আজ ২৬ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯.৪৫ টা ও আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় সময় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০২জন নারীসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেনঃ ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম(৪০), পিতা-মৃত শামসু উদ্দিন, সাং-চোয়াল, থানা ও জেলা-নরসিংদী, ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৭), পিতা-মোঃ লেবু মিয়া, সাং-ডাকাতিয়া, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ, ৩। হাওয়া বেগম (৩০), পিতা-রহিম উদ্দিন, সাং-বাহাদুর পুর, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- কড্ডা, থানা- বাসনা, জেলা- গাজীপুর, ৪। মোছাঃ আয়শা খাতুন (৩৫) পিতা- মোঃ হজরত আলী, সাং- আন্দারিয়া পারা, থানা- ফুলবাড়িয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা-কোনা বাড়ী, থানা- বাসনা, জেলা- গাজীপুর।

এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ০৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ২১ বোতল, ০১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভৈরবের দূর্জয়মোড় এলাকা থেকে ০২জন নারীসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সহকারি প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মুফতি জাকারিয়া খান-(৪৩)সহ আরো ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত রোববার রাতে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে জেলায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৩৬৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মুফতি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চালানো তান্ডবের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মুফতি জাকারিয়া খান জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদের নির্দেশে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুরও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত  ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার-১০


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোঃ হিরণ চৌধুরী-(৫০) নামে এক ইজিবাইক চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার খালাজুড়া-আনোয়ারপুর সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হিরণ চৌধুরীর বাড়ি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামে।

পরিবারেরর লোকজন জানান, হিরণ চৌধুরী গত রোববার বিকেলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে খালাজুড়া-আনোয়ারপুর সড়কের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটনো হয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

আখাউড়ায় ইজিবাইক চালককে গলাকেটে হত্যা


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের এক মাসের মাথায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রেরিত এক আদেশে তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন ওসি রহিমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে হঠাৎ করে তাকে বদলি করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলেন নি।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা। ২৮ মার্চ শহরে তান্ডব চলাকালে আন্দোলনকারীদের পুলিশ কোন ধরনের বাঁধা না করে সদর থানা থেকে মাইকে বলা হয়, “আন্দোলনকারী ভাইয়েরা আপনার সদর থানা আক্রমন করবেন না, পুলিশ আপনাদেরকে কিছু করবে না। এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

সদর থানা থেকে মাইকে ঘোষনার বিষয়টি শহরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে সূধি সমাজের মধ্যে। এদিকে তান্ডেবের ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ৩৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

আব্দুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলির আদেশ

২৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানাধীন উত্তর শেরপুর এলাকা হতে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১। মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, সাং-উত্তর শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ ফাহিম (২৫), পিতা-মৃত সঞ্জব আলী, সাং-বামই কাটিয়ারা, থানা-নাকাই, জেলা-হবিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-উত্তর শেরপুর, মাহবুব মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-১৪

ফেসবুকে আমরা..