botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া” নামে একটি বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বে-সরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং তাঁর সহধর্মীনি মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

মোকতাদির চৌধুরী এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনসারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৪ মার্চ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন সংক্রান্ত কাগপত্রে সাক্ষর করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ক্যাম্পাস ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে সদর উপজেলার রামরাইল অথবা অন্য কোনো জায়গায় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদী, খাল, বিল, জলাশয় ও জলাধার অবৈধ দখলের মহোৎসব চলছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নির্দেশে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরাইল উপজেলা ভূমি অফিস (স্মারক নং-৩১.৪২.১২১৩.০০০.০০১.১৯-১২১) উপজেলার ১২১ জন দখলবাজের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। এই তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের প্রভাবশালী হাজী নূরুল ইসলাম প্রকাশ নূরু মিয়ার নাম। তিনি ওই গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে। তিনি শাখাইতি মৌজার ৭১৫ দাগের সরকারি খালের উল্লেখযোগ্য পরিমান ভরাট করে বহুতল বিশিষ্ট সুরম্য অট্টালিকা নির্মান করেছেন। এর ফলে খালের স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়াসহ জলাবদ্ধতার কারনে এলাকার শতশত কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রভাবশালী নূরুল ইসলামকে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা গত ১৬ জানুয়ারি এক নোটিশে তিনদিনের মধ্যে খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন নি। তবে নূরুল ইসলাম দাবি করেছেন তিনি সরকারি খাল দখল করেন নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলা ভূমি অফিস সম্প্রতি অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। তালিকায় ১২১ জনের নাম রয়েছে। যারা নদ, নদী, খাল, বিল ও জলাশয়-জলাধার অবৈধভাবে দখল করে জনস্বার্থ বিঘ্নিত করেছেন। এই তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের হাজী নূরুল ইসলাম প্রকাশ নূরু মিয়া।

স্থানীয় প্রশাসন হাজী নূরুল ইসলাম নুরু মিয়াকে খালটির দখল ছেড়ে তিন দিনের মধ্যে খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দিলেও নুরু মিয়া তা আমলে নেয়নি।এদিকে খাল ভরাটের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এলাকার শতশত কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন নূরুল ইসলাম নূরুকে তিনদিনের মধ্যে খাল দখল মুক্ত করার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি খালের অবৈধ দখলদার নূরুল ইসলাম নূরুকে তিন দিনের মধ্যে খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দিলেও তিনি নোটিশ আমলে নেননি। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কানুনগোর মাধ্যমে খালটি মাপঝোক করা হয়। কিন্তু মাপঝোকের রিপোর্ট এখনো পাইনি।

এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস.এম মোসা বলেন, মাপে সরকারি খাল দখলের প্রমান মিলেছে। তার বিরুদ্ধে উচ্ছেদের মামলা প্রক্রিয়াধীন। নালিশা জায়গার নকশা প্রণয়নসহ উচ্ছেদের মামলা দায়ের শেষে সমস্ত কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে খালের অবৈধ দখলদার হাজী নূরুল ইসলাম নূরু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভূমি অফিসের কানুনগো, নায়েব, সরাইল থানার ওসিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খালটি মাপঝোক করে অস্থায়ী খুটি দেওয়া হয়েছে। যাতে আমার দখলে সরকারি খালের কোন অংশ নেই। আমি খাল ভরাট করিনি।
###

পানিশ্বরে খাল দখল করে সুরম্য অট্টালিকা জলাবদ্ধতায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

ফেসবুকে আমরা..