সুমন আহম্মেদঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর রোববার সকালে পৌনে ৯টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৬৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হুমায়ুন কবির মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং দু’বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা আওয়াামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র। হুমায়ুন কবীরের দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বরেণ্য রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবীর ১৯৫২সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মাতার নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৭সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৪সালে তিনি পূনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৮৭সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেএে ব্যাপক অবদান রাখেন। অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর র্দীঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ সহ নানান রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থতা থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

যুক্তরাষ্টে থাকা তার একমাএ মেয়ে এলিন কবীর দেশে আসলে সোমবার তাকে পৈরতলা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
###

চলে গেলেন সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর

ফেসবুকে আমরা..