স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস জনিত কারণে কর্মহীন দর্জি, বেদে সম্প্রদায়, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, পরিবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী,সংবাদপত্র হকার, ফুটপাতের হকার, ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এইসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম প্রমুখ।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, আধা কেজি সুজি, আধা কেজি সেমাই, ২০০ গ্রাম দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ ও ২টি সাবান।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকতাদির চৌধুরী  বলেন, আপনারা অতীতে অনেক সরকার দেখেছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া কোন সরকার দুর্দিনে জনগনের পাশে দাঁড়ায়নি। শেখ হাসিনার সরকার সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সে জন্যই আজ কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্দিনে বিএনপি মানুষের পাশে নেই। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা। বিএনপির তো টাকা-পয়সা কম নেই, কিন্তু তারা অসহায় মানুষের পাশে দাড়ায় না। আওয়ামী লীগ বিরোধ দল থাকলেও জনগণের পাশে থাকে, সরকারে থেকেও আছে।

এ সময় তিনি হেফাজতে ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, কিছু লোক আছে তারা শুধু নিতে জানে, দিতে জানে না। তারা সব সময় আল্লাহ-রাসুলের কথা বলেন, কিন্তু কাউকে কিছু দেয় না। তিনি কোরবানির ঈদে সকলকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। এর পাশাপাশি খামারগুলোতে চলছে অনলাইনে পশু বেচা-কেনা।

সদর উপজেলার ৫টি ও পৌর এলাকার ১টি পশুর হাট বসেছে গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে, চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু বাজারে ঈদের দিন সকালেও পশু বেচা কেনা হবে। এসব অস্থায়ী বাজারে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক পরিধান না করেই বাজারগুলোতে যাচ্ছেন অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা।

ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে অনলাইনে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা করতে পারেন সেজন্য জেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। এছাড়াও অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য ফেসবুকে পেইজ খুলেছেন বিভিন্ন খামারের পক্ষ থেকে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২টি। জেলার তালিকাভুক্ত ১২ হাজার ৩৭০টি খামারে কোরবানির জন্য লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৭টি পশু। জেলায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৩ হাজার ৭১৫টি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য পশু লালন-পালন করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলায় ৫টি ও পৌরসভার উদ্যোগে ১টি অস্থায়ী পশু হাট করা হয়েছে। এ সব হাটে ১৭ জুলাই থেকে বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে আসছেন। এসব অস্থায়ী বাজার গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরু ব্যবসায়ীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ১৭ তারিখ থেকে বাজারগুলোতে পশু আসতে শুরু করলেও বেচা-বিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু কম। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের তাদের পছন্দসই পশু দেখছেন। পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পশ্চিমে পৌরসভার উদ্যোগে করা হয়েছে অস্থায়ী পশুর হাট। রোববার দুপুরে সরজমিনে বাজারটিতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। তবে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

কিশোরগঞ্জ জেলার কুরিয়ারচর উপজেলা থেকে আসা বিক্রেতা সাঈদ মিয়া বলেন, তিনি ৬টি গরু নিয়ে শনিবার বাজারে এসেছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ১টা গরুও বিক্রি করতে পারেন নি। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা কম। ক্রেতারা এসে শুরু দেখছেন। আশাকরি সোমবার থেকে বাজারে ক্রেতার পরিমাণ বাড়বে।

সদর উপজেলার মজলিশপুর থেকে একটি বড় গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন আবু বক্কর নামে একজন বিক্রেতা। তিনি বলেন, তিনি তার গরুর দাম চাচ্ছেন ৬ লাখ টাকা। গরুটিতে কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ মন মাংস হবে। আবু বক্কর দাবি করেন রোববার পর্যন্ত তার গরুটিই ভাদুঘর বাজারের সবচেয়ে বড় গরু।

বাজারে আসা শফিকুল আলম নামে একজন জানান, তিনি এসেছেন দেখতে। তিনি বলেন, গত ১ সপ্তাহ আগেই তিনি অনলাইনে দেখে কোরবানীর জন্য গরু কিনেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বাজার হবে কিনা এই শঙ্কায় অনেকেই অনলাইনে খামারগুলো থেকে গরু কিনে ফেলেছেন।

ভাদুঘর গরুর বাজারের ইজারাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মোঃ পলাশ মিয়া বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানীর পশু আসলেও বেচা-বিক্রি কম। তিনি বলেন, আশা করি সোমবার থেকে বাজারে ক্রেতা বাড়বে। বেচা-কেনা বাড়বে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, গরুর বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে ৬টি মোবাইল টীম কাজ করছে। তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশসহ আইন-শৃংখলার বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। গরু বিক্রেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ.বি.এম সাইফুজামান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই। জেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২টি। পশু আছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৭। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৩ হাজার ৭১৫টি।

তিনি বলেন, বাজারগুলোর পাশাপাশি অনলাইনেও কোরবানীর পশু বিক্রি করা হচ্ছে। অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। এতে খামারীদের যাবতীয় পশুর তথ্য আপলোড করা হচ্ছে। ইতিমধেই বেশ কিছু খামারে অনলাইনে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রজনম মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার্থে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।  রোববার সকালে শহরের তিতাস নদীতে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছুদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ সেট চায়না রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তিতাস নদীর জেলা সদরের এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় নদী থেকে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ সেট চায়না রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে পৌর শহরের মেড্ডা এলাকায় জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসব জালের বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। অভিযান চলাকালে মুক্ত জলাশয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত “পাটিবাঁধ” অপসারণ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন বলেন, দেশীয় মাছের পোনা ও প্রজননক্ষম মাছ রক্ষার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুড়ানো হলো ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১২০ জন ব্যক্তির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে স্থানীয় ফারকী পার্কে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, চিনি, গুড়া দুধ, সাবান ও সুজিসহ নানা উপকরণ।

সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আজিজ মুন্না প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।  শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

গৃহবধূ সীমা আক্তার জেলার আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী।

সীমা আক্তারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয় সীমার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বামী আবুল হাসানের সাথে সীমার ঝগড়া হলে আবুল হাসান সীমাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এতে সীমা অভিমান করে সন্ধ্যায় ঘরে থাকা বিষপান করে।

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই আবুল হাসান ও পারিবারের লোকজন সীমার লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, গৃহবধূকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সীমা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মা রীনা বেগম বাদি হয়ে শনিবার সকালে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর পলায়ন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১২৬জন প্রতিবন্ধীর (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী) মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১কেজি আলু, ১কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল, সেমাই এক প্যাকেট, সুজি এক প্যাকেট, চিনি, গুড়ো দুধ ও ২টি সাবান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস, কিশোর কুমার দাশ, ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই গ্রামের মিনার মিয়া, মোঃ আলম, রবিউল, জালাল মুন্সী ও ফোরকান মুন্সী। আহতদের মধ্যে মিনার মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিয়ে খেওয়াই গ্রামের শিপন (১৯) ও হৃদয় (১৮) এর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে হৃদয় আর্জেন্টিনার ও শিপন ব্রাজিলের সমর্থক। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৫জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ১১ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই ম্যাচকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। তবে ফাইনালে জেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়ালটনের শো-রুম থেকে একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার পেয়েছেন শিক্ষক নেতা মোঃ মনির হোসেন (৫৫)। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ২০২১-সিজন-১১ এ দেয়া “মিলিয়নিয়ার ও অসংখ্য লাখপতি” শীর্ষক সুবিধার আওতায় তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষক মনির হোসেনের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মোঃ এমরানুল ইসলাম।

বিজয়ী মোঃ মনির হোসেন পৌর এলাকার কাজীপাড়ার বাসিন্দা ও পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
ওয়ালটনের ডেপুটি সিইউ প্লাজা ট্রেড আবুল কালাম আজাদ মিঠুর সভাপতিত্বে চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রভাষক শাহাদাত হোসেন, রাইজিংবিডির জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটনের ন্যাশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার প্লাজা সেল্স এন্ড ডেভলপয়েন্ট নরসিংদীর হুমায়ূন কবির খাঁন হিমু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দেওয়ান হাফিজ, সদর উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক আবু কাউছার প্রমুখ।

অনুভূতি ব্যক্ত করেন ১০ লাখ টাকা বিজয়ী মোঃ মনির হোসেন। তিনি বলেন, মাত্র ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছি। জীবনে এই প্রথম একটা পুরষ্কার পেলাম। একটা ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছি, ভাবতেও অবাক লাগে। তিনি ক্রেতাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার পেয়েছেন শিক্ষক মনির হোসেন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাসের শ্রমিক, ঋষি সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০কেজি করে চাল, ১ লিটার তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই, ২০০ গ্রাম দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১ প্যাকেট নুডুলস ও দুটি সাবান।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এই খাদ্য সামগ্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের জন্য এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটি আপনাদের অধিকার।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য ত্রাণ গ্রহীতাদের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, করোনা মহামারিকালে পুরো বিশ্বে একধরনের অস্বস্থির অবস্থায় রয়েছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে যারা পশুর হাটে যাবেন তারা অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা মেনে বাজারে যাবেন। তিনি কোরবানীর পশুর চামড়া কওমি মাদরাসায় দান না করার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যাদের খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন তারা প্রয়োজন ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সিভিল সার্জন ডাঃ একরামউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার এক পুরুষ-(৭৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৩০ টি নমুনা পরীক্ষায় করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫ জন, কসবা উপজেলায় ৩৭ জন, সরাইল উপজেলায় ১ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, নাসিরনগর উপজেলায় ৩ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৪জন, নবীনগর উপজেলায় ৬০ ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ২৫ জন রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৫১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯৩১ জন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ১ জনের মৃত্যু ॥ নতুন সনাক্ত ১৮২ জন

ফেসবুকে আমরা..