স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পিকআপ চাপায় জাহাঙ্গীর আলম-(৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটো রিকশার যাত্রী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল (১০ মে) বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ধরখার সাতপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে। আহতরা হলেন, হারিছ মিয়া- (২৮), জুমেল মিয়া- (২৬) ও আশিকুর রহমান- (৩০)।

নিহতের মামা সুজন মিয়া জানান, জাহাঙ্গীর আলম আলম রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। কসবা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে রঙয়ের কাজ করতে সহযোগীদের নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকসা দিয়ে যাওয়ার পথে ধরখারের সাতপুকুর এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ অটোরিকসাটিকে চাপা দিলে জাহাঙ্গীর সহ ৪জন আহত হয়।

আহতবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, পিকআপটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যায়। তার লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যাশ ট্রান্সফার মর্ডানাইজেশন (সিটিএম) প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে পৌর এলাকার মেড্ডায় অবস্থিত সমাজসেবা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাকে এ সব বিতরণ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজেসবা অধিদপ্তরের সিটিএম প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী।

ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আল মাহমুদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার শারমিন রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নরুল মাহমুদ ভূইয়া, রেজিষ্ট্রেশন অফিসার রিপা আক্তার সহ জেলার ৯টি উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাগন।

অনুষ্ঠানে ৯টি উপজেলাসহ জেলা কার্যালয়ে মোট ১১টি ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে রফিজ মিয়া-(৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল ৫টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাঁত মন্ডল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিজ মিয়া ওই গ্রামের মালা মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিকেলে গরুর জন্য হাওরে ঘাস কাটার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে রফিজ মিয়া অচেতন হয়ে জমিতে পরে থাকেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রফিজ মিয়ার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাসিরনগরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাড় ভাঙ্গা রোগীদের চিকিৎসা সেবার লক্ষৌ যাত্রা শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গতকাল (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের পাইকপাড়া সিলভার ফর্ক কনভেনশন হলে আলোচনা সভা ও উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনষ্ঠিত হয়।

এতে অতিথি হিসেবে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মোঃ এমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম সারোয়ারের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা ডা.এ.জেড এম দস্তগীর, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ফখরুল আলম আশেক, ডাঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল, ডাঃ খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডাঃ ফাইজুর রহমান ফায়েজ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একমাত্র ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেন্টারের সেবা চালু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসার সুযোগ পাবে। আর ঢাকা কিংবা কুমিল্লায় যেতে হবেনা। এই হাসপাতালটি চালু হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রমা হাসপাতালের যাত্রা শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রথম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করা ৫০টি মডেল মসজিদের মধ্যে বিজয়নগরের মডেল মসজিদটি রয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানবীর ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণীসহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুসলিম জনগোষ্ঠীর যে ধর্মীয় কর্মকান্ড আছে, ধর্মীয় যে আচার-আচরণ আছে, তার একটি কেন্দ্র হিসেবে এই মসজিদটিকে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। আমরা আশা করছি এখান থেকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হবে। ৪৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মসজিদটির নির্মানে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদের উদ্বোধন

ফেসবুকে আমরা..