরিক্ত শিক্ষক। ওই তথ্য বিবরণীতে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যে কোনো সময় আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিতে পারেন।
###