স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণর শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের উদ্যােগে শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

বাংলাদশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি সামশ রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হাসান রাজা, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিতােষ রায় প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, করােনাভাইরাসের কারণে এ বছর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছ। আপনাদের অনুষ্ঠানে আমরা এসেছি আনন্দ ভাগ করার জন্য। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই আমরা সকলে মিলে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভক্ষণ প্রার্থনা করব আমরা যেন এই মহামারী থেকে মুক্ত হতে পারি।

এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শহরের রাধামাধব মন্দির ইসকন এর উদ্যােগ আলোচনা সভা, অভিষেকসহ নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মের লােকজন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপবাস করেন। এরপর পূজা অর্চনা শেষে ফলমূল, মিষ্টি, প্রসাদ গ্রহণ করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি, পুলিশের দৈনন্দিন ডিউটি মনিটরিং ও জেলার ৯টি থানার দৈনন্দিন কার্যক্রম মনিটরিং ও জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিশকে দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস++) নামক পুলিশের একটি এ্যাপস চালু করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, “ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” (সিডিএমএস++) নামক এ্যাপসের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি থানায় বসানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে থানা সমূহের বাস্তব চিত্র, প্রবেশ গেইট, ডিউটি অফিসার, সেরেস্তা, বেতার অপারেটরের কার্যক্রম, থানা হাজত করিডোরসহ ও থানাগুলোর কার্যক্রম জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে দেখা যাচ্ছে ও মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস++) এ্যাপসটি পুলিশ সদর দপ্তরের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটি চালু করা হয়েছে। ৬ মাস ধরে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলে। গত ১৬ জুলাই থেকে এর কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বর্তমানে কুমিল্লা ও চাদপুর জেলায় চলছে।

তিনি আরও বলেন, এই এ্যাপসের মাধ্যমে জেলা পুলিশের ১৪৭৯জন সদস্যের প্রতিদিনের হাজিরা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সমস্ত ফোর্সের কর্মস্থলে উপস্থিতি, কে কোথায় ডিউটি করছেন তা দেখে তাদেরকে কন্ট্রোল রুম থেকে দিক নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে। এই এ্যাপসের মাধ্যমে জেলা পুলিশের কতজন ছুটিতে, কতজন ট্রেনিংয়ে, কতজন মিশনে আছেন তা জানা যাচ্ছে। তেমনি এই এ্যাপসের মাধ্যমে থানায় মামলা এট্রি করা, আসামী সার্চ করা, সিডি লেখা, আসামী ফরোয়াডিং দেয়া, অনুসন্ধ্যান স্লিপ পাঠানো, নোট লেখা, চার্জশীট লেখাসহ নানা ধরনের কাজ করা যায়। কোন লোকের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা, কয়টি মামলা আছে, কোন থানায় কতটি মামলা আছে তা জানা যায়।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরও বলেন, বিট পুলিশের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মামলার পরিমাণ অনেক কমেছে। ২০১৯ইং সাল থেকে চলতি বছরের (২০২১ইং) জুলাই মাস পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ১০ হাজার ৪১৪টি মামলার মধ্যে পুলিশ ৮ হাজার ৬২৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। বিট পুলিশিং এর কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাঙ্গাসহ নারী নির্যাতন মামলা কমেছে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলায় ৬৫০জন আসামীকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাদবন্দী প্রদান করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ বিভাগে অপরাধীদের কোন স্থান নেই। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত দুই বছরে (তার কার্যকালে) পুলিশের ২৫ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত এবং ১০০জনকে সাজা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় মাদক ও অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। অভিযান চালানো হবে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে। পুরো শহরকে পুনরায় সিসি টিভির আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হবে।প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোহাম্মদ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর (৮ম পর্বের) আওতায় অস্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।

এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল সার্ভিসের ৫০০ জন কর্মীর মধ্যে ২ বছর মেয়াদী অস্থায়ী সংযুক্তি কর্মসংস্থানের জন্য নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়।

নাসিরনগরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের নিয়োগপত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে ৫০ জন অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বিকালে স্থানীয় ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে এই  খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়৷

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম৷

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১কেজি লবণ,১ কেজি ডাল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন, পিআইও সাইফুল ইসলাম ও জন প্রতিনিধিগণ প্রমুখ৷

নাসিরনগরে ৫০ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বেশি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

রোববার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে বাক-লঙ্গণ নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল-হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার, সরকারি কর্মকর্তা, দলীয় নেতৃবৃন্দ,মৎস্য চাষী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নাসিরনগরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে উপজেলার ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলমের সঞ্চালনায় চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল-হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল মিয়া প্রমুখ।

নাসিরনগরের ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে উম্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিতাস নদীর ঘাটে এই পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য অফিসার তাজমহল বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামছু উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথি হায়াত-উদ-দৌলা বলেন, দেশীয় মাছের পোনার প্রজনন ক্ষেত্র যেন ধ্বংস না হয় এ জন্যে আমাদের সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। তিনি দেশীয় মাছের পোনা রক্ষার জন্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোনা মাছ অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে শুক্রবার বিকেলে যাত্রীবাহি নৌকা ডুবির ঘটনায় জামিলা খাতুন (৬৫) নামে আরও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ দাঁড়িয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

মৃত জামিলা খাতুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বৃদ্ধা জামিলা খাতুন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিজয়নগরের চম্পকনগরের নৌকাঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার জন্য নৌকায় উঠেন। নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে আসার পর একটি বালুবাহি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এতে জামিলা বেগম মারা গেলে পরিবারের লোকজন সাথে সাথে প্রশাসনের অগোচরে তার লাশ নিয়ে যায়। এজন্য সরকারিভাবে জামিলার নাম নিহতের তালিকায় প্রকাশ পায়নি, তার পরিবার জেলা প্রশাসনের ২০ হাজার টাকাও পায়নি।

রোববার সকালে জামিলা খাতুনের পুত্রবধূ আখি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে নৌকা ডুবিতে তার শ্বাশুড়ি জামিলা খাতুন মারা গেছেন জানালে সাংবাদিকরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জামিলা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, জামিলা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে শুক্রবার সন্ধ্যায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় নৌকার মাঝিকেই দায়ী করেছেন ওই নৌকার যাত্রী মোঃ জামাল মিয়া (৫০)। নৌকাটি ডুবে তিনি কোন রকমে প্রাণ বাঁচান ।

জামাল মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অয়েল মিলের (সরিষার তেল ভাঙ্গানির মেশিন) মেশিন সংস্কার ও ফিটিংয়ের কাজ করেন। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কান্দিপাড়ায়।

শনিবার দুপুরে লইস্কার বিলে উদ্ধার কাজ দেখতে গিয়ে জামাল মিয়া বলেন, শুক্রবার তিনি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে একটি অয়েল মিলে কাজ শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার চম্পকনগর নৌকা ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আসার জন্য নৌকায় উঠেন। তিনি বসেন নৌকার ছৈয়ার উপরে (নৌকার ছাদে)। তিনি বলেন, নৌকাটিতে তখন নারী, শিশু মিলিয়ে প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলো।
তিনি বলেন, নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার লইস্কার বিলে প্রবেশ করার সময় আমি নৌকার উপর থেকে দেখতে পাই বিলে বালিবাহী দুইটি ট্রলার। এ সময় আমি ও নৌকার ছাদে থাকা কয়েকজন যাত্রী মাঝিকে নৌকাটি বিলের বাম পাশ দিয়ে নিয়ে যেতে বলি। কিন্তু নৌকার মাঝি মাঝি আমাদের কথা না শুনে মাঝ বিল দিয়ে নৌকাটি চালাতে থাকে। এক সময় নৌকাটি গিয়ে ট্রলারের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। সাথে সাথে নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়।

জামাল মিয়া আরও বলেন, নৌকাটি ডুবার সাথে সাথে তিনি সাতরে উপরে উঠার চেষ্টা করলে ট্রলারের দুইজন কর্মচারী তাকে টেনে উপরে তুলেন। পরে তিনি ট্রলারে উঠে নৌকায় থাকা আরেকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। জামাল মিয়া দাবি করেন নৌকার মাঝির ভুলের কারণেই এতোগুলো মানুষ মারা গেছে।

জামাল মিয়া বলেন, চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখেছি। মানুষের আহাজারি শুনেছি। তাই শনিবার উদ্ধার কার্যক্রম দেখতে ঘটনাস্থলে এসেছি। উল্লেখ্য নৌকা ডুবিতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নৌকা ডুবির ঘটনায় মাঝিকে দায়ী করলেন যাত্রী জামাল মিয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রবাসী ভাইকে দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বিজয়নগর উপজেলার আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জলী বিশ্বাস (৩০) ও তার শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস (আড়াই বছর)। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে নৌকা ডুবির ঘটনায় মা-মেয়ের সলিল সমাধি হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মা-মেয়ের লাশ বিজয়নগরে নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়। শিশু ত্রিদিবা বিশ্বাসের মুখটি দেখে অনেকের চোখেই পানি দেখা যায়।
লাশ নিতে আসা অঞ্জলী বিশ্বাসের দেবর সুমন বিশ্বাস জানান, তার বৌদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে। তাদের বাড়ি উপজেলার আদমপুর গ্রামে। তিনি বলেন, বৌদির ভাই হরিপদ বিশ্বাস প্রবাসী। তিনি গত কয়েক মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে হরিপদ বিশ্বাস আবার বিদেশ চলে যাওয়ার কথা।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভাই হরিপদ বিশ্বাসকে দেখতে অঞ্জলী বিশ্বাস তার ছেলে সৌরভ বিশ্বাস (১৭), কন্যা মন্দিরা বিশ্বাস (৬) ও আড়াই বছরের শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাসকে নিয়ে নৌকায় করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছিলেন।পথিমথ্যে সন্ধ্যায় নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর ইউনিয়নের লইস্কার বিলে ডুবে গেলে শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস সহ মা অঞ্জলী বিশ্বাস মারা যান।
তিনি বলেন, তার ভাতিজা সৌরভ ও ভাতিজি মন্দিরাকে নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পরপরই তাদেরকে বিজয়নগরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য নৌকা ডুবির ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত নারী শিশুসহ ২২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রবাসী ভাইকে দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অঞ্জলী ও তার মেয়ে

ফেসবুকে আমরা..