botvনিউজঃ

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম. পি বলেছেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মিথ্যা কথা বলছেন। ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের কপি টাইপ করতে যুক্তিসংগত যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময়েই তারা কপি পাবেন। এরপর এক মিনিটও দেরি হবে না। এতে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন, রায়ের কপি ইচ্ছে করে দেরিতে দেয়া হচ্ছে বলে বিএনপির নেতারা যে দাবি করছেন, তা প্রত্যাখান করেছেন আইনমন্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার সকালে মন্ত্রী আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওবায়দুল হক অফাই এর মরদেহ দেখতে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার হীরাপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আর কোনো মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয় নি। কোনো মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে না।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিনের জন্য জজকে জিম্মি করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে তিনি আখাউড়া উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত আনন্দ র‌্যালিতে অংশ নেন। যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাসেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল প্রমুখ। নব-গঠিত যুবলীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

খালেদা জিয়াকে আর কোনো মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয় নি

botv নিউজ:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যার ফলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করছেন। কিন্তু বিনা অপরাধে কারা ভোগ করছেন তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম।একেমন বিবেক দলীয় প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তারা নাকি মানুষের কল্যানের জন্য, জনগনের সেবা করার জন্য, ধর্মীয় শাসন বাস্তবায়নের জন্য, সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজনীতি করেন। এই হল তার নমুনা।নিজের স্বার্থের জন্য একজন মহিলা কারারক্ষী থাকা সত্বেও নিজের গৃহপরিচালিকা ফাতেমাকে বাধ্য করেছে তার সাথে কারা বরণ করার জন্য।এখন মধ্য বয়সী নারী ফাতেমা তার স্বামী-সন্তান রেখে জেলখানায় বেগম জিয়ার সেবা করছে, ম্যাডামের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এরকম সেবা করে যেতে হবে।কারন ফাতেমা বেগম তো গৃহপরিচালিকা, বেতনধারী গোলাম।দারিদ্রতাই ফাতেমাকে গোলাম করে রেখেছে।

এই ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক মানুষ। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার জন্য একজন পরিচারিকা প্রয়োজন। এজন্য তার পরিচারিকা হিসেবে থাকার জন্য ফাতেমা প্রস্তত রয়েছেন।
তবে, কারা বিধির ৯৪৮ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘যখন কোনো কারাগারে মাত্র একজন মহিলা বন্দি থাকেন এবং সেখানে যদি কোনও মহিলা কারারক্ষী না থাকেন, তবে জেল সুপার সে মহিলা বন্দির একজন পরিচিতি মহিলাকে তার সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দিতে পারেন।

কারা বিধি অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কারাগারে মহিলা কারারক্ষী থাকলে কোনো ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা থাকতে পারবে না। তবুও ফাতেমা বিনা অপরাধে কারা ভোগ করাছেন। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারে মহিলা কারা রক্ষী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া কিভাবে পারলেন ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা রাখতে। একজন মানুষ গরীব বলে, তিনি কি বিনা অপরাধে কারাগারে থাকতে পারেন?

খালেদা জিয়ার দেখভাল করা ফাতেমার নিজেরও কিন্তু পরিবার অাছে।তার সন্তানরা মায়ের অপেক্ষায় বাড়ী বসে থাকে।তারা জানে না, বিনা অপরাধে তার মা ৫ বছর পর্যন্ত কারা ভোগ করবে। ফাতেমার মনিব তার নিজের সাজা ভোগে আরাম আয়েশের জন্য ফাতেমাকে নিয়ে গেছেন।

অবাক লাগে একজন নিরাপরাধ মানুষ কারা বরণ করছে, অপরাধীর সেবা করার জন্য।জাতির বিবেককে কতোটা নাড়া দেয় দারিদ্রতা। শুধু মাত্র গরীব হওয়ার কারণে জেল খাটছেন ফাতেমা

প্রসঙ্গে ফাতেমা বেগমের এক প্রতিবেশি বলেন, ফাতেমা তার সন্তানদের খুব ভালোবাসে। সে যখন জানতে পারে খালেদা জিয়ার অপরাধের সাজা হিসেবে বিনা অপরাধে তাকেও কারা ভোগ করতে হবে, সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু উপায় না পেয়ে জেলে যেতে রাজী হয়। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীদের চাপের মুখে ফাতেমার আর কিছু করার ছিলো না

###

দারিদ্রতাই তার বড় অপরাধ, সমপরিমান সাজা হল ফাতেমার

ফেসবুকে আমরা..