স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
কালজয়ী উপন্যাসিক “তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের রচয়িতা অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মনের জন্মভিটায় ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে অদ্বৈত গ্রন্থমেলা-২০২৪। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে চলবে বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত। এবারের মেলায় অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি অদ্বৈত গবেষক হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যূবরণ করেন।

“শান্তনু কায়সার চাদঁপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সীবাড়িতে ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সিরাজুল হক ও মা মাকসুদা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসরের পর তিনি কুমিল্লা নগরীতে থাকতেন এবং লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি। তিনি ২০১৪ সালে প্রবন্ধে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন”। 

অদ্বৈত মল্লবর্মন স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী মেলা উদ্বোধন করবেন বরন্যে কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আ. কুদদুস সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন।

পুরষ্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন জানান, এবারের মেলায় (অদ্বৈত পুরষ্কার-২০২৪) পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। পুরষ্কার হিসেবে থাকছে উত্তরীয়, সনদ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা।

এছাড়া তিনদিন ব্যাপি এই  বই মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকরা অংশ নেবেন। ২০টি স্টলে বই বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে আলোচনা, কবিতা পাঠ, দলীয় আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন ও বাউল গান অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে এই মেলা  সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নিবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা সহ প্রেসক্লাবের প্রবীন নবীন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে শনিবার সকালে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহাম্মদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সভাপতি হাজী আবদস সোবহান মাখন, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য আবুল খায়ের, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক ও তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,মওলানা ভাসানী ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ, ইতিহাসে যার যেটুকু প্রাপ্য তা তাকে দিতেই হবে ।সকল প্রকার দেশীয় শোষণ নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপোষহীন । বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে ভাসানী সবসময়ই পথের দিশারী । বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ’৭২ এর সংবিধানে সন্নেবেশিত চার মূলনীতি অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালিত হলে মৌলবাদী গোষ্ঠী এ ধরণের আস্ফালন দেখাতে সাহস পেতনা । কোন প্রকার আপসকামীতা নয় সংবিধান থেকে রাস্ট্র ধর্ম বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার জন্য ৭২ এর সংবিধান পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

বক্তারা মওলানা ভাসানী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ প্রকৃতি তথা জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং সা¤্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের আহবান জানান। সভা থেকে বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুণরায় চালু করার জন্য দাবি জানানো হয় এবং রাস্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলো ব্যক্তি মালিকানায় না ছাড়াও দাবি জানানো হয় ।

সরাইলের শাহবাজ পুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ নাগের দুটি ঘর রাতের আধাঁরে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধীর ছেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত

botv িনউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত অমর একুশে বই মেলার তৃতীয় দিন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার একমাত্র সৃজনশীল সংগঠন আ ব র নি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র একক ও বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা মঞ্চে হাবিবুর রহমান পারভেজের গ্রন্থনা ও শারমিন সুলতানার নির্দেশনায় একটি বৃন্দ আবৃত্তি – “একুশের বর্ণমালা” পরিবেশন করা হয়।

হয়।আবৃত্তিশিল্পী ইসরাত, আলিফ, ওমর, মিতি, নেহাল, পৃথুলা। একক আবৃত্তি করেন সংগঠনের র্নিবাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ। পরিচালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী শারমিন সুলতানা।

###

অমর একুশে বই মেলায় আ ব র নি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের আবৃত্তি পরিবেশনা

 

যখন-তখন, যেখানে-সেখানে, এখুনি সার্বসক্রাইব করুন,ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাথে রাখুন।

সময়-অসময়-সুসময়ের দাবী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি

জীবনবৃত্তান্ত:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় ১৯৮৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বোধবার রাতে নানার বাড়ী জন্মগ্রহন করেন।তিনি বাবা মা র প্রথম সন্তান। বাবা মো. হোসেন আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং তাবলীগ জামাতের আমীর আর মাতা মোছা. ঝরনা বেগম একজন সরকারি কর্মচারী। তার একমাত্র ছোট ভাই সায়েদুর রহমান হ:ক: প্রবাসী। দাদার বাড়ি ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার উত্তর আরিফাইল।

শিক্ষাজীবন:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ১৯৯৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয় শহরের পৌর আর্দশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে ৫ম শ্রেনী পাশ করেন।তারপর মায়ের চাকুরীর সুবাদে জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাও উ”চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে বিঞ্জানে প্রথম বিভাগ এস এস সি পাশ করে ব্রাহ্মণব্রাড়িয়া সরকারি কলেজে ব্যবসায়ী বিভাগে ভর্তি হয়। রাজিনীতিতে জড়িয়ে পরার কারণে সে প্রথম বছর পাশ করতে পারেনি, তবে ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে। এরপর রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে বি কম পাশ করে আর এগুতে পারেনি, তবে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ২০০৯ সালে প্রইম বিশ্ববিদ্যালয়ে এল এল বি তে ভর্তি হয়। কিš‘ কর্মজীবন রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতা এই চতুর্থমুখী ব্যবস্ততার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরে মাননীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইণ কলেজ থেকে এল এল বি পাশ করেন।

কর্মজীবন:

শিক্ষাজীবন থেকেই কর্মজীবন শুরু হয়। সেটা হল ২০০৪ সাল থেকে গণ উন্নয়ন সং¯’া নামক এ জি ও র একটা শেওয়াবি প্রকল্পের  অফিস সহকারি পদের মাধ্যমে আখাউড়া পৌরসভায়। ৪ বছরের প্রকল্প শেষে ২০০৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একই প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসেবে যোগদান করেন। কাজ করেন ২০১০ পর্যন্ত। তারপর ২০১১ সালের শেষের দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি বড়ি একটি খামারে সদর উপজেলায় মাঠ সহকারি হিসেবে যোগ দেয়। ২০১৪ সালে ফিল্ড সুপারভাইজারে পদন্নতী লাভ করে। ২০১৬ সারের ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষে পল্লী সঞ্ছয় বাংকে ¯’ানান্তর হবে সিদ্ধান্ত হলেও পরে আবার ২০২০ ইং সাল পযর্ন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয় ।

 

রাজনৈতিক জীবন:

ধর্মভীরু পরিবারের হলেও ছোট বেলা থেকেই  তার মধ্যে নেত্রিত্বের গুনাবলী ছিল। কলেজের ভর্তি পরপরই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জরিয়ে পরে। কলেজের পাশাপাশি এলাকায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তাই প্রথমেই ২০০১ সালে মধ্যপাড়া শান্তিবাগ ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় সাধারণ সম্পদক  হয়। ২০০৪ সালেও একই কায়দায় ৩নংওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হয়। এরপর ২০০৬ সালে ব্রাহ্মবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহ-সভাপতি ও পরে ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৩ সালে একটি সুন্দর সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নেই।

সাংস্কৃতিক জীবন:

মায়ের চাকুরীর কল্যাণে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়ার কারণে হাবিবুর রহমান পারভেজ এমনিতেই সংস্কৃতিমনা ছিলেন। গ্রামের স্কুলে যদি কখনও কবিতা আবৃত্তি, ছবি আকা প্রতিযোগিতা হতো তাতে অংশগ্রহণ করতেন। তবে ২০০০ সালে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য দিয়ে সাংগঠনিক চর্চা শুরু করেন। ২০০৪ সালে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক, ২০০২ সালে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫ সালে বন্ধুসভার সহ-সভাপতি, ২০০৮ সালে জে জে ডি ফ্রেন্স ফোরামের যুগ্ম-আবায়ক, ২০০৯ সালে ঘাতক-দালাল র্নিমূল কমিটির প্রচার সম্পাদক, ২০১০ সালে শুভসংঘ পাঠক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়ে কাজ করেন। আর ২০১২ সালে নিজে নির্বাহী পরিচালক হয়ে আ ব র নি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সাংস্কৃতিক জগতে সফলতার সহিত এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৪ সালে জেলা নাগরিক  ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমী, পাবলিক লাইব্রেরী, রেড ক্রিসেন্ট, এপেক্স ক্লাব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সাথে যুক্ত আছে।

সাংবাদিকতা:

সংগঠনের প্রেস-বিঞ্জতি  লেখতে লেখতে সাংবাদিকতা প্রতি তার আগ্রহ সৃস্টি হয়। ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে ¯’নীয় দৈনিক তিতাসকন্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। তারপর জাতীয় দৈনিক ভীমরুল এবং ২০০৮ সালে শেষ দিকে নতুন করে বের হওয়া জাতীয় দৈনিক বাংলদেশ সময় পত্রিকায ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায়। কিš‘ পত্রিকাটা বেশি ভাল করেনি সেই সাথে তার ও সাংবাদিকতায় ভাটা পরে। পরে অবশ্যই ২০০৩ সালে ছাত্ররাজনীতি শেষে এশিয়ান টিভির জেল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।

চলছে….চলবে….

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির প্রকাশক -সম্পাদকের কথা

botv নিউজ:

হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের হৃদয়ভূমি আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। বাংলাদেশের যে অঞ্চলসমূহ সংগীত, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে তার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অন্যতম। এই জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বললে বোধ হয় বেশি বলা হবে না। তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগীত, শিল্প সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থ ক্ষেত্র রূপে ভারতীয় উপমহাদেশে সুপরিচিত একটি জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গানের দেশ গুনীর দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেন জ্ঞানী-গুনীর খনি স্বরূপ। অসংখ্য জ্ঞানী-গুনীর বিভিন্ন অবদানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপমহাদেশব্যাপী ও বিশ্বব্যাপী আজ পরিচিত।

মেঘনা-তিতাসের পলি মাটির আবাহনে বাঁধা এ ভূখন্ড লোক সংস্কৃতির দিক থেকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। সামাজিক ও ভূ-প্রকৃতির বিন্যাস, নদ-নদী ও জলবায়ুর প্রভাব, জনবসতির ধরন, লোকসমাজের আচার বিশ্বাস, সংস্কৃতি-ঐতিহ্য এবং নিরন্তর, পরিবর্তনশীল মানসিক পরিমন্ডলের মধ্যদিয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার বিচিত্র বহুমাত্রিক এবং অভ্যন্তরীণ গতিশীলতায় সমৃদ্ধ লোক সংস্কৃতি। বস্তুধর্মী ও সাহিত্যধর্মী উভয় শ্রেণীর লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঐশ্বর্যশালী। তিতাস নদী আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তিতাস অববাহিকায় কিংবা পলি কাদায় জন্মগ্রহণ করেছে বিশ্ববিখ্যাত অনেক কৃতী সন্তান। সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ থেকে শুরু করে শচীন দেব বর্মন ও সুবল দাস পর্যন্ত সুরের যে ইন্দ্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তা এখন সৈয়দ আব্দুল হাদীর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সুদৃঢ় ভিত্তিমূলের উপর প্রতিষ্ঠিত।

অপরদিকে এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছে বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম। মোগল আমলে নির্মিত সরাইলের আরফাইলের মসজিদ ও হাতিরপুল, কালভৈরব মন্দির, খড়মপুরের কেল্লাশাহ মাজার, নবী নগরের সতীদাহ মন্দির, বাঁশীহাতে শিবমূর্তি, সাধক মনমোহনের আনন্দ আশ্রম, হাছান শাহ মাজার, কসবার কৈলাঘর দূর্গ, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামালের কবর এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্মরণ করে দেয়। এ জেলার ছানামুখী মিষ্টি, বিলম্বী ফল। বিলম্ব যা সারাদেশে (দু্রাপ্য), মৃৎশিল্প, তাঁত শিল্প, যাত্রা, তিতাসে নৌকাবাইচ, পুতুল নাচ, সরাইলের মোরগের লড়াই সারা দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে।

###

সাহিত্য-সংস্কৃতি তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: 

শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষা-সাহিত্যে দেশের অন্যমত অগ্রণী জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, কথা সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্ল বর্মণ, কবি আবদুল কাদির, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ বহু জ্ঞানী গুনীর জন্মধন্য জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
শহরের বাণিজ্য কেন্দ্র আনন্দবাজার ও টানবাজার। আনন্দবাজার, টানবাজার, জগৎবাজার, মহাদেব পট্টি, কালাইশ্রী পাড়া, মধ্যপাড়া, কাজীপাড়া ও কান্দিপাড়া শহরের পুরাতন এলাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর শিল্প-সাহিত্য ও শিক্ষা-সংস্কৃতির ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। এ শহরকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে। তিতাস গ্যাস ফিল্ড, সালদা গ্যাস ফিল্ড, মেঘনা গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ যোগায়। আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের ২য় বৃহত্তম বিদ্যুৎউৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্প সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এবং দলমত নির্বিশেষে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল মিলন মেলা হিসেবে এ দেশের মানচিত্রে বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
জেলার আশুগঞ্জে সার কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। জেলার কয়েক শতাব্দী ধরে তাঁত বস্ত্রের জন্য বিখ্যাত। উনবিংশ শতাব্দীতে সরাইলে তানজেব নামক বিখ্যাত মসলিন বস্ত্র তৈরি হতো।
বৃটিশ আমল থেকে রাধিকার বেতের টুপি তৈরি হচ্ছে। জেলার চম্পকনগরে নৌকা তৈরি হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিখ্যাত। জেলার তিনটি গ্যাস ফিল্ড রয়েছে। এ তিনটি গ্যাস ফিল্ড হচ্ছে- তিতাস, মেঘনা ও সালদা নদী গ্যাস ফিল্ড। বলতে গেলে দেশের অন্যতম চালিকা শক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস। জেলার ১৯৮৫ সালেই গড়ে উঠেছে বিসিক শিল্পনগরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে উল্লেখযোগ্য খেলার স্থানসমূহ হলো –নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়াম, কাউতলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গন, কলেজপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় বডিং মাঠ, হালদারপাড়া ইত্যাদি।

তিতাস নদীর শান্ত প্রকৃতি দেখার মত একটি স্থান। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন করার মত একটি স্থান। আশুগঞ্জ ও ভৈরব বাজারের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর উপর ভৈরব রেলওয়ে সেতু তৈরি হয়েছে তা যে কারও মনে দোলা দেবে। এর পাশ ঘেষেই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এরফলে পূর্বের ফেরিঘাটের তুলনায় প্রায় ২ ঘন্টা সময় সাশ্রয় হয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট বিপ্লব ও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
এছাড়াও, আরাফাইল মসজিদ (সরাইল), উলচাপাড়া মসজিদ (সদর), ভাদুঘর শাহী মসজিদ (সদর), কালভৈরব মন্দির (সদর), সৈয়দ কাজি মাহমুদ শাহ মাজার কাজিপাড়া (সদর), বাসুদেব মূর্তি (সরাইল), ঐতিহাসিক হাতিরপুল (সরাইল), খরমপুর মাজার (আখাউড়া), কৈলাঘর দূর্গ (কসবা), কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ (কসবা), বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর (আখাউড়া), সৌধ হিরন্ময়, শহীদ মিনার, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট, শহীদ স্মৃতিসৌধ, মঈনপুর মসজিদ (কসবা), বাঁশী হাতে শিবমূর্তি (নবীনগর), আনন্দময়ী কালীমূর্তি (সরাইল) ইত্যাদি এবং আর্কাইভ মিউজিয়াম অন্যতম।

সাংস্কৃতিক রাজধানী ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ফেসবুকে আমরা..