botvনিউজ:

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন প্রার্থী। এরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত ছোয়াব আহমেদ হৃতুল-(নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত কামরুল হাসান খাঁন-(লাঙ্গল), নির্দলীয় প্রার্থী মোঃ রহমত আলী-(মোটর সাইকেল) এবং নির্দলীয় প্রার্থী সামসুল আরেফিন-(আনারস)।

প্রার্থীরা রয়েছেন শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারনায়। প্রার্থীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। জনগনের দোয়া, ভোট ও সহযোগীতা চাচ্ছেন। ইউনিয়নের সর্বত্র শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোষ্টার। ৪জনই প্রার্থীই উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ২শ ২১ জন।

উল্লেখ্য গত ২০ ডিসেম্বর এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান খান সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য হয়।
###

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নাসিরনগরের গোর্কণ ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু কিশোর সংগঠন “শিশু নাট্যম” এর উদ্যোগে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সিতানগর গ্রামের তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী শীতকালীন চিত্রাংকন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শনিবার দুপুরে সমাপ্ত হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম।

শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটুর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চারুকলা প্রশিক্ষক দীপ্ত মোদক। সাংবাদিক, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হয়। ক্যাম্পে শিশুদেরকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে ছবি আঁকা, সংগীত, শুদ্ধ উচ্চারন, আবৃত্তি ও ফটোগ্রাফি বিষয় শেখানো হয়।

শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু জানান, তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
###

শিশু নাট্যমের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সমাপ্ত

botvনিউজ:

কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক আল মাহমুদ (৮২) মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কবির পারিবারিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রখ্যাত কবি আল মাহমুদের মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব। জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান আলী রেজা দোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন- কবি আল মাহমুদ ছিলেন এপার ও ওপার বাংলার বর্তমান শ্রেষ্ঠ কবি। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল।

###

কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের শোক

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত প্রতিযোগীতা।

কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য ক্বেরাত প্রতিযোগীতায় প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সাংসদ ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

কসবা উপজেলার আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের পীর ও আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মোঃ গোলাম সারোয়ার সাঈদীর সভাপতিত্বে রবিবার বাদ আছর অনুষ্ঠিতব্য ক্বেরাত প্রতিযোগীতায় তেলাওয়াত করবেন, মিশরের ক্বারী শাইখ ইয়াসির মাহমুদ শারকাওঈ, ইরানের ক্বারী হামীদ শাকের নেজাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার শাইখ আবদুর রহমান সা’দিয়ান, তুরষ্কের ক্বারী ইয়াশার চৌহাদার, ফিলিপাইনের ক্বারী নোমান পিমবায়াবায়া সহ দেশের খ্যাতনামা আলেমগন।
###

আগামীকাল কসবায় আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চান প্রবীন রাজনীতিবিদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ি আগামী ৩১ মার্চ এই উপজেলায় নিবার্চন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতামতের ভিত্তিতে নাসিরনগর উপজেলা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রাফি উদ্দিন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরীফুজ্জামানের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রে নাম পাঠানোর পর থেকেই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

১৯৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালেই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। গত ২৭ বছর ধরে তিনি সফলতার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি এলাকার সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। কোন নিবার্চনে প্রার্থী হইনি। কিন্তু এবার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনুরোধে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে আছেন। তিনি বলেন, আমি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
###

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান প্রবীন নেতা রাফিউদ্দিন

botvনিউজ:

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলায় অনুষ্ঠিতব্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) ইজতেমা বন্ধ ও তাদেরকে অ-মুসলিম ঘোষনার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা আব্দুর রহিম কাশেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী পঞ্চগরে অনুষ্ঠিতব্য কাদিয়ানীদের ইজতেমার নামে সমাবেশ বন্ধ ও অমুসলিম ঘোষনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এ ঘটনায় দায়ী রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকেও মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগও দাবি করেন বক্তারা। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারী দেয়া হয়।
###

আহমদিয়াদের ইজতেমা বন্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

botvনিউজ:

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন যে একটি এলাকার মানুষের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে তার প্রকৃত উদাহরণ আমাদের গ্রাম পানিশ্বর। জেলার সরাইল উপজেলার মেঘনা-নদীর তীর ঘেষা গ্রাম এটি। আমার গ্রামটি আমার প্রাণ। আমার গ্রামকে আমি খুবই ভালোবাসি।

আমাদের গ্রামের আগের নৈসর্গিক পরিবেশ এখন আর নেই। মেঘনা নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনে প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে পানিশ্বরের মানচিত্র। মেঘনার ভাঙ্গন এখনো অব্যাহত রয়েছে। ক্রমাগত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই গ্রামের অনেকেই বসত-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ইতিমধ্যেই নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে পানিশ্বর বাজার সংলগ্ন পালপাড়া। আমি অবিলম্বে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে পানিশ্বরকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি পুরাতন ও প্রসিদ্ধ বাজার হচ্ছে পানিশ্বর বাজার। ভাটি এলাকার এটি একটি বৃহৎ বাজার এটি। এক সময় পানিশ্বর বাজারে দেখা যেতো ধান-চালের বড় বড় আড়ৎ। তবে আগের অবস্থা এখন আর নেই। এখন পানিশ্বর বাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মার্কেট ও চাতাল কল।

ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র-বিন্দু হলেও এক সময়ে পানিশ্বরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো খুবই নাজুক। বর্ষাকালে নৌকা এবং লঞ্চই ছিল ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন। গ্রীষ্মকালে পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা গ্রামের মানুষের। গ্রামের ভেতরের রাস্তা-ঘাটগুলোও ছিলো কঙ্কালসার অবস্থা। রাস্তা বলতে ছিল মাটির গোপাট।
অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এক সময় শিক্ষা-দীক্ষাসহ সব দিকদিয়েই পিছিয়ে ছিলো আমাদের এলাকার মানুষ। শিক্ষার হার ছিলো খুবই নগন্য।

গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা ছিলো ব্যবসা। বিশেষ করে ধান-চালের ব্যবসা। প্রতিদিন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এলাকার মানুষ নৌকা ও লঞ্চে করে যাতায়ত করতো আশুগঞ্জ ও ভৈরবে। বর্ষাকাল ছাড়া সরাইল উপজেলা সদরে যেতে হতো প্রায় ৫ কিলোমিটার পায়ে হেটে। বর্ষাকালে তিন মাস জাফর খালে নৌকা চলতো। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এলাকার মানুষের দুদর্শার শেষ ছিলোনা।

ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েও প্রতিদিন পানিশ্বর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার হেটে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করতেন আমার আব্বা মোঃ নজরুল ইসলাম ও আমার ছোট চাচা মোঃ সাইকুল ইসলাম। পানিশ্বর থেকে জমির আইল দিয়েই হেটে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন আমার আব্বা ও চাচা। কষ্ট করে লেখাপড়া করায় আমার আব্বা ও আমার ছোট চাচা হতে পেরেছিলেন সরকারি চাকুরীজীবি।

ছোট বেলা স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমরা পরিবার-পরিজনসহ গ্রামে বেড়াতে যেতাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। তার পর রিকসা নিয়ে আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে পানিশ্বর বাজার। কখনো কখনো লঞ্চের জন্য দুই আড়াই-ঘন্টা বসে থাকতে হতো লঞ্চ ঘাটে। এক সময় আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত ইঞ্জিনের নৌকা চলাচল শুরু হয়। বর্ষাকালে বিকল্প পথে সরাইল থেকে গয়না নৌকা দিয়ে জাফর খাল দিয়ে পরিবার-পরিজনসহ যেতাম গ্রামের বাড়িতে।

যাক সে কথা, গ্রামের সেই অবস্থা এখন আর নেই। বদলে গেছে আমাদের গ্রাম। বদলে গেছে গ্রামের মানুষের জীবনধারা। এক সময় গ্রামে ছনের ঘর থাকলেও গ্রামে এখন আর কোন বাড়িতে ছনের ঘর নেই। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে নির্মিত হয়েছে দোতালা, তিনতলা বিল্ডিং। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এখন স্কুল মুখী। শহর থেকে রাতের বেলাও অল্প সময়ে গ্রামে যাওয়া যায়।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিশাল বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু তনয়া, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দ্রুত বদলাতে থাকে পানিশ্বরের চিত্র। গ্রামের কঙ্কালসার রাস্তাগুলো উচু ও প্রশস্থ করে সংস্কার করা হয়। নতুন করে নির্মান করা হয় বেশ কয়েকটি রাস্তা ও কালভার্ট। গ্রামের প্রায় প্রতিটি রাস্তাই এখন মানুষের চলাচলের উপযোগী। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমাদের গ্রামের উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকে জোরেসোরে। গ্রামের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলো কার্পের্টিং করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়। পানিশ্বরের দুই বাজারের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া জাফর খালের উপর গ্রামবাসী তাদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি দৃষ্টিনন্দন বেইলী ব্রীজ নির্মান করে। বেইলী ব্রীজটি নির্মানের ফলে এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যেতে লোবজনকে আর গুদারার জন্য অপেক্ষা করতে হয়না।

বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা ও বগুইর থেকে শতশত অটোরিকসা পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত চলাচল করে। গ্রামের লোকজন এখন খুব সহজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে অটোরিকসা দিয়ে যাতায়ত করতে পারে। এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত বাড়তে থাকে এলাকায় শিক্ষার হার। আমাদের গ্রামের মেয়েরা এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর, আশুগঞ্জ, ভৈরবের বিভিন্ন কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করে। গত ১০ বছরে গ্রামে বেড়েছে শিক্ষিতের হার।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এলাকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাগে উন্নয়নের ছোয়া। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয় শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ। পানিশ্বর বাজারে প্রতিষ্ঠিত পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়টি এখন দৃষ্টি নন্দন। চারতলা ভবন বিশিষ্ট এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সব সময় শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। পানিশ্বর মাদিনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসাটিও এখন বেশ উন্নত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে এলাকায় সামসুল আলম উচ্চ বিদ্যালয় নামে আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীদেরকে আর সরাইল-আশুগঞ্জে যেতে হয়না। পানিশ্বরেই আছে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার উন্নয়নে এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার দাবি এখন সবারই মুখে মুখে।

রাস্তা-ঘাট সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা যেকোন সময় যেতে পারছে শহরে। এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হওয়ার পর আমিও সুযোগ পেলে এখন গ্রামে যাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অটোরিকসা নিয়ে পানিশ্বর বাজার। রাস্তায় কোন ভোগান্তি নেই।

এদিকে সরাইল থেকেও পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত একটি রাস্তার নির্মান কাজ চলছে। সরাইল-পানিশ্বর রাস্তাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিশ্রুত প্রকল্প। এই রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হলে পানিশ্বর গ্রামটি হয়ে যাবে অনেকটাই শহরের মতো। আমরা রইলাম সেদিনের অপেক্ষায়। এছাড়াও সরাইল থেকে জাফর খালের পাড় দিয়ে এখন পানিশ্বরে যাতায়ত করা যায়।

একটি অবহেলিত এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে ওই এলাকাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি পানিশ্বরকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে মেঘনা নদীর তীরে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মান, পানিশ্বর লঞ্চঘাটে একটি জেটি নির্মান এবং পানিশ্বরের শিশুদের চিত্র বিনোদনের জন্য একটি খেলার মাঠ নির্মান করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।
লেখকঃ-সাংবাদিক ও সমাজকর্মী।

আমার গ্রাম, আমার প্রাণ -মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা

botvনিউজ:

খালাতো ভাইকে সহযোগিতা করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার রোষানালে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী কাজী মোবারক হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন ও তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা কাজী মোবারক হোসেন দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কাজী মুকসুদ আলীর ছেলে কাজী মোবারক হোসেন বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে গোলাম ছামদানী প্রকাশ রাসেল-(২৮) তার আপন খালাতো ভাই।

২০১৬ সালে রাসেল স্টুডেন্ট ভিসায় মালেশিয়ায় যান। সেখানে একই ভবনে থাকার সুবাদে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের আবুল বাশারের সাথে রাসেলের পরিচয় হয়। ২০১৭ সালের শেষে দিকে বিদেশে লোক নেওয়ার কথা বলে রাসেল আবুল বাশারের কাছ থেকে এক লাখ ৮০হাজার টাকা গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি রাসেল দেশে ফিরে আসেন।

এদিকে রাসেলের কাছে ৭ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আবুল বাশারের স্ত্রী আছমা আক্তার।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এসআই গোবিন্দের নেতৃত্বে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খালাতো ভাই রাসেলের পক্ষে উপস্থিত হন কসবা উপজেলা যুবলীগ নেতা কাজী মোবারক হোসেন। সভায় তিন মাসের মধ্যে রাসেল আছমা আক্তারকে ১ লাখ ৮০হাজার টাকা ফিরিয়ে দিবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই গোবিন্দ ১০০টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল অলিখিত স্টাম্পে গোলাম ছামদানী প্রকাশ রাসেল, কাজী মোবারক হোসেন ও উজ্জল ভূঁইয়ার স্বাক্ষর নেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাজী মোবারক হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি জানতে পারেন এসআই গোবিন্দের কাছ থেকে তাদের স্বাক্ষর করা ১০০টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল অলিখিত স্টাম্প নিয়ে অভিযোগকারী আছমা আক্তার তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম ২নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারের সাথে দেখা করেন তিনি।

মানবাধিকার সংগঠন ইউনিট ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, গোলাম ছামদানী রাসেল ও কাজী মোবারক ডিবি অফিসে গিয়ে এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারকে ঘটনা খুলে বলেন। এসময় নুরুউদ্দীন এক লাখ ২০হাজার দিলে বাদী আছামার সাথে মামলাটি শেষ করে দিবে বলে হাবিবুর রহমানকে জানান। ঘটনার দুইদিন পর ডিবির এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারকে এক লাখ ১০হাজার টাকা দেন তারা। এ ঘটনার দেড়মাস পর ডিবির এসআই নুরুউদ্দীন রাসেলকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি অলিখিত চেক ও ২০হাজার টাকা রেখে ছেড়ে দেন।

মোবারক অভিযোগ করে বলেন, এভাবে হয়রানি করার বিষয়টি জানতে চাইলে এসআই নুরুউদ্দীন তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এঘটনার ১০/১২ দিন পর কুমিল্লার কতোয়ালি থানা থেকে তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলার কাগজ কসবা থানা পাঠান এস আই নুরুউদ্দীন। পুনরায় ডিবির এই এসআইয়ের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আরো মামলা দিবেন বলে হুমকি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম ছামদানী রাসেলের পিতা মিজানুর রহমান বলেন, তার ছেলে বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে আসে। আর আদালতে মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। মামলায় তার ছেলে, তাকে, আত্মীয় উজ্জল মিয়া ও মোবারক হোসেনকে আসামী করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী আছমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, থানায় সকল স্বাক্ষীদের সামনে তাঁরা ১০লাখ টাকায় দেবেন বলে রাজী হয়েছেন। পরে থানায় তিনটি স্ট্যাম্পে তাঁরা স্বাক্ষর দিয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় মামলা করেছি। তারা আমাদের লোকজনের চারটি পাসপোর্ট নিয়ে দুটি ফেরত দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল স্বাক্ষী প্রমাণ ও দলিলে বাদী ১৬ লাখ টাকা পাবেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গোলাম ছামদানী রাসেল টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। গত মাসে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। উভয়পক্ষকে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে বলেছি। তিনি বলেন, একাধিকবার ডাকা হলেও মোবারক আসেননি। ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব কিছু না। একটা মামলায় তিনি জড়িত কি না বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য কসবা থানায় ইনকোয়ারি স্লিপ পাঠিয়েছি।
###

খালাতো ভাইকে সহযোগিতা করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার হয়রানির শিকার যুবলীগ নেতা মোবারক

botvনিউজ:

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত হয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ।

তিনি সরাইলের মাটি ও মানুষের নেতা, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ প্রয়াত এ.কে.এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী।
বিগত ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন সাদা মনের এই মানুষটি।

এরপরই রাজনীতির মাঠে নামেন শিউলী আজাদ। স্বামীর রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে দ্রুত দলের মধ্যে একটা ইমেজ সৃষ্টি করেন। পরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ লাভ করেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিউলী আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। পরে মহাজোটের স্বার্থে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-( সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু সেখানে জোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

সর্বশেষ দলীয় কর্মকান্ড ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৌটায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
এদিকে মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য পেয়ে আনন্দে ভাসছে সরাইল। সর্বত্র চলছে মিষ্টি বিতরণ। প্রবাসীরাও উৎসবে মেতে উঠেছেন।
ইকবাল আজাদ ও শিউলী আজাদের নানা ছবি, কমেন্টেস-এ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ যেন এক বিশাল প্রাপ্তি। ধন্যবাদ জানিয়ে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সরাইলবাসী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের এক সময়ের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আবদুল খালেকের ছেলে এ কে এম ইকবাল আজাদ। ১৯৮৭ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমেই প্রথম হাতেখড়ি তার। ৯০ এর দশকের প্রথম দিকে সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দলের জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ শুরু করেন। এক সময় ইকবাল আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। সততা ও দক্ষতার সাথে দলকে পরিচালনা করে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। এক সময় হয়ে যান সরাইলের মাটি ও মানুষের নেতা। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে ইকবাল আজাদ ২০০১ সালে এবং ২০০৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। ২০০৮ সালে তার মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ছিল আলোচিত বিষয়। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে খুন হন জনপ্রিয় এই নেতা।

এদিকে প্রয়াত আজাদ ইকবালের সহধর্মীনি শিউলী আজাদ সংরক্ষিত আসনে এমপি মনোনীত হওয়ায় শনিবার সকালে সরাইল সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে সরাইলে আওয়ামীলীগের একজন প্রতিনিধি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে দল ও জনগনের কল্যাণে তিনি কাজ করবেন। শিউলী আজাদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দল ও জনগনের জন্য আমার স্বামী ২২টি বছর সততা স্বচ্ছতার সাথে রাজনীতির মাঠে কাজ করেছেন। সরাইল নিয়ে তার অনেক ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করে সকল স্বপ্ন ধূঁলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। চিরতরে আমাকে বিধবা ও দুই সন্তানকে করেছে এতিম। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ত্যাগ ও কাজের মূল্যায়ন করেছেন। সেই সাথে হাসি ফুটিয়েছেন সরাইলের লাখো মানুষের মুখে। আমি তাঁর কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। সকলের সহযোগীতায় ইকবাল আজাদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকার উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য।

###

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর সরাইলে সংরক্ষতি মহলিা এমপি হলনে শউিলী আজাদ

botvনিউজ:

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত সিমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় সরাইল থানাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১০/০২/২০১৯ ইং তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন শাহবাজপুর গ্রামস্থ জমাদার পাড়া মোড়ে মন্টু স্টোরের সামনে পাকা রাস্তার উপড় পৌছলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১। উত্তম চন্দ্র কর (৩৭), পিতা-হরিধন চন্দ্র কর, ২। ইসতিয়াক আহম্মেদ খাঁন (৩৩),

পিতা-মৃত গোলাপ খাঁন, উভয় সাং-শাহবাজপুর, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩। মোঃ জাবেদ আলী(২৫), পিতা-মৃত হোসেন আলী, সাং-চিৎকা, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার’দেরকে মাদকদ্রব্যসহ হাতে-নাতে আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ তল্লাশী করে ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির ৩,৬৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১,০৩,৬৫০/- টাকা। ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

###

শাহবাজপুর এলাকা থেকে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ফেসবুকে আমরা..