botv news:

চার বছরেও পূরণ হয়নি বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি। ২০১৬ সাল থেকে  কুখ্যাত  রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নাম পরিবর্তন করে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে খাদুরাইল সড়কটির নামকরন করার জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়।

বাধ্য হয়ে এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চম্পকনগর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবনের   সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সার্জেন্ট (অবঃ) তারা মিয়া, সাবেক কমান্ডার ফরিদ আহমেদ ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় আহমেদ, চম্পকনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে “রাজাকার দেলোয়ার হোসেন”এর নাম বাদ দিয়ে খাদুরাইল সড়কটি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেলোয়ার হোসেন উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে উপজেলার অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ লুটপাট করা হয়েছিল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় দালাল আইনে মামলা করা হয়।  ওই মামলায় রাজাকার দেলোয়ার হোসেন ৩ মাস ১০ দিন কারাবাস করেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আবার মাথাচারা দেয় কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের পেতাত্বরা।  উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের  খাদুরাইল গ্রামের সড়কটি “রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়।

২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের বরাবর এই নাম পরিবর্তনের আবেদন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বাস্তবায়ন না করায় এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোঃ ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

চার বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

ফেসবুকে আমরা..