botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র দেলোয়ার হোসেন হৃদয় হত্যা মামলায় সিআইডি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীরের বিরুদ্ধে মনগড়া চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, চার্জশিটে বাদীর নাম ভুল দেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আসামীকে বাদ দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ আনা হয়। এ সময় ওই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,

পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার মোঃ ইউনুস মিয়ার ছেলে ও পৌর এলাকার কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন হৃদয় গত ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর হত্যাকান্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় পরদিন হৃদয়ের বড় ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। গত ১৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার নিয়ে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি’র পরিদর্শক মোঃ আলমগীর। ওই চার্জশিটে বাদী হিসেবে নবীনগর উপজেলার মোহল্লা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে হাজি মোঃ ইব্রাহিমের নাম উল্লেখ করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আসামী পক্ষের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে সিআইডি’র পরিদর্শক মোঃ আলমগীর মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বাদীর নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে বাদ দেয়া হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মামলার বাদী জাকির হোসেন, মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ হাবিবুল্লাহ, মোঃ শাহাদাৎ আলী প্রমুখ।
###

মাদ্রাসা ছাত্র হৃদয় হত্যা মামলা সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি বাজারের সরকারি সম্পত্তি লিজ দেয়া নিয়ে পৌরসভা ও প্রশাসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। পৌর এলাকার আনন্দ বাজার, গোকর্ণঘাট বাজার ও বর্ডার বাজারের খাস ভূমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ব্যক্তিখাতে লীজ প্রদান করেছেন বলে পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে পৌরসভার মাহবুবুল হুদা সম্মেলন কক্ষে পৌর মেয়র নায়ার কবির এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনস্বার্থে অবিলম্বে ব্যক্তিমালিককে দেয়া এসব লীজ স্থগিত করে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র নায়ার কবির বলেন, ‘পৌর এলাকার দেড়শ বছরের পুরোনো আনন্দ বাজার, গোকর্ণঘাট বাজার ও মধ্যপাড়া বর্ডার বাজারটি ২০০৯ সালের গেজেট ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ি বছরের পর বছর ধরে পৌরসভা ইজারা দিচ্ছে। তবে সম্প্রতি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরকারি গেজেট ও নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করে পৌর কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে ওইসব বাজারের বিভিন্ন অংশ ব্যক্তির কাছে ইজারা প্রদান করেছেন। এতে পৌরসভার ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ব্যবসায় ধস নামার পাশাপাশি ক্রেতাদেরকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার উপস্থিত থেকে ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানান। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহি বাজারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস ভূমি তথা “তহ বাজার” ব্যক্তিখাতে লীজ দেওয়ার বিষয়ে পৌরসভা জড়িত নয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীও অবগত নন।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের মতামত নিয়ে কাগজপত্র তৈরী করে ইউএনও’র কাছে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে আমি ইজারা দেয়ার কেউ না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন অনুসারে জেলা প্রশাসক বাজারের ওইসব সরকারি সম্পত্তির মালিক। নিয়ম অনুসারেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি লিজ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,‘ এসিল্যান্ডের অফিস থেকে আমার কাছে লীজের কাগজপত্র আসার পর আমি কাগজপত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। লীজ দেওয়ার কোন এখতিয়ার আমার নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন তা আমি বুঝতে পারছি না।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান গতকাল রবিবার বিকেলে বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুসারে ওইসব বাজার লিজ দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোনো বিষয় থাকে তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। ’
###

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমি ইজারা নিয়ে পৌরসভা ও প্রশাসনের দ্বন্দ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাদরাসা ছাত্রদের হামলার শিকার হন দেশের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী শামসুল হক চিশতি ওরফে চিশতি বাউল।

গত শনিবার রাত ৮টায় জেলা সদরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাদরাসা ছাত্ররা মেলার মঞ্চ ও চিশতি বাউলের গাড়ি ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, গত শনিবার রাতে নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত তিনদিনব্যাপী জাতীয় উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করার সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে গানের কথা মিলিয়ে বক্তব্য দেন চিশতি বাউল।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় কান্দিপাড়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্ররা শহরে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা স্টেডিয়ামে গিয়ে মেলার মঞ্চ ও মাইক ভাঙচুর করেন।
পরে বাউল শিল্পী শামসুল হক চিশতি তার গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় তার ওপরও হামলা করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চিশতি বাউলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

পরে থানায় নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে চিশতি বাউল বলেন, অসুস্থতার কারণে আমার কথা এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাতেই জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটি গানকে কেন্দ্র করে মাদরাসা ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বিষয়টির সমাধান হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উন্নয়ন মেলায় গান গাইতে এসে বাউল শিল্পী শামসুল হক চিশতি

ফেসবুকে আমরা..