স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ে ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন চত্ত্বর, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

অসহায় ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।

খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান জেনী, মোকাব্বের, ইমরান, দস্তগীর আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের মাহমুদ খান শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম রবিন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবক্তা। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন ও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আজ তার ৫১ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। আমাদের অহংকার ও তারুণ্যের আইকন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রলীগ শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছে। তিনি জয়ের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার সকলের কাছে দোয়া চান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখা, মাস্ক পরিধান না করা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত চারদিনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৮৫ জনকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসারসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রামন রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহ লংঘনের অপরাধে ৬৮৫ জন ব্যক্তিকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

লকডাউন অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার দিনে ৬৮৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনার এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের চাপ বাড়তে থাকায় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা শুরু হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সোমবার ভোর থেকে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হাসপাতাল চত্বরে এন্টিজেন টেস্ট করাতে আসা মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লাইন করাসহ শৃংখলা বজায় রাখতে কাজ করতে দেখা যায়।

জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে করোনার এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইনের একটি ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় করোনাভাইরাসের এন্টিজেন পরীক্ষা করাতে আসা লোকজন গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা এন্টিজেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে করোনা পরীক্ষা করতে পারেন সেজন্য কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে স্বেচ্ছায় কাজ শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

করোনার পরীক্ষার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মোঃ মোখলেছুর রহমান (৬০) নামের একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত মোখলেছুর রহমান জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা গ্রামের হাজী মরহুম আবদুল আজিজ ওরফে শ্যামা সরদারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডায় বাড়ি কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান তার নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের ছাদে উঠে ময়লা পরিষ্কার করার সময় ছাদের রেলিং ভেঙ্গে তিনি নিচে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে অ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। সোমবার রাত ৮টায় পূর্ব মেড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাযা শেষে লাশ সরাইল উপজেলার তারাখলা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি নিজ বাড়ির ছাদ পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত ছাদের রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আইনজীবীর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে তাবাসসুম আক্তার (৪) ও উমর মিয়া (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুহিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু তাবাসসুম আক্তার উত্তর সুহিলপুর গ্রামের মহসিন মিয়ার কন্যা ও উমর মিয়া একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে ওমর ও তাবাসসুম বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। হঠাৎ করে তারা সেখান থেকে হারিয়ে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্তিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,  অন্ধকারের শক্তি যারা, তারা আলোর পথে যাত্রা চর্চা হয় সেটাকে পছন্দ করে না। তাই বারবার তারা আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ, শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা যেখানে আছে সেখানে হামলা করছে। কারণ তারা মুক্ত চিন্তার বিপক্ষে। তাদের চিন্তা নিজস্ব বলয়ের ভেতরে।

তিনি গত ২৮ মার্চ দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী পরিচলানা কমিটির সহ-সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গণি সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে বলেন, যখন মাদরাসাগুলো খুলে দেয়া হবে, তখন যেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচীগুলো যেন পালন করার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শাহ-আলম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি জেলার কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের মধ্যে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পুনঃসংস্কার কাজ উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সায়মন (৯) নামে এক মাদরাসার ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের নদ্দাপাড়ার একটি ধানি জমি থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু সায়মন সুহিলপুর গ্রামের নদ্দাপাড়ার বাদল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে সায়মন তার বাবার সাথে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জমিতে ঘাস কাটতে যায়। কিছুক্ষণ পর সে তার বাবাকে বলে আর ঘাস কাটবে না। বাড়িতে চলে যাবে। একথা বলে সে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদল মিয়া বাড়িতে গিয়ে দেখে সায়মন বাড়িতে ফিরেনি। পরে পিতা বাদল মিয়াসহ পরিবারের লোকেরা তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে আনুমানিক আধা কিলেমিটার দূরে ধানি জমিতে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সায়মন স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে। তার বাবা-মাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভীড়। এতে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ-উল আযহা শেষে গত শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।

কঠোর লক ডাউনকে উপেক্ষা করেই শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এবং বিজয়নগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এই ফুটবল খেলা উপভোগ করে।

এছাড়া শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ভ্রমণ পিয়াসুদেরভ ভীড় জমতে থাকে। একই অবস্থা হয় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বিলের পানির উপর নির্মিত একটি পর্যটন স্পটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজারো ফুটবলপ্রেমি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে আখাউড়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশের জমি এখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার এই পানির উপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক গড়ে তুলেছেন “বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্ট”। শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভীড় জমে হাজারো ভ্রমন পিয়াসুর।

সেখানে বেড়াতে যাওয়া খলিলুর রহমান নামক এক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছরই ঈদের পর পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ঘুরতে বের হই। এবার ঈদের একদিন পরই লকডাউন দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।

হাফিজ ভূইয়া নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় একটু বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে এসেছি। এ ব্যাপারে বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্টের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ঘুরতে যান ভ্রমণ পিয়াসুরা। বিকেল নাগাদ সেখানে মানুষের ভীড় জমে।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, সরকার ঘোষিত “সবচেয়ে কঠোর” লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় “কিং অফ কসবা রিসোর্টে” অনেকেই ঘুরাফেরা করতে আসেন। খবর পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভীড়


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার সকালে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) সালাউদ্দিন খাঁন নোমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে ভাদুঘর গ্রামের ঢালি বাড়ির রেল গেইটের কাছে রেল লাইনের পাশে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফোন দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মালবাহী কোন একটি ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ওই যুবক মারা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া কিনে পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে তাদের বড় অংকের টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। আবার মাঠ পর্যায়ে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ মানুষ তাদের কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মসজিদ ও এতিমখানায় দান করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াজাতকারী কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চামড়া বিক্রি হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে চামড়া কিনে জেলা শহরের পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গণ, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট (মঠের গোড়া), টি.এ.রোড, জেলরোড, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জড়ো হন। সাধারণত ঈদের দিন বিকেলেই এসব জায়গায় তারা চামড়া নিয়ে বসেন। এসব জায়গা থেকেই ক্রেতারা চামড়া কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যায় তাদের গন্তব্যে। তবে জেলার সবচেয়ে বড় চামড়ার বাজার বসে সরাইল উপজেলা সদরের বিকাল বাজারে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগের বছর গুলোতে শহর এবং শহরের আশপাশ এলাকা থেকে অসংখ্য খুচরা ও মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী এখানে চামড়া নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার সেই সংখ্যা অনেক কম। তাঁদের মতে, আগের বছর গুলোতে লোকসান হওয়ায় এবং প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় এবার অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী মাঠ পর্যায়ে চামড়া কিনেনি। তবে বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে চামড়া নিয়ে আসছেন পাইকারদের কাছে। তবে আমরা চামড়া কিনেছি। দাম পাবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া কিনে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। নগদ দামে চামড়া কিনে পাইকারদের কাছে বাকিতে বিক্রি করতে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা একটি বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা ও মাঝারী গরুর চামড়া ২০০/২৫০ টাকা করে কিনেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া মহল্লার চামড়া ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া বলেন, ৩০ টাকা ফুট হিসেবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরুর ২২ টি চামড়া কিনেছি।

চামড়া ব্যবসায়ী সুমন মিয়া, শরিফ মিয়া শাকিল মিয়া ও মোহাম্মদ কায়েস মিয়া বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চামড়ার ব্যবসা করেন। এ বছর পুঁজি সংকট থাকায় ধার দেনা করে কিছু চামড়া কিনেছি।  ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে গরুর চামড়া কিনে পাইকারদের কাছে ৪০০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এর মধ্যে পরিবহন খরচ তো আছেই।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ৩০০ টাকা দিয়ে একটি চামড়া কিনে লবণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে আরও ৩০০ টাকা খরচ হয়। এরপর পরিবহন খরচ দিয়ে ট্যানারিতে পাঠাতে হয়। সে অনুযায়ী মূল্য পাব কিনা নিশ্চয়তা নেই।

পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি গ্রামের তারেকুল ইসলাম, কাউতলি গ্রামের মেহেদী হাসান, ফুলবাড়িয়ার খাইরুল কবির বলেন, বুধবার (ঈদের দিন) সন্ধ্যা পর্যন্ত চামড়া কিনতে কেই না আসায় চামড়া মসজিদকে দিয়ে দিয়েছি।

সরাইল উপজেলার চামড়ার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, মহিষের চামড়া গড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় এবং গরুর চামড়া গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা করে কিনেছি।

তিনি বলেন, আমরা চামড়া ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে ভালো দামে চামড়া কিনতাম। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে চামড়া শিল্প বিরাট ধাক্কা খাবে। দেশের চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারের উচিত এই খাতের প্রতি নজর দেয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

ফেসবুকে আমরা..