স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

botv নিউজ:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যার ফলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করছেন। কিন্তু বিনা অপরাধে কারা ভোগ করছেন তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম।একেমন বিবেক দলীয় প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তারা নাকি মানুষের কল্যানের জন্য, জনগনের সেবা করার জন্য, ধর্মীয় শাসন বাস্তবায়নের জন্য, সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজনীতি করেন। এই হল তার নমুনা।নিজের স্বার্থের জন্য একজন মহিলা কারারক্ষী থাকা সত্বেও নিজের গৃহপরিচালিকা ফাতেমাকে বাধ্য করেছে তার সাথে কারা বরণ করার জন্য।এখন মধ্য বয়সী নারী ফাতেমা তার স্বামী-সন্তান রেখে জেলখানায় বেগম জিয়ার সেবা করছে, ম্যাডামের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এরকম সেবা করে যেতে হবে।কারন ফাতেমা বেগম তো গৃহপরিচালিকা, বেতনধারী গোলাম।দারিদ্রতাই ফাতেমাকে গোলাম করে রেখেছে।

এই ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক মানুষ। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার জন্য একজন পরিচারিকা প্রয়োজন। এজন্য তার পরিচারিকা হিসেবে থাকার জন্য ফাতেমা প্রস্তত রয়েছেন।
তবে, কারা বিধির ৯৪৮ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘যখন কোনো কারাগারে মাত্র একজন মহিলা বন্দি থাকেন এবং সেখানে যদি কোনও মহিলা কারারক্ষী না থাকেন, তবে জেল সুপার সে মহিলা বন্দির একজন পরিচিতি মহিলাকে তার সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দিতে পারেন।

কারা বিধি অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কারাগারে মহিলা কারারক্ষী থাকলে কোনো ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা থাকতে পারবে না। তবুও ফাতেমা বিনা অপরাধে কারা ভোগ করাছেন। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারে মহিলা কারা রক্ষী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া কিভাবে পারলেন ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা রাখতে। একজন মানুষ গরীব বলে, তিনি কি বিনা অপরাধে কারাগারে থাকতে পারেন?

খালেদা জিয়ার দেখভাল করা ফাতেমার নিজেরও কিন্তু পরিবার অাছে।তার সন্তানরা মায়ের অপেক্ষায় বাড়ী বসে থাকে।তারা জানে না, বিনা অপরাধে তার মা ৫ বছর পর্যন্ত কারা ভোগ করবে। ফাতেমার মনিব তার নিজের সাজা ভোগে আরাম আয়েশের জন্য ফাতেমাকে নিয়ে গেছেন।

অবাক লাগে একজন নিরাপরাধ মানুষ কারা বরণ করছে, অপরাধীর সেবা করার জন্য।জাতির বিবেককে কতোটা নাড়া দেয় দারিদ্রতা। শুধু মাত্র গরীব হওয়ার কারণে জেল খাটছেন ফাতেমা

প্রসঙ্গে ফাতেমা বেগমের এক প্রতিবেশি বলেন, ফাতেমা তার সন্তানদের খুব ভালোবাসে। সে যখন জানতে পারে খালেদা জিয়ার অপরাধের সাজা হিসেবে বিনা অপরাধে তাকেও কারা ভোগ করতে হবে, সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু উপায় না পেয়ে জেলে যেতে রাজী হয়। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীদের চাপের মুখে ফাতেমার আর কিছু করার ছিলো না

###

দারিদ্রতাই তার বড় অপরাধ, সমপরিমান সাজা হল ফাতেমার

 

 

BOTV এনালাইসেস্  রির্পোট:

আগামী ২রা ২০১৮ইং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের চার দফা সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের পর ২ তারিখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবেই হবে-এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা’র ১ম দফা সম্মেলনের তারিখ ঘোষনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি’র ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কে হবে জেলা ছাত্রলীগের পরবর্তি অভিভাবক এই বিষয়ে এনালাইসেস শুরু করে।

আপনারা তো জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব,বিশিষ্ট লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উপ-র্নিবাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়-৩  (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর জেলা ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন গুলোকে গঠনতন্ত্র আর নীতিমালা অনুসারে নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শ করে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে। যেকারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শান্তিতে আর নিরাপদে বসবাস করছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিকনেত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনার ঘোষনাতে ছাত্রলীগনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে কয়টি যোগ্যতা যেমন: অধ্যায়নরত ছাত্র, অবিবাহিত, উনত্রিশ বছর বয়সের হতে হবে। এছাড়া বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতি অবস্থা, ভৌগলিক অবস্থান, ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা-যোগ্যতা উপর সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আমাদের এই এনালাইসেস্ এর ক্ষেত্রে। সম্পূর্ণ  সততার মধ্যে বর্তমান পেক্ষাপটে যা উঠে এসেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি’র এনালাইসেস্ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হল, তবে সবাই এর সাথে একমত না ও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে শালিন ভাষায় নিচের মন্তব্য কলামে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। তবে অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের সোনার বাংলা বির্নিমাণে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সব কয়টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা’র সরকারকে র্পূনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

এনালাইসেস এর মাধ্যমে উঠে আসা এখন পযর্ন্ত যে কয়টি প্রার্থী মাঠে টিকে আছে তাদের কেউ যোগ্যতা দিয়ে একতরফা জনপ্রিয়তা র্অজন করতে পারেনি। সবাই কোনো না ভাবে যোগ্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি’র এনালাইসেস বলে,

রেদুয়ান আনসারি রিমু – সভাপতি

মেহেদী হাসান লেলিন – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে, যদি রিমু’র সার্টিফিকেট আর লেলিনের মামলা বাদা না হয়।

সেক্ষেত্রে,

মো: মমিন মিয়া – সভাপতি

শাহাদাত হোসেন শোভন – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে,

হতে পারে, যদি মোমিনের বহিস্কৃত হয়ে প্রত্যাহার আর শোভনের সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রভাব এই বিষয় গুলো বাদা না হয়।

সেক্ষেত্রে,

রবিউল ইসলাম রুবেল – সভাপতি

মো: সাইদুল ইসলাম – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে, যদি ও  এইটা  হবে জেলা ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে র্দূ্বল কমিটি। জাতীয় র্নিবাচনকে সামনে রেখে এই  চিন্তায় বাদ পরে।

সেক্ষেত্রে,

মেহেদী হাসান লেলিন – সভাপতি

শাহাদাত হোসেন শোভন – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে, যদি তাদের ভৌগলিক অবস্থান এক বলে কোনো সমস্যা মনে না করা হয়, আর যদি  এই সমস্যা হয়।

সেক্ষেত্রে,

রেদুয়ান আনসারি রিমু – সভাপতি

মো: মমিন মিয়া – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে, এখানেও ভৌগলিক অবস্থানের প্রশ্ন উঠেতে পারে।

সেক্ষেত্রে,

মেহেদী হাসান লেলিন – সভাপতি

মো: মমিন মিয়া – সাধারণ সম্পাদক

অথবা,

রবিউল ইসলাম রুবেল – সভাপতি

শাহাদাত হোসেন শোভন – সাধারণ সম্পাদক

হতে পারে, আর যদি  ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা চিন্তা করে রুবেল আর শোভনকে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব না আনা হয় ।

তাহলে এর চেয়ে আরো তরুণদের হাতে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব চলে যেতে পারে বলে অনলাইন টিভি এনালাইসেস্ এর উঠে এসেছে।

সেক্ষেত্রে কে হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের পরবর্তী অভিভাবক…?

তা দেখার জন্য আমাদের ২তারিখ রাত পযর্ন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই কথা সত্য ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বাহিরে কিছুই হবে না। তার জন্য বয়স না  থাকার কারণে অনেক যোগ্য ছাত্রনেতাদের নাম আসেনি BOTV এনালাইসে্স এ ।

উলেখ্য: সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুযারি-২০১৩ সালে (জাহাঙ্গীর ও পারভেজ)এর নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সম্মেলনে (মাসুম ও রাসেল) এর হাতে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

 

২ তারিখ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন নিশ্চিত, কার কাদে উঠবে ছাত্রলীগের দায়িত্ব

লেখাটি জহিরুল ইসলাম স্বপন এর ফেইসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া:

মতিলাল বণিক কালো রঙের হলেও লাল মিয়া ভাই। বাবা হিন্দু তিনি জাতে মানুষ।মহাজাগতিক মানবধর্মে বিশ্বাসী। কার্ল মার্ক্স,লেনিন, কবি সুকান্ত রবীন্দ্রনাথ কাজী নজরুল তাঁর প্রিয় মানুষ।জন্ম কসবা উপজেলার চণ্ডীদ্বার গ্রামে ১৯৪৪ সালে।পিতা মনোমোহন বণিক পেশায় ডাক্তার।

মতিবাবু ১৯৬৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।১৯৬৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানেরর গভর্নর মোনায়েম খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রতিরোধে অগ্রভাগে ছিলেন।তখন নেতৃবৃন্দ ছিলেন জনাব লুৎফুল হাই সাচ্চু, মাহবুবুল হুদা,কোববাত এ্যাড.( সৈয়দাবাদ) এম এ কাইয়ুম,( কসবা) জনাব দিলারা হারুন,বাদল, ( মৌড়াইল) শফিক খান( পুনিয়াউট) প্রমুখ।

১৯৭০ সালে কসবা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে চণ্ডীদ্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ১৯৬৫-১৯৭০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ও গণতান্ত্রিক অান্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকরেন।

১৯৭১ সালে ছোট ভাই মোহনলাল বণিককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।১৬ এপ্রিল ১৯৭১ দেবীপুরে হাবিলদার আব্দুল মান্নান তাদের১৩ জনকে কিছুদিন থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। গত ৮ মার্চ ১৯৭১ সালে চণ্ডীদ্বার স্কুল মাঠে, পরে চানমোড়াতে হাবিলদার আ হালিমের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।

তাঁর সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ ফিরুজ ( চড়নাল) এম এ কাইয়ুম, নওয়াব মিয়া ( আকবপুর), আ. কাদির, আজহার চতুর্থ বেঙ্গল ( চন্দ্রপুর), জামাল খান, আ. রহিম। জনাব রহিম বলেন, তিনি আমাদের রাজনীতির গুরু। তিনি ছোট ভাইকে খোঁজে না পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর বাড়িতে ফিরে আসেন।আজও শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সোনার বাংলার সম্পদ দেখেন। মানুষের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা,সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। তিনি১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা মতি লাল বণিক।

আমাদের প্রিয় মতি দা…..

 

যখন-তখন, যেখানে-সেখানে, এখুনি সার্বসক্রাইব করুন,ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাথে রাখুন।

সময়-অসময়-সুসময়ের দাবী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি

জীবনবৃত্তান্ত:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় ১৯৮৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বোধবার রাতে নানার বাড়ী জন্মগ্রহন করেন।তিনি বাবা মা র প্রথম সন্তান। বাবা মো. হোসেন আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং তাবলীগ জামাতের আমীর আর মাতা মোছা. ঝরনা বেগম একজন সরকারি কর্মচারী। তার একমাত্র ছোট ভাই সায়েদুর রহমান হ:ক: প্রবাসী। দাদার বাড়ি ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার উত্তর আরিফাইল।

শিক্ষাজীবন:

হাবিবুর রহমান পারভেজ ১৯৯৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয় শহরের পৌর আর্দশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে ৫ম শ্রেনী পাশ করেন।তারপর মায়ের চাকুরীর সুবাদে জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাও উ”চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে বিঞ্জানে প্রথম বিভাগ এস এস সি পাশ করে ব্রাহ্মণব্রাড়িয়া সরকারি কলেজে ব্যবসায়ী বিভাগে ভর্তি হয়। রাজিনীতিতে জড়িয়ে পরার কারণে সে প্রথম বছর পাশ করতে পারেনি, তবে ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে। এরপর রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে বি কম পাশ করে আর এগুতে পারেনি, তবে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ২০০৯ সালে প্রইম বিশ্ববিদ্যালয়ে এল এল বি তে ভর্তি হয়। কিš‘ কর্মজীবন রাজনীতি সংস্কৃতি আর সাংবাদিকতা এই চতুর্থমুখী ব্যবস্ততার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরে মাননীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইণ কলেজ থেকে এল এল বি পাশ করেন।

কর্মজীবন:

শিক্ষাজীবন থেকেই কর্মজীবন শুরু হয়। সেটা হল ২০০৪ সাল থেকে গণ উন্নয়ন সং¯’া নামক এ জি ও র একটা শেওয়াবি প্রকল্পের  অফিস সহকারি পদের মাধ্যমে আখাউড়া পৌরসভায়। ৪ বছরের প্রকল্প শেষে ২০০৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একই প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসেবে যোগদান করেন। কাজ করেন ২০১০ পর্যন্ত। তারপর ২০১১ সালের শেষের দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি বড়ি একটি খামারে সদর উপজেলায় মাঠ সহকারি হিসেবে যোগ দেয়। ২০১৪ সালে ফিল্ড সুপারভাইজারে পদন্নতী লাভ করে। ২০১৬ সারের ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষে পল্লী সঞ্ছয় বাংকে ¯’ানান্তর হবে সিদ্ধান্ত হলেও পরে আবার ২০২০ ইং সাল পযর্ন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয় ।

 

রাজনৈতিক জীবন:

ধর্মভীরু পরিবারের হলেও ছোট বেলা থেকেই  তার মধ্যে নেত্রিত্বের গুনাবলী ছিল। কলেজের ভর্তি পরপরই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জরিয়ে পরে। কলেজের পাশাপাশি এলাকায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তাই প্রথমেই ২০০১ সালে মধ্যপাড়া শান্তিবাগ ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় সাধারণ সম্পদক  হয়। ২০০৪ সালেও একই কায়দায় ৩নংওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হয়। এরপর ২০০৬ সালে ব্রাহ্মবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহ-সভাপতি ও পরে ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৩ সালে একটি সুন্দর সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নেই।

সাংস্কৃতিক জীবন:

মায়ের চাকুরীর কল্যাণে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়ার কারণে হাবিবুর রহমান পারভেজ এমনিতেই সংস্কৃতিমনা ছিলেন। গ্রামের স্কুলে যদি কখনও কবিতা আবৃত্তি, ছবি আকা প্রতিযোগিতা হতো তাতে অংশগ্রহণ করতেন। তবে ২০০০ সালে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য দিয়ে সাংগঠনিক চর্চা শুরু করেন। ২০০৪ সালে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক, ২০০২ সালে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫ সালে বন্ধুসভার সহ-সভাপতি, ২০০৮ সালে জে জে ডি ফ্রেন্স ফোরামের যুগ্ম-আবায়ক, ২০০৯ সালে ঘাতক-দালাল র্নিমূল কমিটির প্রচার সম্পাদক, ২০১০ সালে শুভসংঘ পাঠক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়ে কাজ করেন। আর ২০১২ সালে নিজে নির্বাহী পরিচালক হয়ে আ ব র নি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সাংস্কৃতিক জগতে সফলতার সহিত এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০১৪ সালে জেলা নাগরিক  ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমী, পাবলিক লাইব্রেরী, রেড ক্রিসেন্ট, এপেক্স ক্লাব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সাথে যুক্ত আছে।

সাংবাদিকতা:

সংগঠনের প্রেস-বিঞ্জতি  লেখতে লেখতে সাংবাদিকতা প্রতি তার আগ্রহ সৃস্টি হয়। ২০০৩ সালে এস এইচ সি পাশ করে ¯’নীয় দৈনিক তিতাসকন্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। তারপর জাতীয় দৈনিক ভীমরুল এবং ২০০৮ সালে শেষ দিকে নতুন করে বের হওয়া জাতীয় দৈনিক বাংলদেশ সময় পত্রিকায ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায়। কিš‘ পত্রিকাটা বেশি ভাল করেনি সেই সাথে তার ও সাংবাদিকতায় ভাটা পরে। পরে অবশ্যই ২০০৩ সালে ছাত্ররাজনীতি শেষে এশিয়ান টিভির জেল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।

চলছে….চলবে….

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির প্রকাশক -সম্পাদকের কথা

ফেসবুকে আমরা..