সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ক্রেতা সেজে মাংসের দোকানে গিয়ে ভয়ঙ্কর চিত্র দেখলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম শরিফুল হক। পরে তিনি দোকান গুলোকে আর্থিক জরিমানা করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম শরিফুল হক সাধারণ ক্রেতা সেজে উপজেলা সদরের সড়ক বাজারের সবকটি গরুর মাংসের দোকান ঘুরে দাম এবং মান পর্যবেক্ষণ করেন।
পরবর্তীতে আখাউড়া থানা পুলিশ ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয় দোকানগুলোতে।
অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমান আদালত দেখতে পায় ভয়ঙ্কর চিত্র। মেয়াদোত্তীর্ণ মাংসকে তাজা বলে চালানোর জন্য গরুর পুরনো রক্ত মেশানো হতো মাংসে। আর মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে ক্রেতারে কাছে বিক্রি করা হতো।
অভিযান চলাকালে মাংসের দোকানের রেফ্রিজারেটর থেকে বোতলভর্তি গরুর পুরনো রক্ত জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দোকান গুলোর রেফ্রিজারেটর খুলতেই সবার চোখ যেন ছানাবড়া! রেফ্রিজারেটরে বোতলজাত করে রাখা হয়েছে গরুর পুরনো রক্ত। পরে বোতলভর্তি রক্ত জব্দ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস সংরক্ষণ এবং গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রয় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ওইসব দোকানগুলোকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস জব্দ এবং তৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরবর্তীতে এসব অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠিন শাস্তির ব্যাপারে দোকান মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরণের অভিযান পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে বলেও জানান তিনি।
###