সুমন আহম্মেদঃ
সরাইলে যথাযথ ভাবে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯।“তথ্য সবার অধিকার, থাকবে না কেউ পিছনে আর” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অংশিদারিত্বে, পিফোরডি প্লাটফরমস্ ফর ডায়ালগ প্রকল্পের আওতায় মিতালী, উপলদ্ধি, মেঘনা সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ম্যাপ সদস্য, জনপ্রতিনিধি,

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, প্রভাষক, শিক্ষক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘঠনের নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহনে সকাল ১০টায় তথ্য অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লে-কার্ড, ব্যানার, ফেষ্টুন সহ একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি সরাইলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্যাপ লিডার নারায়ণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় মিতালীর সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা। বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় (মহিলা) রোকেয়া বেগম, মো. আবু হানিফ মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া, কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার, প্রকল্পের জেলা সহায়ক (ডিএফ) শুশান্ত চন্ত্র দে রায়, উপলদ্ধির সভাপতি সঞ্জিব কুমার দেবনাথ,

মেঘনার সভাপতি মো. সামছুজ্জামান, শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা আয়োজক তিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন শুধু তিন ইউনিয়ন নয়, ভবিষ্যতে উপজেলার সকল ইউনিয়নে এ কর্মকান্ড চালানো প্রয়োজন। প্রধান অতিথি বলেন, সরকারি সকল দফতরই তথ্য সেবা দিতে প্রস্তুত।

তৃণমূলের সেবা গ্রহীতারা তথ্য নেয়ার বিষয়ে আরো উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তথ্যে উন্নতির কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর সরাইলের তিন সংঘঠন যে কাজ গুলো করছেন। এটা পাইলটিং প্রকল্প। তাদের সফলতায় ভবিষ্যতে আরো ভাল কিছু অপেক্ষা করছে। সবশেষে শিল্পী লালনের পরিবেশনায় মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের গান দিয়ে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
###

স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনের উদ্যোগে- সরাইলে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণ বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে আলহাজ্ব বেগম নুরন্নাহার কলেজ হল রুমে এই সভা আয়োজন করা হয়। সভায় কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মানুষ রতন সংগঠনের সভাপতি নাজাত মোঃ আব্দুস সাত্তার, অ্যাবাকাস প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলাউদ্দিন সাবেরী ও লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদব মাহবুবুর রহমান মাহি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শপথ করান কাওসার আলম সোহেল। কাওসার আলম সোহেল বলেন, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ২০১১ সাল থেকে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদকের বিরুদ্ধে স্কুল কলেজ থেকেই আমাদের প্রতিবাদ শুরু করতে হবে। তিনি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান।

###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণকে না বলে শিক্ষার্থীদের শপথ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক জরুরী সম্মেলনকে সামনে রেখে বৈশি^ক জলবায়ু ধর্মঘট হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য দায়ী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সহায়তায় আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সনাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবদুন নূর।
“একটাই পৃথিবী, একটাই বাংলাদেশ: বাঁচাও পৃথিবী, বাঁচাও বাংলাদেশ, বাঁচাও প্রজন্ম” শ্লোগানে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু, ফারহান নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল এনজিও নেতা এস.এম শাহীন।

মানববন্ধনে বক্তারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সীমিত করা, বন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন বন্ধ করা, জলবায়ু অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশেষত বাংলাদেশকে ঋণ নয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দেয়া, জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে জনঅংশগ্রহণমূলক কর্মকৌশল নির্ধারণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দৃশ্যমান পদক্ষপে গ্রহণ না করে নবায়ন যোগ্য জ্বালানীর পরিবর্তে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মানববন্ধনে সনাক, স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্য, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
###

বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে রফিকুল ইসলাম খন্দকার-(৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলাম খন্দকার জেলার কসবা উপজেলার পাথারিয়াদার গ্রামের মরহুম নওয়াব মিয়া খন্দকারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রফিকুল ইসলাম খন্দকার কলেজপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে রেললাইন পাড় হয়ে শিমরাইলকান্দি গ্রামের মসজিদে যাওয়ার সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের নীচে কাঁটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তার পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ সনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, রফিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসকের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় আলাইন ইসলাম হীরা নামে নয় মাস বয়সী এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আশংকাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।

আলাইন ইসলাম হীরা জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামের কন্যা।

শিশুর পিতা জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে চিকিৎসকের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে।
তিনি বলেন, তার শিশু কন্যা আলাইমা নিমোউনিয়ায় আক্রান্ত হলে গত রবিবার তিনি তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করান। পরে সেখান থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশু হাসপাতালে ডাঃ মোঃ জাকারিয়ার তত্ববধানে ছিলো আলাইমা। ডাঃ জাকারিয়া তাকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আলাইমার চিকিৎসা সম্ভব।

শিশু হাসপাতালে প্রথমে দেখার পর দুইদিন তিনি হাসপাতালে আসেন নি। কর্তব্যরত অন্যান্য চিকিৎসরা আলাইমাকে চিকিৎসা দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আলাইমার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ সময় কর্তব্যরত নার্সরা স্যালাইনের ‘পানি’ সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুশ করে। এরই মধ্যে আলাইমার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকলে ডাঃ জাকারিয়াকে খবর দিয়ে আনা হয়। তিনি এসে দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। স্যালাইনের পানি সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেয়ায় কোনো ক্ষতি হয় নি বলে ডাক্তার তাকে জানান। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়ার পথে আশুগঞ্জ এলাকায় মারা যায় আলাইমা।

এ ব্যাপারে ডাঃ জাকারিয়া ভুল চিকিসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালের ‘ভর্তি পর থেকে ভালোভাবেই তার চিকিৎসা চলছিল। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতেই শিশুটিকে ঢাকায় নেয়ার কথা বলা হয়। স্বজনরা না নিয়ে গেলে সকালে তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আমি এসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলি।
তিনি জানান, ওই শিশুকে স্যালাইনের ‘পানি’ সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেয়ার বিষয়টি নার্সরা অস্বীকার করেছেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে করতে গিয়ে এক মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন রহমত মিয়া-(২২) নামক এক যুবক। বুধবার বিকেল তিনটায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে এই সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রহমত মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের মেয়ে লিজা বেগম-(১৪) এর সাথে একই উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে রহমত মিয়ার গতকাল বুধবার দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করতে আসার দায়ে বর রহমত মিয়াকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে তার পিতার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ ॥ বরের ১ মাসের কারাদন্ড

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখতেন মোঃ হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে কখনো হৃদরোগ, কখনো মেডিসিন, কখনো চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে শহরের পাইকপাড়ায় (রামকানাই হাই একাডেমী রোড) দি শাহজালাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিন সিদ্দিককে তার চেম্বার থেকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক নিজেকে কখনো হৃদরোগ, কখনো মেডিসিন এবং কখনো চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে গত কয়েক মাস ধরে শহরের পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমী রোডের দি শাহজালাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি রোগী দেখছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিন সিদ্দিককে তার চেম্বার থেকে আটক করে।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সনদ্বীপ তালুকদার জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়াই হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক বে-আইনিভাবে রোগী দেখে আসছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিএমডিসির সনদপত্র দেখাতে না পারায় গতকাল সোমবার তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি বিএমডিসির সনদ পেতে হাইকোর্টে একটি রিটের কাগজ দেখান। সেজন্য তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে হাইকোর্টের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক এক ভুয়া চিকিৎসক। তার কাছে বিএমডিসির অনুমোদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নেই। হাইকোর্টে তিনি রিট করলেও তিনি বিএমডিসির কোন অনুমোদন পাবেন না, কারন তিনি চিকিৎসক নন। তিনি ভুয়া।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান ও এশনা পাল উপস্থিত ছিলেন।
###

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া চিকিৎসক আটক ॥ মুচলেকায় ছাড়

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান খান খাদেম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজেউন)।

রোববার সকাল পৌনে ১০টায় আখাউড়ার খড়মপুরের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

বাদ আছর খড়মপুর প্রাঙ্গনে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খড়মপুর মাজার কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
নামাজে জানাযায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল,

আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল হক ধনুসহ বিভিন্ন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মুসল্লীরা অংশ নেন।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান খান খাদেমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

###

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি দেওয়ান খান খাদেমের ইন্তেকাল

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গত শনিবার বিকেলে উপজেলার চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসরকারি বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা প্রমুখ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সু-সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আজকে হাজার হাজার লোক নৌকা মার্কার পক্ষে শ্লোগান দিচ্ছেন, নির্বাচনের দিন আপনারা কোথায় ছিলেন? যদি নৌকার জন্য কাজ করে থাকেন তাহলে কোথায় গেলো ভোট? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন । দিনের বেলা নৌকা আর রাতের বেলা ঘোড়া ?। সবাই নৌকা মার্কার সমর্থক কিন্তু ভোটের বাক্সে ঘোড়া।

তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকা মার্কার জন্য কাজ করার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করেছি। নৌকার বিরোধীতাকারী লোকগুলোর লজ্জা হওয়া উচিত। অনেকের খামখেয়ালি আর চতুরতার জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় দল না করলে কখন করবেন? যারা নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সবাইকে আমরা চিনি। তারা একজনও কমিটিতে থাকতে পারবেন না। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের আহবান জানান।

সম্মেলনে জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
###

বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বার্ষিক মেধাবৃত্তি, এস.এস.সি ও দাখিল পরীক্ষায় ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫২৯ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বার্ষিক মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ শনিবার দুপুওে বাঞ্ছারামপুর সদরে ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম এমপি।

কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মিজানুর করিম, সহ-সভাপতি ও সাবেক যুগ্ম
সচিব আমিরুল করিম মাওলা, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ সেলিম রেজা, কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সমিতির উপদেষ্টা সামেনা বেগম, অধ্যক্ষ আবুল খায়ের দুলাল,মোঃ নুরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ বাবু, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম,

অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম,সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুল, আব্দুল হক, নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ, মাসুদ করিম সাজু,এ.কে.এম সহিদুল হক বাবুল, আব্দুল আহাদ খোকন, জাকারিয়া খোকন, খলিলুর রহমান টিপু,কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, তফাজ্জল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, আলী রেজা রাব্বী,মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, সৈয়দ মোঃ আজিজ, মোঃ জুয়েল আহম্মেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ক্যাপ্টেন (অব:) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘‘তোমরা যারা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছো, তোমরা নিজ প্রতিভার যোগ্যতায় আজকে মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা পুরষ্কার পাচ্ছো। আমি চাই তোমাদের এই মেধার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনে দেশ-জাতির কল্যাণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তিনি অভিভাক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাক এবং শিক্ষকদের প্রভাব অপরীসিম।

একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মেধাবিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাকদের মধ্যে দৃঢ় পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা একান্ত আবশ্যক।’’
###

জন শিক্ষার্থীর মাঝে মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান

ফেসবুকে আমরা..