স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করার দুইদিন পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বদলি করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন নিজেই তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনিয়ে হেফাজতি তান্ডবের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত), সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন), সদর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (মিডিয়া) পুলিশের ২১জন অফিসারকে বদলি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গত ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সে, সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

গত ৯ মে পুলিশ সদর দফতরের আরেকটি আদেশে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে, ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে, ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

গত ২৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করা হয়। আদেশে ১০ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও বাকি তিনজন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লে¬খ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের খুনের রহস্য উদঘাটনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন এবং দোষিদের আইনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিক্ষুব্দ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার সকালে স্থানীয় স্বাধীনতা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সাংবাদিক মোঃ সোলেমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক নেপাল চন্দ্র সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড.মুহাম্মদ ইদ্রিস ভুইয়া, কসবা পৌর সভার প্যানেল মেয়র মো.আবু জাহের, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার, কসবা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট লেখক মোঃ জহিরুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ঢাবি’র ছাত্র নিহত হাফিজুর রহমানের বন্ধু সোহান মাহমুদ।

মানববন্ধনে বক্তারা হাফিজুর রহমানের খুনের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির সহযোগিতা কামনা করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ নেন।

কসবায় বিক্ষুব্দ নাগরিক সমাজের মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত ১ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ১ হাজার ৭৪জন যাত্রী। গত ২৬ এপ্রিল থেকে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) পর্যন্ত তারা আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার দেশে এসেছেন ৩৪ জন। এদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৭৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৫৯ জনকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য কুমিল্লা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৩১৬ জন।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোটেল অবকাশে ২৮ জন, হোটেল তাজ এ ৩০ জন, হোটেল গ্র্যান্ড মালেকে ২৮ জন, হোটেল আশিক প্লাজায় ৩২ জন, হোটেল তিতাস ভিউতে ৪৬ জন ও হোটেল নিউ ইন্টারন্যাশনালে দুইজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৬ জন, আখাউড়ার হোটেল নাইন স্টারে ২০ জন, হোটেল রজনীগন্ধায় ২৩ জন অবস্থান করছেন।
এছাড়া ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে ৪৫৩ জন যাত্রীকে অবমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ৪৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারতফেরত যাত্রীদের বিষয়ে সরকারি যে নির্দেশনা দেয়া আছে সেগুলো কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ মাসে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ১০৭৪ জন যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ও সহিংসতার দুইমাসের মধ্যেই ১৩ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কারনে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থে ১০ জন এসআইকে ও বাকি ৩ জন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে।

আগামী ২৯ মে এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৩০ মে থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রথম একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) একযোগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে করা বদলির আদেশটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন ১৩ এসআইয়ের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদলিকৃত এসআইদের মধ্যে বিউটি রানী দাস, বজলুর রহমান খাঁন, মো. হুমায়ূন কবির, মো. আমির হামজা ও এস. এম. আতিকুজ্জামান এবং মো. তোফাজ্জল হোসেনকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়, তপু সাহা ও মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এবং মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ সাব খাঁনকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও এসআই মো. শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর, মো. মিজানুর রহমানকে চাঁদপুর এবং মো. নুরুল আমিনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শফিকুল, মিজানুর ও নুরুল আমিনের বদলির ধরন প্রশাসনিক কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকিদের বদলি জনস্বার্থে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বলেন, বদলির ধরনে জনস্বার্থে হলো- নিয়মিত বদলির অংশ। এক জায়গায় দীর্ঘদিন হয়ে গেলে নিয়মিত বদলি হিসেবে জনস্বার্থে বদলি করা হয়। আর প্রশাসনিক কারণে বদলি হলো- নিয়মিত বদলির সময় হয়নি। কিন্তু প্রশাসনিক স্বার্থে মনে হচ্ছে- তার এখানে থাকার যোগ্যতা নেই, তাকে অন্য জায়গায় বদলি করাটাই শ্রেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসতার ২মাসের মধ্যেই ১৩ এসআই বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রপচার ছাড়াই এক প্রসূতি মা মস্তিকবিহীন (মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া) একটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। গত সোমবার বিকেল ৫টায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এই শিশুটি জন্ম নেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত ও তার মা সুস্থ্য আছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, এই ধরনের শিশু জন্মগতভাবে ত্রুটি নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। এই ধরণের শিশুর মাথার খুলি ও মগজ থাকে না। এই ধরনের শিশুকে এনেনসেফালি বা মস্তিষ্কবিহীন শিশু বলে। এই ধরনের শিশুকে বাঁচানো ইতিহাস নেই। শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবক তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়নি।
হাসপাতাল ও নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে গত দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। প্রায় ১ বছর আগে তানজিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন গাইনি চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তানজিনা যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন গাইনি চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। তখন তাকে জানানো হয় যে, গর্ভে থাকা শিশুটি জন্মের পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হবে এবং তার মাথার খুলি হবেনা। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথা তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিশ্বাস করেননি। গত সোমবার দুপুরে তানজিনার প্রসবজনিত ব্যাথা উঠে। পরিবারের লোকজন তাকে দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বিকেল পাঁচটার দিকে গাইনি বিভাগের মাহফিদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিকভাবে তানজিনা মস্তিষ্ক বিহীন কন্যা শিশুটি জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, তানজিনা আট মাসের অন্তঃসত্ত্ব ছিলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশুগুলো সচরাচর ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে শিশুটিকে এতোদিন গর্ভে রেখে এতদূর আনার কোনো দরকার ছিল না। আমাদের কাছে আসলে ১৪ সপ্তাহ গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে তানজিনার একটা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে শিশুটির অবস্থা জানতে পারতাম। তখনই কোনো পদক্ষেপ নেয়া যেত। তিনি বলেন, ‘শিশুটির এই জন্মগত ত্রুটি বা বিকলাঙ্গের অন্যতম কারণ হলো ফলিক অ্যাসিডের অভাব। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকেই মায়েদের ফলিক অ্যাসিডের বড়ি খাওয়া শুরু করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেনের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে শিশুটিকে তার অভিভাবকরা ঢাকায় নিয়ে যায়নি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত আছে। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশু ১/২ দিনের বেশী বাঁচেনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলিবিহীন কন্যা শিশুর জন্ম লাভ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শেফা আক্তার-(৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শেফা আক্তার পৌর শহরের পুনিয়াউট গ্রামের কাসেম মিয়ার মেয়ে। সে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অসুস্থ্য নানীকে দেখতে মঙ্গলবার সকালে শেফা তার মায়ের সাথে গোকর্ণঘাট নানার বাড়িতে যায়। দুপুরে নানা বাড়ি এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে পুকুরে গোসল করার সময় হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায় সে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পানির নীচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরতদ চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন,শেফাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নোমান মিয়া-(২২) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল (২৫ মে) রাতে এলাকাবাসী নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এ ঘটনায় নোমানের মাতা হনুফা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নোমান মিয়া সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালীশিমুল গ্রামের আবদুল জাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোমান মিয়া গত তিন-চার বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করে আসছে। নেশার টাকার জন্য নোমান প্রায়ই পরিবারের সদস্যদেরকে শারিরীক নির্যাতন করতো।
গত সোমবার রাতে নোমান নেশার টাকার জন্য তার বাবাকে চাপ দেয়। বাবা আবদুল জাহের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করায় বাবাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে।
আবদুল জাহেরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাম হাতে ২২ টি সেলাই দেয়া হয়। রাতেই গ্রামবাসী মাদকাসক্ত নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা সরাইলে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে আজ বিকেলে কসবায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কসবা স্বাধীনতা চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত হাফিজুর রহমান কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মোঃ গোলাম সাঈদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সাকিব, রাহিমুল ইসলাম তুষার, জাহিদুল ইসলাম সানি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নিহত হাফিজুর রহমানের নিকটাত্মীয় আসাদুজ্জামান অভি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম রনি, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী একতেমাত ইসলাম নিশাত প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বক্তারা হাফিজুর রহমানের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজন অংশ গ্রহণ নেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৮ দিনপর হাফিজুর রহমানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে উদ্ধার করে সোমবার ভোরে খাড়েরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাবির ছাত্র হাফিজুর রহমান হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে কসবায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী প্রমুখ।

কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনাকালে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

কসবায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছের ঋষি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোলাই মদ, চোলাই মদ তৈরীর সরঞ্জামসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কস্তরি রবি দাস-(৫০), তার স্ত্রী অঞ্জনা রবি দাস-(৩৫) ও মেয়ে চম্পা রবি দাসক-(১৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পরে অন্যান্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে কালীকচ্ছের ঋষি বাড়িতে চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযানও পরিচালনা করে। কিন্তু বন্ধ নেই চোলাই মদের কারবার। এখান থেকে সরাইলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকেরা পাইকারীভাবে চোলাই মদ কিনে গন্তব্যে নিয়ে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ

দুপুর ১টায় সরাইল থানার এস.আই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। দুইঘন্টাব্যাপী অভিযানকালে ঋষি বাড়ির মাটির নীচ থেকে মদ তৈরীর সরঞ্জাম, কন্টিনসহ ৯০ শত লিটার মদ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। তিনি ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সরাইলে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..