স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়েছে।  শনিবার সকালে পৌর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন করা হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হরিলাল দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য আমরা যে ভাবে নষ্ট করছি আজকের এই বৃক্ষরোপন এটি আমাদের দেশকে আমাদের জাতিকে রক্ষা করবে। সেই সাথে বিশ্বের পরিবেশে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে সেটা রোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। তিনি বলেন, বনায়ন ও বৃক্ষরোপন কার্যক্রমে আমাদের সকলের অংশগ্রহনে পৃথিবী আরো সবুজময় হয়ে উঠবে। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে বৃক্ষরোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আহবান জানান।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপন করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপন করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বনায়ন ও বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে সামিউল হক নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিননগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু সামিউল ওই এলাকার প্রবাসী আলমগীর মিয়ার ছেলে।

পরিবারের লোকজন জানায়, দুপুরে সামিউল বাড়ির উঠানে খেলাধূলা করছিল। এ সময় তার মা হালিমা বেগম রান্না করছিলেন। রান্না শেষে হালিমা বেগম দেখেন সামিউল উঠানে নেই। পরে বাড়ির পাশে পুকুরে সামিউলের লাশ ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিশুটি মারা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার সকাল ১১টায় জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্দোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড এ্যাডঃ কাজী মাসুদ আহমেদ, জে. এস. ডি সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৈমুর রেজা শাহজাদ, জেলা ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম নাঈম, জেলা জাসদের আহবায়ক প্রবীর চৌধুরী রিপন, সাম্যবাদী দলের সভাপতি শাহনুর ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এ্যাডঃ মোঃ নাসির, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সামসুল আলম, সহসাধারণ সম্পাদক ফিরোজ পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসীর, সাধারণ সম্পাদক সানাউর রহমান, রিকশা চালক খান মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ জজ মিয়া প্রমূখ।

সভায় বক্তারা শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করাসহ বন্ধ মিল কল কারখানা চালু করা এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য সারা বছর ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। মহামারী করোনার বিপর্যয়ের কারণে শ্রমজীবী মানুষ অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে। আবারও লকডাউন আসলে শ্রমজীবী মানুষ অসহায় হয়ে পড়বে। তাই তাদের সরকারি প্রণোদনা, ভাল সামগ্রী সহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে।

এছাড়া এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি শ্রমজীবী মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শ্রমজীবী মানুষ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে বাধ্য হবে।

এসময় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ কোকিল টেক্সটাইল মিল চালু করা সহ নতুন শিল্প কল কারখানা স্থাপনের দাবী জানিয়ে সদর হাসপাতালের সকল অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধ করা এবং পৌরসভায় রাস্তাঘাট মেরামত করারও দাবী জানান।

ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আসা অব্যাহত রয়েছে। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ও পড়াশুনা করতে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ফিরছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যাত্রীরা ভারত থেকে ফিরতে পারছেন। গত বৃহস্পতিবার নাগাদ এক হাজার ৯৩৮ জন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৪৭২ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর মধ্যে অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারত ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন মানতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার ব্র্যাক লানিং সেন্টারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ জেলায় কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৫৪ জন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ১৯৩৮ জন বাংলাদেশি যাত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুবিনা আক্তার-(৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী মুর্শিদ মিয়া। আজ দুপুরে ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে রুবিনা আক্তারের লাশ রেখে স্বামী মুর্শিদ মিয়া পালিয়ে গেছে।

গৃহবধূ রুবিনা আক্তার জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মেয়ে এবং একই উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের আড়াইসিধা গ্রামের প্রবাসী মুর্শিদ মিয়ার স্ত্রী।

রুবিনা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের দাবি স্বামী মুর্শিদ মিয়া মারধোর শেষে রুবিনার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
রুবিনার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে মুর্শিদ মিয়ার সাথে রুবিনার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১২ ও ১০ বছরের দুটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর মুর্শিদ মিয়া বিদেশে চলে যায়। ১০ বছর বিদেশ থেকে কয়েক মাস আগে মুর্শিদ মিয়া দেশে চলে আসেন।

রুবিনার ভাই শরীফ ও বোন নাসরিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুর্শিদ মিয়া রুবিনাকে মারধোর করতেন। বৃহস্পতিবার সকালেও মুর্শিদ রুবিনাকে মারধোর করে। এক পর্যায়ে রুবিনা অচেতন হয়ে গেলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়। পরে মুর্শিদ রুবিনার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।

রুবিনার মা হেলেনা আক্তারও অভিযোগ করে বলেন, রুবিনাকে মুর্শিদ মিয়া মারধোর শেষে মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরিছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর পলায়ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত কারাবন্দিদের মাঝে মাদকের কুফল, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভা- ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল দশটায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মুঃ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেলা সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন।

উক্ত সচেতনতামূলক সভায় কারাবন্দিদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে শপথ করানো হয়।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষরোপন অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সকালে জেলা আনসার ও ভিডিপির কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট আবদুল্লাহ আল হাদী।

বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম, সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট মোঃ শাহাদাত হোসেন।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দলনেতা, দলনেত্রী, ওয়ার্ড দলপতি, ওয়ার্ড দলনেত্রী ও আনসার ও ভিডিপির কমান্ডারদের মধ্যে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

মুজিব বর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষরোপন অভিযান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কারসহ স্থগিত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কাছে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমন্বয়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারের অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির, সাংবাদিক খন্দকার শফিকুল আলম প্রমুখ ।

স্মারকলিপিতে ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কার করে স্টেশনটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুসহ ‘বি’গ্রেডে রুপান্তরিত করে স্থগিত সব ট্রেনের যাত্রা বিরতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি তান্ডবের মূলহোতা জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং তাদের সম্পত্তি বায়েজাপ্ত করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ সংস্কার কাজে ব্যয় করারও আবেদন জানানো হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশন সংস্কারসহ স্থগিত ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গত ৫ জুন রেলওয়ে স্টেশনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু না হলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছিল।

এদিকে গত ১৫ জুন থেকে সীমিত পর্যায়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখনো ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-নোয়াখালির মধ্যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির কোন ব্যবস্থা হয়নি। তাই সম্ভব দ্রুততম সময়ে রেলস্টেশনের বিরাজমান সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চের অব্যাহত আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দুপুর ২টায় পৌর শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার ট্যাংকেরপাড় এলাকা থেকে ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে পশ্চিম পাইকপাড়ার ট্যাংকের পাড়ের সামনে একটি ডাষ্টবিন পরিস্কার করার সময় পরিস্কার কর্মীরা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছেলে নবজাতকের লাশ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি বলেন ধারনা করা হচ্ছে, কেউ হয়তোবা অবৈধ গর্ভপাত করে বাচার মরদেহ ডাষ্টবিনে ফেলে গেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর

ফেসবুকে আমরা..