স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সংকটাপন্ন রোগীদেরকে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিতে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “বাউনবাইরার কতা ও হেল্পলাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রুপ” এর উদ্যোগে চালু হয়েছে “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক” সেবা।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার দক্ষিণ মোড়াইলে “ নিঃশ্বাস নিবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০টি সিলিন্ডার নিয়ে তাদের এই সেবাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন ও অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল, অক্সিজেন ব্যাংকের সমন্বয়কারী সোহেল রানা, বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন মোঃ আরিফুল ইসলাম মোল্লা, রনি খান, সাইফুল ইসলাম, জুবায়ের হায়দার রিয়েল, মোশাররফ হোসেন, সাইফুল জুয়েল, মাহবুব আলম উজ্জ্বল, আতিকুর রহমান, গোলাম কায়সার কিবরিয়া প্রমুখ।

বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন ও অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল এবং অক্সিজেন ব্যাংকের সমন্বয়কারী সোহেল রানা ভূইয়া বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নাকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। রোগী অনুপাতে হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরকে সংকটময় মুহুর্তে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক”।

তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ২০টি সিলিন্ডার ও ৫০জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ কমপক্ষে ১০০টি সিলিন্ডার দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেয়া। আমাদের এই সেবাদান কর্মসূচীতে অর্থের যোগান দিচ্ছেন দেশ-বিদেশে থাকা গ্রুপের শুভাকাঙ্খী, দানশীল ব্যক্তি, পরিচিত ও-অপরিচিত মানুষজন। তারা বলেন, তাদের চারটি হটলাইন নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। হটলাইনে ফোন করে করোনা আক্রান্ত যে কেউ বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার জনকে তারা ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন।

ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “ বাউনবাইরার কতা” এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় মোঃ ইকবাল হোসেন (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের এন্টিজেন সেন্টারের সামনে (বিএমএ ভবন) এই ঘটনা ঘটে ।

মৃত ইকবাল হোসেন সদর উপজেলা নাটাই (উঃ) ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে।

পারিবারিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, জ্বরসহ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন ইকবাল হোসেন।
বুধবার সকালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ শেষে নমুনা দেয়ার জন্য ইকবাল হোসেন লাইনে দাঁড়ান। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় হঠাৎ অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া জানান, তিনি করোনা ভাইরাস সাসপেক্টেট ছিলেন। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনার পর তার মৃত্যু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয়ার লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজনের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ে ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন চত্ত্বর, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

অসহায় ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।

খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান জেনী, মোকাব্বের, ইমরান, দস্তগীর আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের মাহমুদ খান শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম রবিন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবক্তা। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন ও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আজ তার ৫১ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। আমাদের অহংকার ও তারুণ্যের আইকন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রলীগ শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছে। তিনি জয়ের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার সকলের কাছে দোয়া চান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখা, মাস্ক পরিধান না করা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত চারদিনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৮৫ জনকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসারসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রামন রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহ লংঘনের অপরাধে ৬৮৫ জন ব্যক্তিকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

লকডাউন অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার দিনে ৬৮৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনার এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের চাপ বাড়তে থাকায় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা শুরু হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সোমবার ভোর থেকে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হাসপাতাল চত্বরে এন্টিজেন টেস্ট করাতে আসা মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লাইন করাসহ শৃংখলা বজায় রাখতে কাজ করতে দেখা যায়।

জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে করোনার এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইনের একটি ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় করোনাভাইরাসের এন্টিজেন পরীক্ষা করাতে আসা লোকজন গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে করোনা পরীক্ষা করতে পারেন সেজন্য কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে স্বেচ্ছায় কাজ শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

করোনার পরীক্ষার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী।  সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসীর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী (১৪) সাথে একই এলাকার আবদুর রউফের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছেলে জুনায়েদের সোমবার দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। পরে বরপক্ষের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শুরু করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও রুমানা আক্তার।

পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। আগামী তিন বছর পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কিশোরীকে বিয়ে দিবে না মর্মে বর, বরের বাবা ও কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন এবং বরপক্ষকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি ওই স্কুল ছাত্রীকে ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলামের জিম্মায় দিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারা (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে, ছেলের বাবা ও মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে এবং ছেলে পক্ষকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী তিন বছর পর্যন্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া যাবে না মর্মে পরিবারের লোকজনকে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।

ইউ এন ওর হস্তক্ষেপে আখাউড়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মোঃ মোখলেছুর রহমান (৬০) নামের একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত মোখলেছুর রহমান জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা গ্রামের হাজী মরহুম আবদুল আজিজ ওরফে শ্যামা সরদারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডায় বাড়ি কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান তার নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের ছাদে উঠে ময়লা পরিষ্কার করার সময় ছাদের রেলিং ভেঙ্গে তিনি নিচে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে অ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। সোমবার রাত ৮টায় পূর্ব মেড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাযা শেষে লাশ সরাইল উপজেলার তারাখলা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি নিজ বাড়ির ছাদ পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত ছাদের রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আইনজীবীর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে উপজেলার বুড়ি নদীর শাখা নদীতে নৌকায় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান-বাজনা করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সাউন্ড বক্স গুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন নবীনগর লঞ্চঘাট এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে একদল যুবক (৩০/৩৫ জন) একটি বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সামিয়ানা টানিয়ে নৌকায় বড় বড় সাউন্ড বক্স ও মাইক লাগিয়ে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যুবকরা নৌকাটি ছাড়ার আগেই নৌকায় উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে অশালীন ভঙ্গিতে লাফালাফি ও হৈচৈ করছিলো।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যুবকদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও নৌকায় থাকা সাউন্ড বক্সগুলো জব্দ করে নিয়ে যান। এ সময় নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে এ আলমসহ পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে যুবকেরা তাদের দোষ স্বীকার করায় তাদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও নৌকায় থাকার সাউন্ড বক্স গুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নবীনগরে নৌকায় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে গান বাজনার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে তাবাসসুম আক্তার (৪) ও উমর মিয়া (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুহিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু তাবাসসুম আক্তার উত্তর সুহিলপুর গ্রামের মহসিন মিয়ার কন্যা ও উমর মিয়া একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে ওমর ও তাবাসসুম বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। হঠাৎ করে তারা সেখান থেকে হারিয়ে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খেলার মাঠে গরু চড়ানো নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ১২জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর খেলার মাঠে পার্শ্ববর্তী ভলাকূট গ্রামের কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলছিলো। এ সময় রতনপুর গ্রামের হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যক্তি এই মাঠে গরু চড়াতে যান। এ সময় রশি ছিড়ে একটি গরু খেলার মাঝখানে ঢুকে পড়ে। এতে খেলা বিঘ্নিত হয়। ছেলেরা গরুটিকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিলে হুমায়ূন কবিরের ভলাকূট গ্রামের ছুট্টু মিয়া ও মঙ্গল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা হুমায়ূন কবিরকে মারধোর করে।

এ ঘটনার জের ধরে রোববার দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে কামাল (৪৫) হুমায়ূন কবির (৩২), ফিরোজ মিয়া (৬৫), মোবারক (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৭), এবাদত মিয়া (৩৩), আল আমিন (২৭), সালাউদ্দিন (৩৭), সুজন মিয়া (৩২) মোশারফ (৪০), আবদুর রহমান (৪৫) ও জিন্নত আলী (৭০) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকীরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহত ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি উপজেলার চাতলপাড় ও ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মিমাংসা করে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানায় কোন মামলাও হয়নি।

নাসিরনগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-২০

ফেসবুকে আমরা..