স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
টিকা নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লী গেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। রোববার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

স্থল বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, টিকা বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি দিল্লী যাচ্ছেন।

বাংলাদেশকে কবে নাগাদ করোনার টিকা দেয়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে সময়ক্ষণ বলতে পারেননি তিনি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে আলোচনা করতে দিল্লী যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

এ সময় দোরাইস্বামী আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে সড়ক ও রেলপথ সংযোগ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে দুই দেশই কাজ করছে। এতে উভয়েই লাভবান হবে।

দিল্লী গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১২০ জন ব্যক্তির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে স্থানীয় ফারকী পার্কে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, চিনি, গুড়া দুধ, সাবান ও সুজিসহ নানা উপকরণ।

সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আজিজ মুন্না প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।  শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

গৃহবধূ সীমা আক্তার জেলার আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী।

সীমা আক্তারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয় সীমার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বামী আবুল হাসানের সাথে সীমার ঝগড়া হলে আবুল হাসান সীমাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এতে সীমা অভিমান করে সন্ধ্যায় ঘরে থাকা বিষপান করে।

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই আবুল হাসান ও পারিবারের লোকজন সীমার লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, গৃহবধূকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সীমা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মা রীনা বেগম বাদি হয়ে শনিবার সকালে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর পলায়ন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র আল্লাহই পারেন এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে। শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জীবন জীবিকার মধ্যে ব্যালেন্স আনা সরকারের কাজ। আমরা সেটা করতে গিয়েই লকডাউন বিষয়ে প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় আমরা করোনার বড় ধরণের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছি। বড় বড় রাষ্ট্র যখন করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছে ঠিক তখনই শেখ হাসিনা আমাদের জন্য টিকা কিনে এনেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ইমামদের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইবো তিনি যেন আমাদেরকে পরিত্রাণ দেন।
মত বিনিময় সভায় ইমামদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ইমামদের বেতন ভাতার দাবি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। বাকি দাবিগুলো মন্ত্রী পরবর্তীতে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।

মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মহিউস সুন্নাহ মাদরাসার অধ্যক্ষ আসাদ আল হাবিব, খড়মপুর শাহ্পীর কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, ইমাম সমিতির সভাপতি কাজি মাঈনুদ্দিন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু।

আখাউড়ায় ইমামদের সাথে মতবিনিময় করছেন আইনমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১২৬জন প্রতিবন্ধীর (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী) মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১কেজি আলু, ১কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল, সেমাই এক প্যাকেট, সুজি এক প্যাকেট, চিনি, গুড়ো দুধ ও ২টি সাবান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস, কিশোর কুমার দাশ, ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই গ্রামের মিনার মিয়া, মোঃ আলম, রবিউল, জালাল মুন্সী ও ফোরকান মুন্সী। আহতদের মধ্যে মিনার মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিয়ে খেওয়াই গ্রামের শিপন (১৯) ও হৃদয় (১৮) এর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে হৃদয় আর্জেন্টিনার ও শিপন ব্রাজিলের সমর্থক। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৫জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ১১ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই ম্যাচকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। তবে ফাইনালে জেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়ালটনের শো-রুম থেকে একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার পেয়েছেন শিক্ষক নেতা মোঃ মনির হোসেন (৫৫)। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ২০২১-সিজন-১১ এ দেয়া “মিলিয়নিয়ার ও অসংখ্য লাখপতি” শীর্ষক সুবিধার আওতায় তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষক মনির হোসেনের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মোঃ এমরানুল ইসলাম।

বিজয়ী মোঃ মনির হোসেন পৌর এলাকার কাজীপাড়ার বাসিন্দা ও পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
ওয়ালটনের ডেপুটি সিইউ প্লাজা ট্রেড আবুল কালাম আজাদ মিঠুর সভাপতিত্বে চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রভাষক শাহাদাত হোসেন, রাইজিংবিডির জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটনের ন্যাশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার প্লাজা সেল্স এন্ড ডেভলপয়েন্ট নরসিংদীর হুমায়ূন কবির খাঁন হিমু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দেওয়ান হাফিজ, সদর উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক আবু কাউছার প্রমুখ।

অনুভূতি ব্যক্ত করেন ১০ লাখ টাকা বিজয়ী মোঃ মনির হোসেন। তিনি বলেন, মাত্র ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছি। জীবনে এই প্রথম একটা পুরষ্কার পেলাম। একটা ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছি, ভাবতেও অবাক লাগে। তিনি ক্রেতাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার পেয়েছেন শিক্ষক মনির হোসেন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাসের শ্রমিক, ঋষি সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০কেজি করে চাল, ১ লিটার তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই, ২০০ গ্রাম দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১ প্যাকেট নুডুলস ও দুটি সাবান।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এই খাদ্য সামগ্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের জন্য এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটি আপনাদের অধিকার।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য ত্রাণ গ্রহীতাদের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, করোনা মহামারিকালে পুরো বিশ্বে একধরনের অস্বস্থির অবস্থায় রয়েছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে যারা পশুর হাটে যাবেন তারা অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা মেনে বাজারে যাবেন। তিনি কোরবানীর পশুর চামড়া কওমি মাদরাসায় দান না করার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যাদের খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন তারা প্রয়োজন ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ১৭ হাজার ৫৯৯ জন অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ চন্দন কুমার পোদ্দার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ ছোয়াব আহমেদ হৃতুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নাসিরনগর থানার এস.আই আরিফুর রহমান সরকার, উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সামাদ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ, ইউপি সচিব প্রমুখ।

পর্যায়ক্রমে গোর্কণ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার ৭৫০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।

নাসিরনগরে অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত লাঙ্গলবন্দ সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত ডেক স্ল্যাব সংস্কার কাজ করার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক হিসেবে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রীজ -সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

এতে করে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও (বুধবার) যানবাহনের চাপের কারনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে কমপক্ষে ৫০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট ছিলো। যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে থানার পুলিশ। দিনরাত কাজ করতে গিয়ে তারা হিমসিম খাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত ডেক স্ল্যাবের সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনগুলো লাঙ্গলবন্দ সেতুর একপাশ দিয়ে চলাচল করে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত লাঙ্গলবন্দ সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়ক বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বিকল্প পথ হিসেবে হালকা যানবাহনগুলোকে মুগদাপাড়া-কাইকারটেক ব্রীজ- নবীগঞ্জ-মদনপুর সড়ক দিয়ে এবং ভারী যানবাহনগুলোকে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রীজ -সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এতে করে তীব্র যানজটের কারনে শতশত যানবাহনের চালকেরা পণ্যনিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বুধবার সকাল থেকেই কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই যানজটে আটকা পড়েছে পন্যবাহী ট্রাক, কন্টেইনার, কাভার্ডভ্যানসহ শতশত যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা জানান, তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন। তবে সেতুটি মেরামতের কাজ শেষ হলে এই যানজট আর থাকবে না।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী গার্মেন্টস পণ্যবাহি লরি চালক টুটুল আহমেদ জানান, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ১২ ঘন্টাপর তিনি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছেছেন। গন্তব্যে যে কখন পৌছবেন তা তিনি জানেনা না।

রাজশাহী থেকে আম নিয়ে চট্টগ্রামগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক চালক স্বরজিৎ দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী থেকে আম নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছেছি। তিনি বলেন, ৪ ঘন্টার মধ্যে আমি চট্টগ্রামে আম খালাস করে ফেরার কথা অথচ আমি এখনো চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৩শ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছি। গাড়ির ভেতরে আমগুলোর কি অবস্থা জানতে পারিনি। যথাসময়ে আম আনলোড না করতে পারলে পঁচে যাবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া কাভার্ড ভ্যান চালক সালাম মিয়া জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মালামাল নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা দিয়েছি। যানজটের কারনে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা এলাকায় পৌছেছি। আজকের মধ্যে মাল নিয়ে চট্টগ্রাম পৌছাতে পারব কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, নায়ায়নগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ সেতুর স্ল্যাবের সংস্কার কাজ চলার কারনে বিকল্প সড়ক কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে রাতদিন আমরা কাজ করছি। আমাদেরকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী ভোগান্তি কম। তিনি বলেন, বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রীজের সংস্কার কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল আলম বলেন, লাঙ্গলবন্দ সেতু মেরামতের কারনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ভারী গাড়ির চাপ বেড়েছে। যানজট নিরসনে সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে কসবা উপজেলার কালামুড়ি, সদর উপজেলার নন্দনপুর, বিশ্বরোড ও আশুগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের ৫টি দল কাজ করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ৫০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট

ফেসবুকে আমরা..