স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বুধবার “সর্বস্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর” উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ চত্ত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাউতলী মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহআলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহর নির্দেশে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা শহরজুড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। এ সময় এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার নেপথ্যের নায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বক্তারা অবিলম্বে হেফাজতের শীর্ষ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, নতুবা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের কাছে হেফাজতের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।