ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: সিরাজুল ইসলাম নামে এক র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের বিলকিছ বেগম নামে ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই মো. শিমুল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজায় বি.এস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৫ শতকে বিলকিছ বেগম ক্রয়সূত্রে স্বত্ববান ও ভোগদখলকারী এবং বাকি ৫ শতকে সিরাজুল ইসলামের অবস্থান। তবে সিরাজুল ইসলাম র‌্যাব-৯ জোনে কর্মরত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে বিলকিছ বেগমের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি বিলকিছ বেগম তার জায়গায় একাধিকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয় এবং পরে তা ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সিরাজুল ক্ষমতাবলে জায়গা জবর দখল ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে আনা হয়। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিজেরাই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কিছু বাড়িঘর হামলা ও ভাংচুরের শিকার হয়।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচন পরবর্তী বিরোধ নিয়ে স্থানীয় নোয়াব আলী গোষ্ঠীর সাথে কাউসার মেম্বার গোষ্ঠী, হাজী গোষ্ঠী, মাইঝ গাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত ৭টি গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মাস আগে কাউসার মেম্বারের মেয়ে নোয়াব আলী গোষ্ঠীর আব্দুল আহাদের ছেলে মহসীনের সাথে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারো বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে বুধবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কাউসার মেম্বার গোষ্ঠীর পক্ষে হাজী গোষ্ঠী, মাইঝ গাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত ৭টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম বলেন, মেয়ে সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তারা সংঘর্ষে বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার:
দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন ও আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) পদক পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে শান্ত ও নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার ভূমিকাও এই পদক প্রাপ্তির পিছনে ভূমিকা রাখে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ -২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পদক প্রদান করেন।

ওই অনুষ্ঠানে মোট ৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহেরও উদ্বোধন করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের এই কৃতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যরা আনন্দিত ও তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণও এই কৃতিত্বের গর্বিত অংশীদার ।
###

বিপিএম পদক পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন

ফেসবুকে আমরা..