সুমন অহম্মেদঃ
ভারতে মুসলমানদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। সোমবার দুপুরে শহরের কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে থেকে কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া খাঁন, জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের প্রচার সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান ও কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাউসার আলম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতে মুসলমানদের উপর হামলা ও নির্যাতন করা হলেও ভারতীয় সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। বিশ্বের যে কোন দেশে মুসলমানদের উপর হামলা হলে আমরা তার প্রতিবাদ করে যাব।

বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আপনি ভারত সরকারকে বলুন মুসলমানদের উপর হামলা বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। এ সময় বক্তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষনা দেন।
###

ভারতে মুসলমানদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কওমি মাদরাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি চেয়ারম্যান।

সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধিগন এই অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীরা বলেন, পুলিশ নিরীহ ও নিরপরাধ যুবকদের আটক করে তার পকেটে মাদক ঢুকিয়ে বাণিজ্য করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা।

সভায় উপজেলার শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করে বলেন, শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এ.এস.আই গোপী সরকার স্থানীয় মাদক ব্যবসায়িদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। ইউনিয়নের মলাইশ, নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া ও শাহজাদাপুর গ্রামে তাঁর অনেক আত্মীয় আছেন। ওইসব আত্মীয়দের কয়েকজনকে তিনি সোর্স নিয়োগ করেছেন। এসব সোর্সদের সহায়তায় তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আটক করেন। পরে সোর্সদের মাধ্যমেই চুক্তি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তিনি গোপী সরকারকে ওই ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার করার দাবি করেন।

সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, মাদকের বিষয়টিকে পুঁজি করে থানার কতিপয় পুলিশ নিরীহ যুবকদের হয়রানি করছে। কৌশলে বাণিজ্য করছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে কিছু পুলিশ সদস্য যাকে সামনে পাচ্ছেন তাকেই (ছাত্র, যুবক) আটক করেন। পরে কৌশলে ছেলেদের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট বা ফুরিন্দা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ি বা সেবনকারী সাজিয়ে চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য করে তাদেরকে ছেড়ে দেন। এভাবে চলতে পারে না। তিনি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা সভায় উপস্থিত পুলিশের প্রতিনিধির উদ্যেশ্যে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্ত দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এ.এস.আই গোপী সরকার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
###

সরাইলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক ব্যবসায়িদের সাথে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ

ফেসবুকে আমরা..