সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক তরুনীকে ধর্ষনে সহযোগীতার অপরাধে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার পীরবাড়ি মহল্লা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষনের শিকার তরুনীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে বর্তমানে পীরবাড়ি মহল্লার ভাড়াটিয়া মোবারক হোসেন-(২০), পীর বাড়ির কবির মিয়ার ছেলে মোঃ আশিক মিয়া-(২০) এবং একই এলাকার জয়নাল উদ্দিনের ছেলে আলাল উদ্দিন-(২০)।
পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষনের শিকার তরুনীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মনিপুর গ্রামে। স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ায় গত দুই মাস আগে ওই তরুনী পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার পীরবাড়ি মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যে স্থানীয় একটি আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর কর্মচারী মোবারকের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।
গত শুক্রবার রাতে ওই তরুনী দোকানে যাওয়ার পথে মোবারক ও তার বন্ধু আশিক তাকে কথা আছে বলে পীর বাড়ি মহল্লার একটি নির্মাণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে যায়।
তরুনীকে নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যাওয়ার সময় সময় দেখে ফেলে মধ্যমেড্ডার মৃত তাহের মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া-(২৫)। এক পর্যায়ে সোহাগ তার বন্ধু আলাল ও কালু মিয়াকে নিয়ে ওই নির্মাণাধীন ভবনে যায়। পরে সোহাগ ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তরুনীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তরুনীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে যুবকরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তরুনীর পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করার উদ্যোগ নিলে এলাকার প্রভাবশালী সোহাগের লোকজন মামলা করতে তরুনীর পরিবারকে বাঁধা দেয় ও সালিশে নিষ্পত্তি করে দেয়ার কথা বলে। পরে বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তি না হলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরে পুলিশ রোববার রাতে ঘটনার সাথে জড়িত তিন যুবককে আটক এবং তরুনীকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা গ্রেপ্তারকৃত তিন যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। ধর্ষক সোহাগসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
###