botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে আহমদিয়াদের বাড়িঘর ও ভাঙচুর হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ১ এপ্রিল নাসিরনগর সদরের হেলিপ্যাড মাঠে ওই মহাসম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর কওমী ওলামা পরিষদের উদ্যোগে আগামী ১ এপ্রিল সকাল ১০টায় কাদিয়ানীদের (আহমদিয়া) সকল অপতৎপরতা নিষিদ্ধ এবং তাঁদেরকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এতে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি প্রধান

অতিথি হিসেবে থাকবেন বলে কথা রয়েছে। ওই মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরের সর্বত্র ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এ অবস্থায় উপজেলার নাসিরপুরে বসবাসরত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। ওই গ্রামে বসবাসকারি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মোহাম্মদ ঈছা

মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিজেদের আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিরাপত্তার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাঁদের মসজিদ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের শিকার হতে পারে।

এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু জাফর জানান, যেহেতু নাসিরনগর একটি স্পর্শকাতর এলাকা সেহেতু এ বিষয়ে বিস্তারিত মতামত লিখে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা সাংবাদিকদেরকে জানান, মহাসম্মেলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি দেয়া না দেয়ার কোনো চিঠি এখনো আসেনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো অনুমতি দেয়া হয় নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে জেলে পরিবারের এক যুবক ফেসবুকে পবিত্র কাবাঘর অবমাননা করেছে অভিযোগে তাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় একদল যুবক। পরের দিন ৩০ অক্টোবর এলাকায় মাইকিং করে নাসিরনগর উপজেলা সদরে

প্রতিবাদ সমাবেশ আহবান করা হয়। ৩০ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং হেফাজত ইসলামের ব্যানারে পৃথক দু’টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ও একটি মামলায় চার্জশিট দেয়
###

মহাসম্মেলকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে আহমদিয়ারা আতঙ্কত

 

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর নজির আহমদ,

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, সদস্য আল- আমীন ভুইয়া। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল। সমাবেশে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দুর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করে এবং দুর্নীতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর দুর্নীতিকে ঘৃণা প্রকাশ

botv নিউজ:

মহান স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের গণকবর সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর খারঘর গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। সেদিন ওই গ্রামের ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ২৩ জনকে খারঘর গ্রামেই গণকবর দেয়া হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ গণকবরটি সংরক্ষণ করা হয়নি। গণকবরটি সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, জেলা পরিষদ ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে খারঘর গ্রামে নির্মিত হয় “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১”।  বৃহস্পতিবার এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন পর “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” এর উদ্বোধন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক সুধন বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি ছিল গণকবরটি সংরক্ষণ করার। আজ “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” এর উদ্বোধন হওয়ায় আমরা শান্তি পেলাম।
###

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পর গণকবর সংরক্ষণ

ফেসবুকে আমরা..