স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০জন পল্লী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা ঋনের চেক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক সময়ে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই চেক বিতরণ করা হয়।

এর মধ্যে বিজয়নগরে ১৫জন ও সদর উপজেলায় ৫জনকে চেক দেয়া হয়।

চেক বিতরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ আবদুল কাদিরের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউছার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য্য, উপজেলা সহকারি পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ ফারুক-ই-আজম ও মাজহারুল হক। অনুষ্ঠানে ৫জন পল্লী উদ্যোক্তার মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মার সভাপতিত্বে ও বিজয়নগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু কাউছার, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক নূর আফজাল, উপজেলা সমবায় অফিসার গোলাম মহি উদ্দিন ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় পোদ্দার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বদরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ১৫জন পল্লী উদ্যোক্তার মধ্যে ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনার ঋনের চেক বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে ১ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার চেক বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় পাঁচটি নৌযানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন উপজেলার তিতাস নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিতাস নদীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নৌযানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নৌযানে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম না থাকা ও নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর অভিযোগে পাঁচটি নৌযানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ ধারায় পাঁচটি মামলায় পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি বলেন, এসময় নৌযানের মালিকদের ও যাত্রীদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি নৌপথে চলাচল করার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে তিতাস নদীতে নৌকা ডুবে রিয়াজ-লিজা দম্পতির মৃত্যু হয় এবং তাদের ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া নিখোঁজ হয়।

নবীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫টি নৌযানকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে গত সোমবার দুপুরে স্পীডবোটের ঢেউয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া ৮ বছরের শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজের প্রায় ২৯ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ওই শিশুর লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে নৌকা ডুবিতে মারিয়ার বাবা রিয়াদ (৩০) ও মা লিজা আক্তারের মৃত্যু হয়। মৃত রিয়াদ নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।

এদিকে রিয়াদ ও লিজার লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের পক্ষে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, নবীনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট নৌপথে চলাচলকারী সকল স্পীডবোট চালকদের ডোপ টেস্ট করানো হবে। পাশাপাশি তাদেরকে বিআইডব্লিউটিএ এর নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক চালককে প্রশিক্ষিত লাইসেন্সধারী হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা খুব দ্রুত কাজ শুরু করব।

নবীনগরে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধার

ফেসবুকে আমরা..