স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই ভাই রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি ও মামলা দুটো তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ফয়েজ মিয়ার বাড়ির উঠানে সভায় গ্রামের মুরুব্বী আলী আজগর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাবুল মিয়া, মস্তু মিয়া, নোয়াব মিয়া, রতন মিয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা দুই ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে অনুরোধ করেন। নিহত রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের মরহুম লাবু মিয়ার ছেলে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আসামীরা হত্যা মামলা দুটো তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। হত্যা মামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার পায়তারা করছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে এই গ্রামের কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে পান্ডুর গোষ্ঠীর লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন নিহত রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া।

রহিজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীরা (কাবিলা গোষ্ঠীর) দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মাস তিনেক আগে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। পরে আসামীরা হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করেন। পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজন রাজী না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ সকালে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় টেটার আঘাতে রহিজ মিয়া হত্যা মামলার ১ নং স্বাক্ষী ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া-(৬০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতর স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।

কসবায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬-(বাঞ্চারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, অতীতে যারা দেশের জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেই কমন শত্রু বিএনপি-জামাত-হেফাজতই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে । এ ছাড়া আমাদের কোন ব্যর্থতা ছিল কিনা তাও আত্মউপলব্ধিতে এনে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই কমন শত্রুদের আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় তার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা-খাঁন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি তাজ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের দেওয়া ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন ক্যাপ্টেন তাজ এমপি

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দূর্জয়মোড় নূরানী মসজিদের সামনে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ শিমুল খান(র২৮), পিতা- মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান, সাং- হরিনা ফুলিয়া, থানা ও জেলা-বরিশাল, বর্তমান সাং-ঝাউচর, মোঃ নুর উদ্দিন এর বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কামরাঙ্গীচর, ডিএডি-ঢাকা। ২। মোঃ রানা খান(২৯), পিতা- শুক্কুর খান, সাং-রামভদ্রপুর, থানা-ভৈদরগঞ্জ, জেলা-শরীয়তপুর, বর্তমান সাং-আজিমপুর কবরস্থান এলাকা, শফিক সাহেবের ৪তলা বাসার ২য় তলার ভাড়াটিয়া, থানা-লালবাগ, ডিএপি-ঢাকাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ৮.৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি পিকআপ, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৭০০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তার দীর্ঘদিন যাবত হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসত। তারা বর্ণিত গাঁজার চালানটি নরসিংদী জেলার জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে ধৃত আসামীদ্বয় স্বীকার করে।

 

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভৈরবের দূর্জয়মোড় এলাকা থেকে গাঁজা, পিকআপ সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মুসলিম মিয়া সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।

বক্তারা এসব হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারন সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহ দায়ী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিবকে অবাঞ্চিত ঘোষনা

ফেসবুকে আমরা..