স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে স্থাপিত শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়।

এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে ভাচুয়ালি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এ. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মানুষের মধ্যে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। পরে বাদ জোহর উপজেলার প্রতিটি মসজিদে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

নাসিরনগরে শেখ কামালের জন্মদিন পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট (আইইবি)।
বুধবার দুপুরে আইইবি আশুগঞ্জ শাখার সভাপতি ও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ও কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুপুর সাহার কাছে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশীল মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এর মধ্যে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি পুরোপুরি ভাবে চালু করা সম্ভব হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ শয্যা বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লানটি চালু করতে প্রয়োজন ছিলো ২৪টি সিলিন্ডার। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়া ৯টি সিলিন্ডার দিয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি চালু করা হয়েছিলো। বুধবার আইইবি ১৫টি সিলিন্ডার দেয়ায় প্লান্টটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়েছে।

আশুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আইইবির ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পৌরসভার উদ্যোগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ৭৫০জনকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে এই ক্রাণ বিতরণ করা হয়৷

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

কসবা পৌর মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েলের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাসুদ-উল আলম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম.জি হাক্কানি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমীন বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি করোনাকালীন সার্বিক পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে সবাইকে টিকা নেয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক পড়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। ‘আপনারা এখন বাসা থেকে বের হবেন না। এতে আপনারা ভীত হবেন না। আমরা আপনাদের পাশে থেকে অসুবিধা দূর করা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবো।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা শুধু মনে রাখবেন যে করোনা কাউকে ছাড়ে না। মানুষ যে আগে বলতো এটা বড়লোকের অসুখ তা ঠিক না। এটা বড়লোক, গরীব বুঝে না। আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব সময় মুখে মাস্ক পরে রাখবেন। আপনারা সবাই টিকা নিবেন। আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাবেন। আপনারা ভয় পাবেন না, টিকা নিবেন। শেখ হাসিনা সব সময় আপনাদের পাশে থাকেন।

কসবায় অসহায়দের মাঝে ক্রাণ সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, তাঁর মেয়ে, বোন, গৃহপরিচারিকা ও গাড়ি চালক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাঁর গাড়ি চালক আবুল কাশেমের করোনা পজিটিভ আসে।
তিনি জানান, এর আগে ইউএনও হালিমা খাতুনের কন্যা, বোন ও গৃহপরিচারিকার করোনা পজিটিভ আসে। সোমবার ইউএনও হালিমা খাতুনের শরীরের অসুস্থতা দেখা দিলে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ও তার গাড়ি চালক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। টেস্ট রিপোর্টে তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন মোবাইল ফোনে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলেই বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশা চেয়েছেন।

নাসিরনগরের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন পেয়ে অসহায় ৮৩টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।
সোমবার বিকেলে তিনি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আটা, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, দুটি সাবান, দুটি মাস্ক ও ১ কেজি লবণ দেয়া হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজন খাদ্য সহায়তার জন্য “৩৩৩” নম্বরে মোবাইল ফোনে আবেদন করলে আমরা তাদের বাড়ি খাবার পৌছে দিচ্ছি।

সোমবার বিকেলে ১০৭টি আবেদন যাছাই-বাচাই করে ৮৩ জনের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।

৩৩৩ ফোন পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৩ পরিবারে খাদ্য খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এমতাবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের চাপ। ফলে হাসপাতালে মাঝে মাঝে দেখা যায় অক্সিজেন সংকট।

করোনাভাইরাসের সংকটাপন্ন অবস্থায় রোগীদেরকে অক্সিজেন সেবা দিকে মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” এর পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামানের কাছে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, “পাশে আছি আমরা” সংগঠনের সমন্বয়কারী এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রানা নুরুস শামস, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ খোকন দেবনাথ, ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম প্রমুখ৷

এ ব্যাপারে সংগঠনের সমন্বয়ক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব বলেন, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” সংগঠনটি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকায় সোমবার দুপুরে হাসপাতালের রোগীদের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। এ ধরণের মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে৷

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে ১২টি সিলিন্ডার দেয়ার জন্য পাশে আছি আমরা সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের দেয়া এই ১২টি সিলিন্ডার হাসপাতালের জন্য অনেক বড় কিছু। কারণ আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে ২০০টি সিলিন্ডার আছে। আরো প্রায় ১০০ সিলিন্ডার প্রয়োজন ছিলো। সেগুলো আসতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে। অক্সিজেন সংকট মুহুর্তে এই সিলিন্ডারগুলো রোগীদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। এভাবে যদি অন্য কোনো সংগঠন আমাদের সাহায্য করতে চায় তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত জুলাই মাস থেকে করোনা মহামারী সংক্রমণ অনেকাংশে বেড়েছে। এতে করে আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ন। আর্তমানবতার সেবায় “পাশে আছি আমরা” সংগঠন এগিয়ে এসেছে। এভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা করোনা মোকাবিলা সহজেই করতে পারব।

পাশে আছি আমরা” সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সোমবার সকালে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ঘোষিত কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় বক্তারা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাসভবনে দ্বিতীয় বারের মতো অগ্নি সংযোগ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

সভায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন সহ করোনায় আক্রান্ত সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।

জাতীয় শোক উদযাপনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট, পিসিআর ল্যাব, ভেন্টিলেটর ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীরা কাংখিত সেবা পাচ্ছেন না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকগণ। হাসপালগুলোতে অক্সিজেন সংকট থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে উঠেছে ৫টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হচ্ছে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ব্রিগেড, বঙ্গবন্ধু অক্সিজেন সেবা, বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ অক্সিজেন সেবা, ও আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

গত ২০ জুলাই ১৭টি সিলিন্ডার নিয়ে “ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ব্রিগেড”, ২৮ জুলাই ৩৬টি সিলিন্ডার নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন বাউনবাইরার কথা উদ্যোগে “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক”, ২৯ জুলাই ১৭টি সিলিন্ডার নিয়ে শহর ছাত্রলীগের উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধু অক্সিজেন সেবা”, ২৯ জুলাই ৩৮টি সিলিন্ডার নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে “জেলা ছাত্রলীগ অক্সিজেন সেবা”, ও ৩১ জুলাই ১০টা সিলিন্ডার নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “ আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে “ ফ্রি অক্সিজেন সেবা” দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে৷

বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেয়ায় রোগীরা সুবিধা পাচ্ছে। অপরদিকে অক্সিজেন সেবা নিয়ে জনগণের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ১৭টি সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা করা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ব্রিগেড রোববার পর্যন্ত ২০জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২জন রোগীকে দুইবার সিলিন্ডার রিফিল করে দিয়েছে।

২৮ জুলাই ৩৬টি সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা করা “বাউনবাইরার কতা অক্সিজেন ব্যাংক” রোববার বিকেল পর্যন্ত ২৭ জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছে। এর মধ্যে চারজন রোগীর সিলিন্ডার ৪ বার রিফিল করে দিয়েছে।

২৯ জুলাই ১৭টি সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা করা “বঙ্গবন্ধু অক্সিজেন সেবা” রোববার বিকেল পর্যন্ত ২৬জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছে।

২৯ জুলাই ৪৫টি সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা করা “জেলা ছাত্রলীগ অক্সিজেন সেবা” রোববার বিকেল পর্যন্ত ৭৬জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছে এবং ৩১ জুলাই ১০টা সিলিন্ডার নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন “ আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে “ ফ্রি অক্সিজেন সেবা” রোববার বিকেল পর্যন্ত ৩জনকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছে।

এ ব্যাপারে বাউনবাইরার কতা গ্রুপের এডমিন ও অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল বলেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত তারা ২৭জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন। এর মধ্যে চারজন রোগীকে তিনবার রিফিল করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তারা শুধু পৌর এলাকাতেই কাজ করছেন। তাদের সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়লে তারা উপজেলাভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করবেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো করোনা রোগীদের মধ্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান শুরু করার পর জনগণের মধ্যে অক্সিজেন নিয়ে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে জেলা যুবমৈত্রীর আহবায়ক ও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ব্রিগেডের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া বলেন, তারা রোববার বিকেল পর্যন্ত ২০জন রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২জন রোগীকে দুইবার সিলিন্ডার রিফিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফোন পাওয়া মাত্রই আমরা রোগীর বাড়িতে সিলিন্ডার পৌছে দেই।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত তারা ৭৬জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সেবা দেয়া নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে অক্সিজেন নিয়ে আস্থা ফিরে এসেছে। হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ কমছে। তিনি অসহায় মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার বলেন, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলোর বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান আশাব্যঞ্জক কাজ। তিনি বলেন, এতে জনগণের মধ্যে অক্সিজেন নিয়ে আস্থা ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যেই ভারত থেকে আসা ট্যাংকি ঢাকায় এসেছে পৌছেছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে দুইশত অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে আরো একশত সিলিন্ডারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান শুরু করা একটি ভালো উদ্যোগ। এতে করে মানুষের মধ্যে অক্সিজেন নিয়ে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ বলেন, করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো যেভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সেবা দিচ্ছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের মধ্যে অক্সিজেন পাওয়া নিয়ে আস্থা ফিরে এসেছে। হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ কমেছে।

তিনি বলেন, আশাকরি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু করা যাবে। এটি চালু হলে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা আরো ভালো সেবা পাবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা অব্যাহত, জনমনে স্বস্থি


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাস্ক পরিধান না করে রাস্তায় ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ রোববার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং মাস্কবিহীন অযথা বাইরে ঘুরাফেরার দায়ে সংক্রামক ব্যাধি       (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারা লঙ্ঘনের কারণে ২৫(২) ধারার বিধানবলে ৪টি মামলায় ৫ জন ব্যক্তিকে ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়৷ অন্যদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২জন মোটর সাইকেল আরোহীকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ২টি মামলায় ৩২০০ টাকা ও হেলমেট না থাকায় ১জন মোটরসাইকেল আরোহীকে ১টি মামলায় ৩০০টাকা জরিমানাসহ মোট ৭টি মামলায় ৮ জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজয়নগরে মাস্কবিহীন রাস্তায় ঘুরাফেরায় ৮ জনকে জরিমানা

ফেসবুকে আমরা..