সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কিশোরদের ফুলবল খেলায় সৃষ্ট বিবাদের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করা হয়। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ উভয় পক্ষের জনপ্রতিনিধি সহ উভয় পক্ষের ৩০ জন সালিসকারককে থানায় বসে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় থানায় বসার কথা রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড়াইল গ্রামের বাগবাড়ির কিশোর ছেলেরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গত শনিবার গ্রামের পূর্ব পাশের মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের ছেলেরা প্রথমে বাকবিতন্ডা ও হাতহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত স্থানীয়রা বিষয়টি তাৎক্ষনিক নিস্পত্তির চেষ্টা করেন। এ ঘটনার জের ধরেই গত সকালে ইউপি সদস্য জনাব আলী ও তার প্রতিবেশী আব্দুল জব্বারের লোকজন লাঠি সোঠা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ১০টা থেকে তারা বাড়ি ঘরের সরু রাস্তার উপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।
সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষই কিছুটা পিছু হটে। ততক্ষণে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন লোক আহত হয়। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সরাইল থানা পুলিশ। পুলিশ দু’পক্ষের ৩০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের প্রত্যেককে সন্ধ্যায় থানায় বসে সৃষ্ট সংঘর্ষের বিষয়টি তাড়াতাড়ি নিস্পত্তি করার নির্দেশ দেয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নূরুল হক বলেন, বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
###