আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ (০২ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন মোঃ শান্ত (৩০), পিতা-মৃত নান্নু, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।  এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ০১ টি পিকআপ ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাট ফর্মে অনুষ্টিত হয়েছে জেলা পর্যায়ের কর্মশালা।মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভুমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব শ্রী প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ও হিন্দু ধমীয় কল্যান ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টি শ্রী অশোক মাধব রায়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী মনি শংকর কীর্তনীয়া, সুপারিশ মালা উপস্থাপন করেন ড.সৌরেন্দ্র নাথ সাহা (উপসচিব)।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী রঞ্জিত কুমার দাস।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,জেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:রইচ উদ্দিন।
বিশেষজ্ঞের বক্তৃতা করেন সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল সাহা,বীর মুক্তিযোদ্বা মিন্টু ভৌমিক,প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি,ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন শিশুদের শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দিলেই চলবে না,তাদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পরে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটে।

 

 

শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে-সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, তেল, চিনি, ডাল, সেমাইসহ বিভিন্ন উপকরণ।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সঞ্চালানায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ কর্মসূচীর আওতায় মানবিক খাদ্য সহয়াতার কার্যক্রমের অধীনে আপনাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া হচ্ছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।


তিনি বলেন, সামনে ইদ-উল-ফিতর। নিজের আত্মীয় স্বজনদের অভুক্ত রেখে, প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে আপনারা যদি অন্য জায়গায় দান-খয়রাত করেন কোন লাভ হবেনা। হাদিস শরীফে আছে, যার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে আর নিজে খুব ভাল ভাবে খাওয়া দাওয়া করে সে প্রকৃত মুসলমান নয়। তিনি বলেন, আমি ধনী ব্যক্তিদের বলবো প্রতিবেশীদের অভুক্ত রেখে মাদরাসায় জাকাত দিয়ে আপনারা জাকাতটাকে নষ্ট করবেন না। মানুষের হক কে আপনারা নষ্ট করবেন না। তিনি সকলকে মাস্ক পড়া ও বার বার হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা বিতরন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবের সময় ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচারণা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মোঃ শরীফ ভূইয়া-(৩৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁপুইর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শরীফ ভূইয়া মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ও চাঁপুইর গ্রামের মোঃ রুস্তম ভূইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের সময় শরীফ ভূইয়া তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার রাত পর্যন্ত ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচারণা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অটোরিকসা ছিনতাই করতে জুয়েল কাজী-(১৭) নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পুলিশ উপজেলার টানমান্দাইলের একটি পুকুর থেকে জুয়েল কাজীর লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত জুয়েল কাজী উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর গ্রামের আদিল হক কাজীর ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ হানজেলা-(২১) ও শাফায়েত- (২৮) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নিহত জুয়েল কাজীর পরিবার থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ আমাদের জানানো হয়। পরে পুলিশ উপজেলার তন্তর এলাকা থেকে হানজেলাকে আটক করে। পরে হানজেলার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাফায়েতকে গ্রেপ্তার ও তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। পরে হানজেলা ও শাফায়েতের দেয়া তথ্যমতে উপজেলার টানমান্দাইলের একটি পুকুর থেকে জুয়েল কাজীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে আখাউড়ার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকার জানান, গ্রেপ্তারকৃত হানজেলা ও শাফায়েত জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন অটোরিকশা ছিনতাইকালে চিনে ফেলায় জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যায় হানজেলা জড়িত ছিল। পরে অটোরিকশাটি শাফায়েতের কাছে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। জুয়েলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আখাউড়ায় অটোরিকশা চালক খুন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। তিনি আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

এ সময় ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে যেন পিছিয় দেওয়া যায়- এটি সে ধরনের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাজ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কোন সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ন স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। যারা এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী, তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্দ করছে। আমরা সবাই সমন্বয়ের মাধ্যমে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে মামলাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি।

ভিডিও ফুজে থেকে আসামীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই অনেককেই শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো মামলাই ঝুলে থাকবেনা, যত দ্রুত সম্ভব আমরা সব মামলা নিস্পত্তির দিকে যাব।
তিনি বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলার মধ্যে ৯টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়াও ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে মাদরাসার ছাত্রদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ডিআইজি হাবিবুর রহমান হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ শাহরিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৭/০৩/২০২১খ্রিঃ তারিখে হরতাল সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিম’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..