botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে গতকাল সোমবার কারখানার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোমবার সকালে কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭ জেলায় এক ঘন্টা সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।

সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। কতৃপর্ক্ষ সিদ্ধান্ত বদল না করলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হুশিয়ারী দিয়েছেন।

সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈফ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কারখানার প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কারখানার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারনে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। বর্তমানে কারখানায় এলএনজি গ্যাস চালুর পর বর্তমানে কারখানায় গ্যাসের কোন সংকট নেই। চলতি অর্থ বছরে (জুন মাস পর্যন্ত) বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ কারখানাকে দেড় লাখ মেট্টিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে দেয়। এ পর্যন্ত কারখানায় উৎপাদন হয় ১লাখ ১৬ হাজার মেট্টিকটন ইউরিয়া সার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার বাকি রয়েছে আরো ৩৪ মেট্টিক টন। এমনি অবস্থায় আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার কুলিং টাওয়ারসহ বিভিন্ন প্লান্টের যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য আড়াই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, এতে করে কারখানাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার সুযোগ থাকলেও আড়াই মাস বন্ধের সিদ্ধান্তে চলতি অর্থ বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। এ জন্য এই অর্থবছরেও লোকসানের মুখে পড়বে কারখানাটি। এতে করে লভ্যাংশ, বোনাসসহ আর্থিক ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বলেন, অবিলম্বে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, কারখানার বিভিন্ন প্লান্টের ক্রটি থাকায় জরুরি মেরামত না করলে কারখানার বিরাট ক্ষতি হবে। বিসিআইসির পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে মেরামত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে বিসিআইসি সিদ্ধান্ত নিবে। বিষয়টি বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
###

উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নাজমুল হক ফাহিম-(৬) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তাঁর সহপাঠিরা। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের গ্রীণভ্যালি আইডিয়েল স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশ নেন।

স্কুল শিক্ষার্থী ফাহিম বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের উত্তরপাড়ার খোকন মিয়ার ছেলে। সে গ্রীণভ্যালি আইডিয়েল স্কুলের নার্সারী বিভাগের ছাত্র।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন গ্রীণভ্যালি আইডিয়েল স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল হক, সহকারী শিক্ষক কামাল মিয়া, অভিভাবক সদস কাজী মনোয়ার ও কাজী নিয়াজ উদ্দিন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফাহিমের বাবার সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ৪ এপ্রিল বীরপাশা গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর মিয়া ও হেলাল মিয়া তাঁকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় ফাহিমের মা শেফালী আক্তার বাদি হয়ে গতকাল ৫ এপ্রিল বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বক্তারা আরো বলেন, নিরপরাধ শিশু ফাহিমের উপর যারা হামলা করেছে, যারা তার পা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এখনো তাঁরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। আমরা অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ কোনো শিশুকে নির্যাতনের সাহস না পায়।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফয়জুল আজীম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
###

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিজয়নগরে শিশু শিক্ষার্থীর উপর হামলা ॥ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নবীনগর থানার এক হত্যা মামলার আসামী ধরতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পৈরতলা গ্রামের এক বাড়িতে তান্ডব চালায় নবীনগর থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের হামলার ১০জন আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ঝাঁড়– মিছিলসহ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর আঞ্চলিক সড়কে ( গোকর্ণরোড) যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক সাঈদুল মিয়া-(৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়।
এই মামলার আসামী কিরণ মিয়াসহ কয়েকজন আসামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা গ্রামের গোলাপ মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে এ ধরনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার দুপুরে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুবেল ফরাজীর নেতৃত্বে নবীনগর থানার ৫জন পুলিশ গোলাপ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়।

এদিকে শনিবার রাতে গোলাপ মিয়ার দাদি রাবেয়া খাতুন মারা গেলে গতকাল বাদ জোহর জানাযা শেষে গোলাপ মিয়ার দাদিকে কবর দেওয়ার জন্য গোলাপ মিয়াসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা কবরস্থানে ছিলেন। এ সময় নবীনগর থানার পুলিশ পুরুষবিহীন গোলাপ মিয়ার ঘরে ঢুকে আসামীদের খোঁজে ঘরে তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে আসামী না পেয়ে পুলিশ গোলাপসহ আশপাশের কয়েকটি ঘরে ব্যাপক তান্ডব চালায় ও বাড়িতে থাকা মহিলাদের বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পুলিশের হামলায় ১০জন মহিলা আহত হয়। শোকাবহ বাড়িতে পুলিশী তান্ডবে মহিলাদের চিৎকারে কবরস্থান থেকে লোকজন বাড়িতে এসে নবীনগর থানার ৫ পুলিশকে ঘেরাও করে।

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল তিনটায় উত্তেজিত গ্রামবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর আঞ্চলিক সড়কে (গোকর্ণ রোড) বিক্ষোভ মিছিল বরে করে। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রামবাসীকে শান্ত করে বিকেল ৫টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পৈরতলা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনারা বেগম জানান, আসামী গ্রেপ্তারের নামে পুলিশ আমাদের গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পুলিশের মারধোরে ১০জন নারী আহত হয়।
আহত রোকসানা বেগম বলেন, কোন কিছু বুঝার আগেই সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ আমাকে পেটাতে থাকে। তিনি বলেন, ৫জন পুলিশের মধ্যে ২জন পোষাক পড়া ও বাকীরা সাদা পোষাকে ছিলো। আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে। তিনি দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন বলেন, আমার এলাকার গোলাপ মিয়ার বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় গোলাপ মিয়ার দাদি মারা যাওয়ায় কোন বাড়িতে পুরুষ লোক ছিলনা। শুনেছি পুলিশ গোলাপ মিয়ার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি ঘরে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিৎ রায় বলেন, পুলিশ সাইদুল হত্যা মামলার আসামী কিরণ মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য দক্ষিণ পৈরতলা গ্রামে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে নবীনগর থানার পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কন্ট্রোলকে অবহিত করে নবীনগর থানার পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলো। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
###

আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের তান্ডব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ পুলিশ অবরুদ্ধ ॥ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ

সুসন আহম্মেদ ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের আঁকা হাজার-হাজার ছবি নিয়ে চারদিনব্যাপী আরএকে সিরামিকস্ ২৮তম বার্ষিক শিশু চিত্রকলা প্রদশর্নী ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী চিত্রকলা প্রদর্শণী ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তৌফিকুর রহমান তপু।

সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মুঃ আব্দুল মান্নান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন স্মৃতি চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু।
###

আরএকে সিরামিকস্ ২৮তম বার্ষিক শিশু চিত্রকলা প্রদশর্নী ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দ দূষণকেই শহরের প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এ্যাডভোকেসী টীম।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এ্যাডভোকেসী টীম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ্যাডভোকেসী টীমের সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মনির হোসেনের পরিচালণায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আবু কাউসার খান,

জেলা বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা শামীমা বাছির স্মৃতি, জেলা মহিলা দল সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, পৌর কাউন্সিলর হালিমা মোর্শেদ, সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবু, আখাউড়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাত পারভীন স্মৃতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুক্তি খান, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল, এইমস কিডস স্কুলের পরিচালক এএসএম মুকিত প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক সমন্বয় আবুল বাশার। সভায় এ্যাম্বুলেন্সের বিকট আওয়াজ, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিক রিকসা, মোটর সাইকেল ও ইজিবাইকের হাইড্রোলিক হর্ণের বিকট শব্দ থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

সভায় শব্দ দূষণ বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধ কল্পে আগামী ১৬ এপ্রিল সকালে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
###

শব্দ দূষনরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ্যাডভোকেসী টীমের মতবিনিময়

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিআরডিবির কর্মচারীরা।বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন বলেন, বিআরডিবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সকল প্রকল্প/ কর্মসূচীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয় থেকে দায় প্রথা বাতিল করে শতভাগ বেতন ভাতা নিশ্চিতকরণ, মহামান্য আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে সকল জনবলের চাকুরী রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তর এবং “বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ ফাউন্ডেশন” এর পরিবর্তে বিআরডিবিকে প্রস্তাবিত “বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর” এ রূপান্তর সহ বিআরডিবির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। চাকরি করি কিন্তু বেতন পাইনা, এ কেমন বিচার। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবি কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, আশরাফ উল্লাহ, শায়লা আক্তার রুমি, ইসমত আরা, করুণা দেবি প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
###

৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরডিবি কর্মচারীদের মানববন্ধন

botvনিউজ:

গত ৩১ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালে সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের অশোভন আচরন ও শারিরীকভাবে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোঃ হায়াত উদ দৌলা খানের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক তদন্তসাপেক্ষে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ছাত্রলীগ নেতাদের আশ্বাস দেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ সকালে সদর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে নৌকার সমর্থক ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকে। সকালে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের নির্দেশে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ভোট কেন্দ্রের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবিউল হোসেন রুবেলসহ ১০/১২জনকে পিটিয়ে আহত করে। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভেতর থেকে এএসআই আছহাব নৌকা প্রতীকের দুইজন এজেন্টের বুক থেকে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ খুলে ফেলে ও তাদেরকে মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ সদর উপজেলার বরিশল ও উলচাপাড়া গ্রামে নৌকার মার্কার সমর্থকদের বাড়িতে তল্লাশী ও নেতা-কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এ ছাড়াও এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার তনিমা আফরাদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবিরের নির্দেশে সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে নৌকা মার্কার সমর্থক ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্মারকলিপি গ্রহণ করে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে জেলা ছাত্রলীগ দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানসহ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে (হাসপাতাল রোডে) টায়ারে আগুন দিয়ে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ পালিত হয়।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টায় অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা।
বিক্ষোভ চলাকালে জেলা ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগের (৩০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান চট্টগ্রাম থেকে ১১জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। রাতের বেলা তিনি সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীমা আক্তারের সাথে বৈঠক করেন।
নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল সহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকে বেদম মারধোর করে আহত করে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে গিয়ে নৌকা মার্কার ব্যাজ লাগানো দেখলেই তাকে নাজেহাল করে কেন্দ্রের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়। বুক থেকে নৌকা মার্কার ব্যাজ খুলে নিয়ে যায়।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবিরের অপসারনের জন্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান এবং স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষনা দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। আমরা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে বিবেচনায় নেইনি। আমাদের কি ভূমিকা ছিল তা ভোটার ও সুশীল সমাজ জানে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার দুর্ভাগ্য । নির্বাচন কমিশন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে আমার সাথে অনেক লোক দেখা করেছে। আমি কোন পক্ষপাতিত্ব করিনি। কে বা কারা নির্বাচন করেছে তাও আমি জানি না। ম্যাজিষ্ট্রেটদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেখানে পাঠিয়েছে।
###

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠকপ্রিয় পত্রিকা “দৈনিক আমাদের সময়” এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি মনির হোসেন, সুর সম্রাট দি ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সদস্য জাবেদ রহিম বিজন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী,

খেলাঘরের কেন্দ্রীয় সদস্য বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল প্রমুখ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

botvনিউজ:

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানসহ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে (হাসপাতাল রোডে) টায়ারে আগুন দিয়ে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। এতে করে শহরের ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ পালিত হয়।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টায় অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা।

বিক্ষোভ চলাকালে জেলা ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগের (৩০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান চট্টগ্রাম থেকে ১১জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। রাতের বেলা তিনি সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীমা আক্তারের সাথে বৈঠক করেন।

নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল সহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকে বেদম মারধোর করে আহত করে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে গিয়ে নৌকা মার্কার ব্যাজ লাগানো দেখলেই তাকে নাজেহাল করে কেন্দ্রের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়। বুক থেকে নৌকা মার্কার ব্যাজ খুলে নিয়ে যায়।

অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান লেনিন, তাজুল ইসলাম আপন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম বিল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা আফরিন ফাতেমা জুই, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাজেরা আক্তার কলি, শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লিমন আল স্বাধীন প্রমুখ।

এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগের রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। নির্বাচনের দিন মান্নানের নির্দেশে সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে বেদম মারধোর করে আহত করে। তার এই ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারনে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় ঘটে।

রুবেল ও শোভন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবিরের অপসারনের জন্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান এবং স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষনা দেন।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টার দিকে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।

এদিকে দীর্ঘ দুই ঘন্টা অবরোধ চলাকালে শহরের প্রধান সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সাক্ষাতকারী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার বিজয়ী হন। আবদুল মান্নান ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ছিলেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। আমরা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে বিবেচনায় নেইনি। আমাদের কি ভূমিকা ছিল তা ভোটার ও সুশীল সমাজ জানে।
###

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

 

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানপদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং নাসিরনগর উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে একাধিক প্রার্থী না থাকায় জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ( আনারস প্রতীক) ৬৮ হাজার ২৩৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ( নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯০৭ ভোট।

 

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাফি উদ্দিন আহম্মদ (নৌকা প্রতীক) ৫৯ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম, মনিরুজ্জামান সরকার ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

সরাইল উপজেলা পরিষদঃ-
সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর (ঘোড়া প্রতীক) ৩১ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শের আলম মিয়া ( মোটর সাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৮ ভোট।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদঃ-
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ হানিফ মুন্সী (নৌকা প্রতীক) ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৫ ভোট।

 

নবীনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (দোয়াত- কলম প্রতীক) ৪৯ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯০ ভোট।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আইনমন্ত্রীর সাবেক সহকারি একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

###

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী

ফেসবুকে আমরা..