ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

 মোঃ আজহার উদ্দিনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার মহামারী পরিস্থিতিতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ফেইসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ “সহায়ক” এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের ইফতার করানো হয়েছে। শুক্রবার (১লা মে) বিকেলে মধ্যপাড়া কাদির ডাক্তারের মোড় হতে জেলা পরিষদ পর্যন্ত শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীদের মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।

“সহায়ক” এর এডমিন ও প্রতিষ্ঠাতা, এশিয়ান টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন- “সহায়ক” ফেইসবুক ভিত্তিক একটি অনলাইন গ্রুপ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী রুপ ধারণ করার পর, এপ্রিলের প্রথমদিকে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা আক্রান্ত এবং করোনাপীড়িতদের সাহায্যর্থে সেচ্ছাসেবী ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ “সহায়ক” এর টিম গঠন হয়। তিনি আরোও বলেন- করোনা মোকাবিলায় জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষের সাহায্যার্থে প্রথম থেকেই কাজ করে আসছে “সহায়ক” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকালীন সেচ্ছাসেবী সদস্যসহ অনেকেই।
“সহায়ক” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোডারেট মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন- করোনায় অসহায় মানুষের কষ্ট ও দুর্দশা দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ফেইসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ “সহায়ক” করি। তিনি বলেন- এর আগেও “সহায়ক” এর পক্ষ হতে করোনাপীড়িতদের মাঝে ত্রান ও নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এবার রান্না করা ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের জন্য “সহায়ক” এর সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন এর স্টাফ রিপোর্টার বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও দ্যা ডেইলি স্টার জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়সহ, “সহায়ক” গ্রুপের অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
#

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের ইফতার করালেন- সহায়ক

মাশুক হৃদয়ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযানে ৬৯ জনের কাছ থেকে দেড় লাখেরও অধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরকারি নির্দেশনা না মেনে অহেতুক ঘর থেকে বের হওয়া, অবাধ চলাচল ও গণজমায়েত করার ও অযথা দোকান খোলার জন্য অভিযানে তাদেরকে জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিনব্যাপী জেলা সদরসহ নয়টি উপজেলার ইউএনও ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট একাধিক
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসব আদালত ৬৯ জনকে এক লাখ ৬২ হাজার একশ’ টাকা জরিমানা করেছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, সরকার ঘোষিত আইন মানার জন্যে জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। এই আদেশ অমান্য করে অনেকেই বিনা কারণে বাইরে ঘুরে বেড়ানো ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে গণজমায়েত করা ও দোকান খোলার দায়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

অযথা ঘোরাঘুরি : ৬৯ জন গুণলেন জরিমানা

ফেসবুকে আমরা..