স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক ও মানবিক সংগঠন “স্বপ্ন আকাশ ছোয়া” এর উদ্যোগে অর্ধশতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুর মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কলেজ শিক্ষার্থী স্বর্ণালী আক্তারের অর্থায়নে পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা শহীদ কাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলাওর চাল, চিনি, পিয়াজ, তেল, সেমাই, নুডলস ও দুধ।

খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আজহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও “স্বপ্ন আকাশ ছোয়ার” চেয়ারম্যান স্বর্ণালী আক্তারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন তরুণ উদ্যোক্তা আরেফিন হৃদয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ আল-ইমরান।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা অর্ধশতাধিক পথশিশুর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অর্ধশতাধিক শিশুর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর মাঝামাঝি অবস্থিত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ ডেক-স্ল্যাব মেরামত কাজ করার কারণে দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক হিসেবে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রীজ -সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর মাঝামাঝি অবস্থিত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ ডেক-স্ল্যাব মেরামত কাজ করার চলছে। এ জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে শুধু সেতুর একপাশ দিয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর উপর দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এ অবস্থায় সড়ক বিভাগ থেকে বিকল্প পথ হিসেবে হালকা যানবাহনগুলোকে মোগড়াপাড়া-কাইকারটেক ব্রিজ-নবীগঞ্জ-মদনপুর সড়ক এবং ভারী যানবাহনগুলোকে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রীজ -সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এতে করে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তীব্র যানজটের কারণে শতশত যানবাহনের চালকেরা পন্য নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

পন্যবাহি ট্রাক চালক মাহাবুবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাব কিন্তু নারায়নগঞ্জ এলাকায় ব্রীজে কাজ চলার কারণে সেই সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সড়ক দিয়ে এসেছি। সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে যানজটে পরেছিলাম। দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ পার হয়েছি। কখন যে চট্টগ্রামে পৌছাব তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।

কার্গো ভ্যাসেলের (১২ চাকার ট্রাক) চালক রাজন হাসান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে পৌছি, বিকাল ৫টায় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর অতিক্রম করছি। প্রায় ৮ ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছি।  বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কটি অনেকটা সংকোচিত। সরকারের এনিয়ে ভাবা উচিৎ। সড়কটি প্রশস্ত হলে আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পরে থাকতে হতো না।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম বলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর ডেক স্ল্যাব মেরামত করা হচ্ছে। যার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।

তিনি বলেন, তবে লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাসসহ গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী ভোগান্তি তেমন নেই। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কে হালকা যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেটকার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকসার যাত্রীরা যানজটে পরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বুধবার বিকেল ৩টার পর ব্রীজের মেরামত কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করছেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কোপা আমেরিকার ফুটবলের ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। খেলা শেষে জেলা সদরসহ কয়েকটি স্থানে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশী হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে খেলা চলাকালে রাস্তায় পুলিশী কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
রোববার সকালে খেলা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলে আর্জেন্টিনার ২০/২৫জন সমর্থক একটি আনন্দ মিছিল বের করে রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আনন্দ মিছিল থামিয়ে দেয়।

এ ছাড়া খেলা শেষে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার হাসপাতাল রোডে আর্জেন্টিনার ৩০/৩৫ সমর্থক একটি আনন্দ মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিছিলটি বন্ধ করে দেয়। পুলিশের সতর্কতামূলক অবস্থানের কারণে কোথাও খোলা জায়গায় বড় পর্দায়, কোন ক্লাবে বা চায়ের দোকানে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়নি। রোববার বিকেল পৌনে ৫টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খেলা নিয়ে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সুপার ( অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রোববার ভোর থেকেই জেলার ১১৬টি বিটে মাঠে ছিলো ৪৫টি মোবাইল টিমসহ প্রায় ১ হাজারের বেশি পুলিশ। কেউ যাতে খেলা নিয়ে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সর্তক ছিলো।

উল্লেখ্য, কোপা আমেরিকার ফুটবল খেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত কয়েকদিন ধরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মাঠে ঘাটে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছিলো বাকযুদ্ধ।

গত ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চার জন আহত হয়। এনিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ে বড় পর্দায় ফাইনাল খেলা দেখা নিষিদ্ধের পাশাপাশি সবধরনের বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আজ রোববার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য কোপা আমেরিকা ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মাঠে ঘাটে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বাকযুদ্ধ। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।

দু’দলের সমর্থকদের উত্তেজনা প্রশমন করার লক্ষ্যে ফাইনাল খেলার দিন ভোর থেকেই জেলা জুড়ে হাজারো পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে বড় পর্দায় ফাইনাল খেলা দেখা নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরণের বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোপা আমেরিকার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এর উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্বে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও বিশ্বের অন্যতম ফুটবল টীম চীর প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিল ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে এইসব বাকযুদ্ধ।

ইতিমধ্যে ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চার জন আহত হয়। তাই এই দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খোলা জায়গায় বড় পর্দায়, কোন ক্লাবে বা চায়ের দোকানে কোথাও খেলা দেখার আয়োজন করতে দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এছাড়াও জেলার ১১৬টি বিটে ৪জনে দল করে ১ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবে। খেলা শেষ হওয়ার পর কোন অবস্থাতেই বিজয় মিছিল করা যাবে না। আমরা সেটি করতে দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাইবো। কেউ যদি পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার জন আহত হয়। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও ১জন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ॥ মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা দু’জনই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষায় করে করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৮৪ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার পুরুষ-(৪৫) ও আশুগঞ্জ উপজেলার মহিলা-(৫৫)। এই দু’জন নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭১ জন মারা যান।

নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৮ জন, কসবায় ৩৮, সরাইলে ৪, আখাউড়ায় ৩, আশুগঞ্জে ৮, নাসিরনগরে ২, বিজয়নগরে ২, বাঞ্চারামপুরে ১৯ জন করে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৬৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ২জনের মৃত্যু, নতুন সনাক্ত ৮৪ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন ৩৭টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, নুডুলস, ১ কেজি ডাল ও শিশু খাদ্য হিসেবে এক প্যাকেট গুড়ো দুধ।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, “৩৩৩” নম্বরে ফোন করলে বিষয়টিতে আমরা অধিক গুরুত্ব দেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩৩ কল দিয়ে খাদ্য সামগ্রী পেলেন ৩৭ পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত ৭দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে গত বুধবার (৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন-সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালে গত ৭ দিনে (১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলায় সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অপরাধে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত বুধবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৫১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ৬৯জন করোনায় মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লকডাউনে ৭দিনে ২ হাজার ১৭৩ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর ও পাঘাচং গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪২টি অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি ও পেয়াজ দেয়া হয়। এ সময় সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও একজন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কোপা আমেরিকার ব্রাজিল ও পেরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামচাইল গ্রামের ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সাথে একই গ্রামের আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়ার প্রথমে তর্কবির্তক ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মারধোর করে আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়া ও তার সহযোগীরা। আহত নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাজিলের সমর্থকরা আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবনের সহযোগীদেরকে মারধোর করেন। এতে সেলিম মিয়া, ছয়দাবুর রহমান ও জাকির মিয়া আহত হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদেরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পাল্টা-পাল্টি হামলায় আহত-৪


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস মহামারীতে সাধারন মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে পন্য সামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পন্য সামগ্রী বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। টিসিবির পন্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, মসুর, ডাল ও সয়াবিন তেল।

টিসিবির পন্য বিক্রয় তদারকিকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে ইমামা বানিন জানান, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিসিবির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৫৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রথমদিনে তিনটি স্থানে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পন্য কিনছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু

ফেসবুকে আমরা..