স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের চতুর্থদিনে গত রোববার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনগনকে বার বার বলা হচ্ছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলাতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লংঘনের অপরাধে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ হাজার ৩ শত ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮ শত ২৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন।

কঠোর লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “৩৩৩”- এ কল পেয়ে খাদ্য নিয়ে কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।  সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর এলাকার মধ্যপাড়া, কাজীপাড়া ও পুনিয়াউট গ্রামের ৫২টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য হিসেবে এক প্যাকেট গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেঁয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের ফলে সাময়িক কর্মহীন মানুষজন খাদ্য সহায়তার জন্য “৩৩৩”- এ আবেদন করলে আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সোমবার ৫২টি পরিবার ও রোববার ২৭টি পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে।

খাদ্য বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস.আর ওসমান গনি সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য নিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

“৩৩৩” এ খাদ্য সহায়তা চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার দুপুরে তিনি শহরের মেড্ডা, পাইকপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৭টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য এক প্যাকেট, গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লাকডাউন চলাকালে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ার কারনে জালাল মিয়া- (২০) নামে এক যুবককে জরিমানাস্বরুপ এক বক্স মাস্ক বিতরনের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য এই নির্দেশ দেন। জালাল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে। সে শহরের কাজীপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করেন।

জালাল মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কুমারশীল মোড়ে কাজে যাওয়ার পথে মুখে মাস্ক না থাকার কারনে প্রেসক্লাবের সামনে তাকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তাকে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একবক্স মাস্ক বিতরণ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, ছেলেটি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল করছিলো। এসময় তাকে আর্থিক জরিমানা না করে একবক্স মাস্ক কিনে বিতরণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল না করার জন্যে সর্তক করা হয়। তিনি বলেন, যারা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যুবককে মাস্ক বিতরণের নির্দেশ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ একাধিক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন কাজ করছেন। তিনি বলেন জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করেনাভাইরাসের উর্ধ্বগতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে সরকার ঘোষিত সর্বাত্বক লকডাউন। লকডাউন কার্যকর করতে গতকাল শুক্রবারও সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা শহরে টহল দিচ্ছেন।

জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন মাঠে রয়েছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যগন মানুষকে দাঁড় করিয়ে শহরে ঢোকার কারন জানতে চাইছেন। প্রথমদিনের তুলনায় শুক্রবার শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।
মহাসড়কগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে শহরে সীমিত সংখ্যক রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। পন্যবাহি কয়েকটি ট্রাককে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। শহরের সকল শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রয়েছে।

লকডাউনের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ২টি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অহেতুক মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরাফেরা ও অকারনে রাস্তায় ঘুরাফেরার জন্য ৩ জনকে ১ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম. ইয়াসির আরাফাত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনার সংক্রমণরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। তবে জরুরী সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা রয়েছে। সড়কগুলোতে পন্যবাহি ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করছে। লকডাউনের কারনে শহরের মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বিনাকারণে কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। শহরে প্রবেশকারীদেরকে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনানুগ ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।

দুপুর ১টার দিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের নেতৃত্বে আইন-শৃংখলাবাহিনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য বাহিনীর আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগন।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, ৫ শতাধিক পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩টি টীম কাজ করছেন। যারা বিনা কারণে সরকারি আইন অমান্য করে বাড়ি থেকে বের হবেন তাদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর ভাবে সেটি প্রয়োগ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু কঠোর লকডাউন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পাঁচ শতাধিক পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ার মাধ্যমে শহরের দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য কাজ শুরু করেন। পরে পর্যায়ক্রমে শহরের বাণিজ্যিক বিতান, শপিংমলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং ঔষধের ফার্মেসী ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে চলাফেরা করতে দেয়া হচ্ছেনা।

শহরে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রন করার জন্যে প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়ক গুলোতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকসা, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, ট্রাকসহ পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিক নিয়মে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সীমিত পরিসরে লকডাউনে আমরা কাউকে অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে দেব না। পুলিশের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মুহাম্মদ শাহীন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার ১১৬টি পয়েন্টে ৫ শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো মূল্যে সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে পুরো জেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২টি মোবাইল কোর্ট বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ৬জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৭ হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬২ জন মারা গেছেন।

বর্তমানে জেলায় সেভ আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩শ ৬৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ২০ জন। তাদের সকলেই হালকা এবং মাঝারি আকারের সর্দি-জ্বর, সাধারন উপসর্গে আক্রান্ত। তিনি জেলার সকল নাগরিকদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহবান জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে ৫ শতাধিক পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ “ জেলা পর্যায়ে” শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদান ও আলোচনা সভা শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অর্জনের স্বীকৃতিস্বরুপ চারজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে তাদের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (্ইউএনও) নূর-এ-আলম, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গোপনীয় সহকারী কাম উচ্চমান সহকারী মোঃ শাহজাদা খান।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহেদী মাহমুদ আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া প্রমুখ। একই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মোঃ ফজলু মিয়াকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারজনকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষনা বাতিলসহ আট দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের গোষনা বাতিল করা, বুয়েটের প্রস্তাবিত রিকশা বডি, উন্নত গতি নিয়ন্ত্রক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকসহ সকল শ্রমজীবি শ্রেনীর মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, যানজট নিরসনে জেলা শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা, প্রত্যেক জনবহুল এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের জন্য স্ট্যান্ড নির্মানর, পৌর এলাকা ও পৌর এলাকা সংলগ্ন রিকশা ও রিকাশা চালকের লাইসেন্স এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালানোর অধিকার দেয়া।

সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক নূরুল আলম ও সদস্য সচিব সাহেদ মিয়া বলেন, রোববার দুপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা বাতিলের দাবিতে শহর থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটে এলাকায় গেলে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেন। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ব্যানার নিয়ে যায়। পুলিশের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই-তিনজন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, করোনার কারণে দেশের সকল শ্রেনীর মানুষ বিপদজনক সময় পার করছেন। প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই আয়ের পথ সংকুচিত হচ্ছে এবং ব্যয়ের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এই দুঃসময়ে দেশের সবচেয়ে বড় স্বনিয়োজিত শ্রমজীবী সেক্টর ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের কর্মহীন করার মতো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে নতুন করে বেকার হবে আরো কোটি মানুষ। এই পরিবহনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক একটি শতভাগ পরিবেশ বান্ধব পরিবহন। সরকারে উচিত এ পরিবহনকে আরও উন্নত ও সুশৃঙ্খল করা। কিন্তু তা না করে সরকার এই পরিবহনকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তাই সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগম করে তাদের মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কোনো ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি

ফেসবুকে আমরা..