স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্তিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,  অন্ধকারের শক্তি যারা, তারা আলোর পথে যাত্রা চর্চা হয় সেটাকে পছন্দ করে না। তাই বারবার তারা আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ, শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা যেখানে আছে সেখানে হামলা করছে। কারণ তারা মুক্ত চিন্তার বিপক্ষে। তাদের চিন্তা নিজস্ব বলয়ের ভেতরে।

তিনি গত ২৮ মার্চ দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী পরিচলানা কমিটির সহ-সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গণি সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে বলেন, যখন মাদরাসাগুলো খুলে দেয়া হবে, তখন যেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচীগুলো যেন পালন করার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শাহ-আলম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি জেলার কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের মধ্যে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কাজ উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সায়মন (৯) নামে এক মাদরাসার ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের নদ্দাপাড়ার একটি ধানি জমি থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু সায়মন সুহিলপুর গ্রামের নদ্দাপাড়ার বাদল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে সায়মন তার বাবার সাথে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জমিতে ঘাস কাটতে যায়। কিছুক্ষণ পর সে তার বাবাকে বলে আর ঘাস কাটবে না। বাড়িতে চলে যাবে। একথা বলে সে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদল মিয়া বাড়িতে গিয়ে দেখে সায়মন বাড়িতে ফিরেনি। পরে পিতা বাদল মিয়াসহ পরিবারের লোকেরা তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে আনুমানিক আধা কিলেমিটার দূরে ধানি জমিতে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সায়মন স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে। তার বাবা-মাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভীড়। এতে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ-উল আযহা শেষে গত শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।

কঠোর লক ডাউনকে উপেক্ষা করেই শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এবং বিজয়নগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এই ফুটবল খেলা উপভোগ করে।

এছাড়া শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ভ্রমণ পিয়াসুদেরভ ভীড় জমতে থাকে। একই অবস্থা হয় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বিলের পানির উপর নির্মিত একটি পর্যটন স্পটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজারো ফুটবলপ্রেমি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে আখাউড়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশের জমি এখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার এই পানির উপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক গড়ে তুলেছেন “বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্ট”। শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভীড় জমে হাজারো ভ্রমন পিয়াসুর।

সেখানে বেড়াতে যাওয়া খলিলুর রহমান নামক এক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছরই ঈদের পর পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ঘুরতে বের হই। এবার ঈদের একদিন পরই লকডাউন দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।

হাফিজ ভূইয়া নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় একটু বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে এসেছি। এ ব্যাপারে বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্টের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ঘুরতে যান ভ্রমণ পিয়াসুরা। বিকেল নাগাদ সেখানে মানুষের ভীড় জমে।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, সরকার ঘোষিত “সবচেয়ে কঠোর” লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় “কিং অফ কসবা রিসোর্টে” অনেকেই ঘুরাফেরা করতে আসেন। খবর পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভীড়


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার সকালে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) সালাউদ্দিন খাঁন নোমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে ভাদুঘর গ্রামের ঢালি বাড়ির রেল গেইটের কাছে রেল লাইনের পাশে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফোন দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মালবাহী কোন একটি ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ওই যুবক মারা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী বলেছেন, ভারতে টিকার উৎপাদন বেড়েছে। ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা থাকার পরই আমারা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারবো। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরার পথে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিক্রম দোরাই স্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বেড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হলে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরো বাড়বে। বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারেন নি ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী আখাউড়া স্থলবন্দরে দু’দেশের শূণ্য রেখায় পৌছলে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান।

এ সময় হাই কমিশনারের সাথে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা দুরাই স্বামীসহ স্বজনেরা ছিলেন। উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা দুরাই স্বামী আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে যান।

ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা থাকার পরই আমারা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারবো- বিক্রম দোরাই স্বামী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া কিনে পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে তাদের বড় অংকের টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। আবার মাঠ পর্যায়ে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ মানুষ তাদের কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মসজিদ ও এতিমখানায় দান করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াজাতকারী কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চামড়া বিক্রি হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে চামড়া কিনে জেলা শহরের পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গণ, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট (মঠের গোড়া), টি.এ.রোড, জেলরোড, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জড়ো হন। সাধারণত ঈদের দিন বিকেলেই এসব জায়গায় তারা চামড়া নিয়ে বসেন। এসব জায়গা থেকেই ক্রেতারা চামড়া কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যায় তাদের গন্তব্যে। তবে জেলার সবচেয়ে বড় চামড়ার বাজার বসে সরাইল উপজেলা সদরের বিকাল বাজারে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগের বছর গুলোতে শহর এবং শহরের আশপাশ এলাকা থেকে অসংখ্য খুচরা ও মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী এখানে চামড়া নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার সেই সংখ্যা অনেক কম। তাঁদের মতে, আগের বছর গুলোতে লোকসান হওয়ায় এবং প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় এবার অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী মাঠ পর্যায়ে চামড়া কিনেনি। তবে বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে চামড়া নিয়ে আসছেন পাইকারদের কাছে। তবে আমরা চামড়া কিনেছি। দাম পাবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া কিনে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। নগদ দামে চামড়া কিনে পাইকারদের কাছে বাকিতে বিক্রি করতে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা একটি বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা ও মাঝারী গরুর চামড়া ২০০/২৫০ টাকা করে কিনেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া মহল্লার চামড়া ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া বলেন, ৩০ টাকা ফুট হিসেবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরুর ২২ টি চামড়া কিনেছি।

চামড়া ব্যবসায়ী সুমন মিয়া, শরিফ মিয়া শাকিল মিয়া ও মোহাম্মদ কায়েস মিয়া বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চামড়ার ব্যবসা করেন। এ বছর পুঁজি সংকট থাকায় ধার দেনা করে কিছু চামড়া কিনেছি।  ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে গরুর চামড়া কিনে পাইকারদের কাছে ৪০০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এর মধ্যে পরিবহন খরচ তো আছেই।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ৩০০ টাকা দিয়ে একটি চামড়া কিনে লবণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে আরও ৩০০ টাকা খরচ হয়। এরপর পরিবহন খরচ দিয়ে ট্যানারিতে পাঠাতে হয়। সে অনুযায়ী মূল্য পাব কিনা নিশ্চয়তা নেই।

পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি গ্রামের তারেকুল ইসলাম, কাউতলি গ্রামের মেহেদী হাসান, ফুলবাড়িয়ার খাইরুল কবির বলেন, বুধবার (ঈদের দিন) সন্ধ্যা পর্যন্ত চামড়া কিনতে কেই না আসায় চামড়া মসজিদকে দিয়ে দিয়েছি।

সরাইল উপজেলার চামড়ার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, মহিষের চামড়া গড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় এবং গরুর চামড়া গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা করে কিনেছি।

তিনি বলেন, আমরা চামড়া ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে ভালো দামে চামড়া কিনতাম। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে চামড়া শিল্প বিরাট ধাক্কা খাবে। দেশের চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারের উচিত এই খাতের প্রতি নজর দেয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবায় সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন ২৫ জন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, সরকার ঘোষিত “সবচেয়ে কঠোর” লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় “কিং অফ কসবা রিসোর্টে” অনেকেই ঘুরাফেরা করতে আসেন। খবর পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা প্রচার-প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেছি। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কসবায় রিসোর্টে ঘুরতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন ২৫ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস জনিত কারণে কর্মহীন দর্জি, বেদে সম্প্রদায়, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, পরিবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী,সংবাদপত্র হকার, ফুটপাতের হকার, ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এইসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম প্রমুখ।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, আধা কেজি সুজি, আধা কেজি সেমাই, ২০০ গ্রাম দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ ও ২টি সাবান।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকতাদির চৌধুরী  বলেন, আপনারা অতীতে অনেক সরকার দেখেছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া কোন সরকার দুর্দিনে জনগনের পাশে দাঁড়ায়নি। শেখ হাসিনার সরকার সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সে জন্যই আজ কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্দিনে বিএনপি মানুষের পাশে নেই। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা। বিএনপির তো টাকা-পয়সা কম নেই, কিন্তু তারা অসহায় মানুষের পাশে দাড়ায় না। আওয়ামী লীগ বিরোধ দল থাকলেও জনগণের পাশে থাকে, সরকারে থেকেও আছে।

এ সময় তিনি হেফাজতে ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, কিছু লোক আছে তারা শুধু নিতে জানে, দিতে জানে না। তারা সব সময় আল্লাহ-রাসুলের কথা বলেন, কিন্তু কাউকে কিছু দেয় না। তিনি কোরবানির ঈদে সকলকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা তহবিল থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগে প্যারালাইজড ৫ জনসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ১০০ জন রোগীর মধ্যে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নাসিরনগর অডিটরিয়ামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে চেক বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে অসুস্থ মানুষের হাতে অনুদানের আর্থিক চেক তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা তহবিল থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগে প্যারালাইজডসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ৫ জনকে ১২ লাখ টাকা ও সংসদ সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল হতে একশ জনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

নাসিরনগরে অসুস্থ মানুষের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সকলে মিলে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে। একমাত্র আল্লাহই পারেন এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দিতে।
তিনি সোমবার দুপুরে কসবা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে করোনা পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ-উল আযহা উদযাপন নিয়ে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতায় আমরা করোনাকালে বড় ধরণের প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছি। এমন পরিস্থিতে আমরা বিরোধী দলকে করোনাকালে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখিনি।

এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা সাংবাদিকতায় সমস্যার তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের সংবাদও প্রকাশ করবেন বলে আশা করি। এ জন্যে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল-আলম, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম জি হাক্কানী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছায়েদুর রহমান স্বপন।

মত বিনিময়কালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের জায়গা সহ অফিস ভবনের জন্যে আইনমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়।

কসবায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আইনমন্ত্রী

ফেসবুকে আমরা..