স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা মোবারক উল্লাহকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার রাতে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি হেফাজত থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি তান্ডবের ঘটনায় জড়িত হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিচার দাবি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে, গত ২৬ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত তান্ডবের ঘটনার সাথে হেফাজত এবং তাদের নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং মাওলানা মোবারক উল্লাহ জড়িত ছিলেন। তাই হামলাকারী এবং হামলার নির্দেশ দাতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠাবার কথা স্বীকার করে অবিলম্বে মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ তান্ডবের ঘটনায় দায়ী সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

হেফাজতের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবি ছাত্রলীগের

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রামরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু কালাম ভূইয়া, সাধারন সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহাবুব আলম, বাসুদেব ইউপি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের আলম ভূইয়া, সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ উমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহীন ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাদৎ হোসেন শোভন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
বক্তারা এসব হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনায় জড়িত হেফাজত নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
পাশাপাশি বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ভিডিওফুটেজ দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..