botvনিউজ:

মাদক ব্যবসাসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সামসুজ আমান চৌধুরী (পারভেজ) ও তার পরিবারের লোকজনকে দুস্কৃতিকারীরা হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার ৭০/১ “ চৌধুরী প্লাজা” এর বাসিন্দা আলী আশরাফ চৌধুরীর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সামসুজ আমান চৌধুরী পারভেজ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সদর মডেল থানায় পূর্ব মেড্ডার অহিদ মিয়ার ছেলে অন্তর-(২২), মধ্য মেড্ডার মৃত হিরা মিয়ার ছেলে শাকিল ও পূর্ব মেড্ডার আলাউদ্দিনের ছেলে খায়রুল বিল্লাহর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ( জিডি নং-৮৪৬, তারিখ ১৪/০৬/২০১৮)।

অভিযোগে পারভেজ দাবি করেন, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। পারভেজ এসব অসামাজিক কার্যকলাপে বাঁধা ও নিষেধ করলে তার সাথে আসামীদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পারভেজের বাসায় চড়াও হয়। তারা পারভেজ ও তার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও

বাসার দরজা-জানায় ঢিল ছুড়ে ও কুবাইয়া ক্ষতি সাধন করে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যাওয়ার সময় পারভেজ ও তার পরিবারের লোকজনকে যেখানেই পাবে সেখানেই খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় পারভেজ ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি ॥ থানায় জিডি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ্যাম্বুলেন্স মালিক ও সদ্য সরকারি চাকুরীতে অবসরে যাওয়া মোঃ রফিককে (ড্রাইভার রফিক) মারধোর করেছে ক্যাডাররা।শনিবার দুপুরে জেলা সদর আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত রফিককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রফিক অভিযোগ করেছেন ক্যাডাররা তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

হাসপাতালে আহত রফিক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে কাচালঙ্কা নামক একটি দোকান ভাড়া নিয়ে রনি নামক এক যুবক হাসপাতালের রোগীদের জোর করে তার নিয়ন্ত্রনাধীন এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। এতে করে অন্যান্য এ্যাম্বুলেন্স মালিকরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়াও রনি হাসপাতালের ভেতরে থাকা কাচা লংকা নামক দোকানে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা করেন।

এনিয়ে রনির সাথে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা। আহত রফিক দাবি করেন, তিনি সম্প্রতি ঢাকা থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স কিনেছেন। গতকাল শনিবার তিনি ঢাকার মালিককে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে রনি তার পেছেনে লোক লাগিয়ে রাখে। দুপুর ২টার দিকে আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সামনে রনি, তার ভাই সোহেল, বন্ধু সিফাত, তনয়, উত্তম ও রাজু তাকে বেদম মারধোর করে তার কাছে থাকা ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়ের করবেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

এ্যাম্বুলেন্স মালিক রফিককে বেদম মারধোর ॥ ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ফেসবুকে আমরা..