বিও নিউজ: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র অফিসার সানা উল্লাহকে রবণ করেন জেলায় কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

৫ ই মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে ফুল দিয়ে বরণ করেন জেলায় কর্মরত জুনিয়র অফিসার দ্বিতীয় কর্মকর্তা (সাধারণ) হাবিবুর রহমান পারভেজ, জুনিয়র অফিসার নাহিদ হাসন, কম্পিউটার অপারেটর দ্বিতীয় কর্মকর্তা (টেকনিক্যাল) মো: নজরুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার মাহমুদা আক্তার, মাঠ সহকারী শিউলি আক্তার জবা, অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান আবেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক( অতিরিক্ত) তৈবুর রহমান ভূইয়া রাসেল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানা উল্লাহকে বরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: সিরাজুল ইসলাম নামে এক র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের বিলকিছ বেগম নামে ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই মো. শিমুল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজায় বি.এস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৫ শতকে বিলকিছ বেগম ক্রয়সূত্রে স্বত্ববান ও ভোগদখলকারী এবং বাকি ৫ শতকে সিরাজুল ইসলামের অবস্থান। তবে সিরাজুল ইসলাম র‌্যাব-৯ জোনে কর্মরত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে বিলকিছ বেগমের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি বিলকিছ বেগম তার জায়গায় একাধিকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয় এবং পরে তা ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সিরাজুল ক্ষমতাবলে জায়গা জবর দখল ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে আনা হয়। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিজেরাই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন ও আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) পদক পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে শান্ত ও নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার ভূমিকাও এই পদক প্রাপ্তির পিছনে ভূমিকা রাখে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ -২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পদক প্রদান করেন।

ওই অনুষ্ঠানে মোট ৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহেরও উদ্বোধন করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের এই কৃতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যরা আনন্দিত ও তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণও এই কৃতিত্বের গর্বিত অংশীদার ।
###

বিপিএম পদক পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
কালজয়ী উপন্যাসিক “তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের রচয়িতা অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মনের জন্মভিটায় ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে অদ্বৈত গ্রন্থমেলা-২০২৪। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে চলবে বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত। এবারের মেলায় অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি অদ্বৈত গবেষক হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যূবরণ করেন।

“শান্তনু কায়সার চাদঁপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সীবাড়িতে ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সিরাজুল হক ও মা মাকসুদা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসরের পর তিনি কুমিল্লা নগরীতে থাকতেন এবং লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি। তিনি ২০১৪ সালে প্রবন্ধে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন”। 

অদ্বৈত মল্লবর্মন স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী মেলা উদ্বোধন করবেন বরন্যে কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আ. কুদদুস সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন।

পুরষ্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন জানান, এবারের মেলায় (অদ্বৈত পুরষ্কার-২০২৪) পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। পুরষ্কার হিসেবে থাকছে উত্তরীয়, সনদ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা।

এছাড়া তিনদিন ব্যাপি এই  বই মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকরা অংশ নেবেন। ২০টি স্টলে বই বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে আলোচনা, কবিতা পাঠ, দলীয় আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন ও বাউল গান অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে এই মেলা  সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নিবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা সহ প্রেসক্লাবের প্রবীন নবীন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার

 

বিও টিভি নিউজ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে গত বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে একটানা ভোট গ্রহন। ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে আইনজীবী সমিতির ১৫টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতিসহ ৭টি এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি এবং অপর একটি পদে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্রার্থী এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন ৩২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মোঃ সারোয়ার-ই- আলম পেয়েছেন ২৬৬ ভোট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্রার্থী মফিজুর রহমান বাবুল ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্রার্থী সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পেয়েছেন ২০৫ ভোট।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইউনুছ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১-পদে বশির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২- পদে জাকারিয়া, সম্পাদক তথ্য ও প্রযুক্তি পদে এ.কে.এম শামসুল আলম, সম্পাদক কল্যাণ ও সংস্কৃতি পদে সাদ্দাম হোসেন মিশুক ও সদস্য পদে রাকিবুল ইসলাম সজিব জয়লাভ করেছেন।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে সহ সভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, সম্পাদক পাঠাগার ব্যবস্থাপনা পদে মোশারফ হোসেন সামি, অডিটর পদে সাদ্দাম হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে উম্মে সালমা আক্তার, সদস্য পদে অঞ্জয় চন্দ্র শর্মা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জয়লাভ করেছেন।

এছাড়া সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মোঃ আরিফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি-২৪-এর নির্বাচনি অফিসার অ্যাডভোকেট মোঃ ইসমাইল মিয়া স্বাক্ষরিত ফলাফল শীট থেকে এই তথ্য জানা গেছে। নির্বাচনে আইনজীবী সমিতির ৬১৮ জন ভোটারের মধ্যে ৫৮৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত সভাপতি মামুন/সম্পাদক বাবুল

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্তের ৭০তম জন্মদিন পালন করেছে আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ সন্ধ্যায় আবরনির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  আবরনির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাইভস্টার ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আতাউর রহমান শাহীন। ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কীর্তি বিলাস এর সিইও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ মোল্লাহ, বাতিঘরের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ, সদর উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি খবির রানা, আবরনির সদস্য বিজয় সাহা, মাসুদ, হেলাল আহমেদ, সাইফুল আজিজ সোহেল, মেহদি হাসান প্রসুখ।
এসময় বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত একজন পরোপকারী ও সমাজ হিতৌশী মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে ভালবেসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তেরর ৭০ তম জন্মদিন পালন। 

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকসার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের মোঃ সাদেক মিয়া (৬৮), তার পুত্র রুবেল মিয়া (৩৩) ও পাবেল মিয়া (২৩)। রোববার বাদ জোহর রাজঘর ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে রাজঘর কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হককে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পিতা সাদেক মিয়াকে চোখের চিকিৎসা করাতে তার দুইপুত্র রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া রোববার ভোরে রাজঘর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসায় করে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হন। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো।

তাদেরকে বহনকারী অটোরিকসাটি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে অটোরিকসাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল ও পাভেল মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের পিতা সাদেক মিয়াকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাদেক মিয়াও মারা যায়।

নিহত সাদেক মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও কন্যা ইয়াসমিন বেগম ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই সালাউদ্দিন খান নোমান বলেন, যাত্রীবাহি অটোরিকসাটি তালশহর লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাবা সাদেক মিয়া মারা যায়।

এদিকে নিহতের স্বজনরা দূর্ঘটনার জন্য লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপারের গাফলতিকে দায়ী করেছেন। নিহত সাদেক মিয়ার চাচাতো ভাই আলমগীর, স্বজন নোমান মিয়া ও প্রতিবেশী আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দূর্ঘটনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট কিপার ছিলো না। গেইট খোলা পেয়ে অটোরিকসাটি লেভেল ক্রসিং অতিক্রম সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়।

এ ব্যাপারে লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপার মোঃ আনিসুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গেইট ফেলেছিলাম। অটোরিকসাটি গেইটের নিচ দিয়ে জোর করে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম দূর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রদান করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন, সহকারি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক ও অপারেশন) মোঃ আলাউদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) আহাদ আলী খলিফা ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম মাহমুদুর রহমান।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা দূর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কারা ঘটনার জন্য দায়ী এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।

আশুগঞ্জে ট্রেনের সাথে অটোরিকসার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ তিনজন নিহত

ফেসবুকে আমরা..