সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি “ ভাঙ্গারির” দোকান থেকে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২৯৪টি উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খাতাগুলো বিএ এবং বিএসএস ২০১৮ এর সমাজতত্ব- ২এর।

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন রোডের একটি ‘ভাঙ্গারির’ দোকান থেকে বিপুল পরিমান এই উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।

গত ৭ নভেম্বর জেলার কসবা উপজেলার সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্মের প্রভাষক মোঃ ছায়েদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় খাতাগুলো হারিয়ে ফেলেছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন ও প্রভাষক ছায়েদুর রহমান উত্তরপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে কসবা উপজেলা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া বিষয়টি জানে না বলে জানান। তিনি জানান, প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় প্রভাষক ছায়েদুর রহমানের দায়ের করা জিডিতে বলা হয়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বণিকপাড়ায় বসবাস করেন। গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র কুমিল্লা থেকে বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২০১৮ এর উত্তরপত্র নিয়ে কুমিল্লা থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। দুপুর দেড়টার সময় তিনি ট্রেন থেকে নেমে রিকশা ডাকতে যান। পরে এসে দেখেন খাতা ভর্তি বস্তাটি নেই।

এ ব্যাপারে প্রভাষক ছায়েদুর রহমান খাতা খোঁজে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টোকাইয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পেয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি স্টেশন রোড এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করেন। সব খাতাই অক্ষত আছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, শনিবার এ বিষয়ে থানায় জিডি হয়। থানা পুলিশ ও ওই ব্যক্তি স্টেশনের আশপাশ এলাকায় খাতার খোঁজে নামেন। বিকেলে স্টেশন রোডের একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই প্রভাষক রিক্সা আনতে যাওয়ার সুযোগে টোকাইরা খাতাগুলো নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কসবা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ভাঙ্গারির” দোকানে মিলেছে বিএ,বিএসএস’র ২৯৪ উত্তরপত্র!

সুমন আহম্মেদ ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদের ১৪তম প্রয়াণ দিবসে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে স্মরন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গনি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রা, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদ-এর লেখা ছড়াগান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধ্যাপক হারুনুর রশীদের প্রয়াণ দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ ২০১৯-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ- দৌলা খান প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধন করেন।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ কবীর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ আয়োজন কমিটির আহবায়ক মোঃ আবুল কাশেম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী।

এবারের জেলা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে ৮টি দল অংশ গ্রহণ করবে। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখী হয় বিজয়নগর উপজেলার রূপসী বাংলা ক্রীড়া চক্র বনাম সদর উপজেলার সুলতানপুর রাজা মিয়া একাদশ।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধন

সুমন আহম্মেদঃ
আখাউড়া যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজনকে হত্যার হুমকি এবং দৈনিক মানবজমিন আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষুব্দ সাংবাদিকরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকগন অংশ নেন। প্রতিবাদ সমাবেশে কসবা-আখাউড়ার(ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) সংসদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হককে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ারও আহবান জানান জেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহিন,টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, দৈনিক সমকালের ষ্টাফ রিপোর্টার আব্দুন নূর, মাই টিভির আ.ফ.ম কাউছার এমরান,সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম,দেশরূপান্তরের মো: মনির হোসেন,এনটিভি’র শিহাব উদ্দিন বিপু,সময় টিভি’র ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী,

যমুনা টিভি’র শফিকুল ইসলাম, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, দৈনিক করতোয়ার শাহজাহান সাজু,জিটিভি’র জহির রায়হান,আখাউড়া টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাসুক হ্নদয় প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মোহনা টিভির নজরুল ইসলাম শাহজাদা। এছাড়াও মানবন্ধনে অংশ নেন নাগরিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত,বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলাল,দৈনিক প্রথমআলোর শাহাদত হোসেন,প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মজিবুর রহমান খান,আজকালের খবর প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক চৌধুরী,আরটিভি’র আজিজুর রহমান পায়েল,এশিয়ান এজ’র আশিকুর রহমান মিঠু,এটিএন বাংলার ইসহাক সুমন,এসএটিভি’র মনিরুজ্জামান পলাশ,জাগোনিউজ টুয়েন্টি ফোরের আজিজুল আলম সঞ্চয়,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আশেক মান্নান হিমেল,ডিবিসি’র খন্দকার রায়হান,বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোরের মেহেদী নূর পরশ।

এতে বক্তারা বলেন, মেয়র কাজলের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিক বিজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তারা বিজনের হাত-পা কেটে নেয়ার জন্যে দেড় কোটি টাকা বাজেটও ঘোষনা করেন। কয়েক’শ মানবজমিন পুড়িয়ে ফেলেন। সন্ত্রাসীদের এই তৎপরতা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য উদ্বেগজনক জানিয়ে তারা বলেন-ঘটনার ১১দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত হত্যার হুমকিদাতা এবং পত্রিকা পুড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের প্রতি সন্ত্রাসীদের প্রতি আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ারও আহবান জানান।

তারা বলেন মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কাজল নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার ভয়ে আখাউড়ার মানুষ তটস্থ। পরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। বিক্ষোভ মিছিলে ‘সন্ত্রাসীরা মুক্ত কেন,প্রশাসন জবাব দাও’-বলে স্লোগান দেন সাংবাদিকরা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ,আইনমন্ত্রীর প্রতি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ার আহবান-

সুমন আহম্মেদঃ
ক্যারামবোড খেলা নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের নাড়িভূঁড়ি বের করে ফেলেছে ফাইজুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবক।

সন্ধ্যা ৬.০০ ঘঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরায় ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি হওয়ার পর বাপ্পী (২২) নামে যুবককে ছুরিকাঘাত করে নাড়িভূঁড়ি রাস্তায় বের করে ফেলেন একই এলাকার তিন ভাই। গুরুত্ব আহত বাপ্পী সদর উপজেলার ঘাটুরা, গৌতমপাড়ার জরু মিয়ার ছেলে। সে ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে কাজ করতো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- গতকাল বিকালে ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে রাইজুল ইসলামের(১৮) সাথে বাপ্পীর তর্কাতর্কি হওয়ার পর ফাইজুল ইসলাম(২০) বাপ্পীর পেটে ছুরিকাঘাত করে তারপর তার নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে যায়। হামলাকারী ফাইজুল ইসলাম(২০), রাইজুল ইসলাম(১৮), সাইফুল ইসলাম(৩২) একই এলাকার মোহাম্মদ উল্লার ছেলে।

গরুত্ব আহত অবস্থায় বাপ্পীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগরে চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান ফায়েজ বাপ্পীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়য়ায় ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের নাড়িভূঁড়ি বের করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ –

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লরি থেকে বিদ্যুতের খুঁটি নামাতে গিয়ে আশিক মিয়া-(২২) নামে এক শ্রমিক বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশিক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের নোয়াব মিয়া হাজারীর ছেলে৷

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়,বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আশিক মিয়া সুলতানপুর গ্রামে লরি থেকে ক্রেনের সাহায্যে বিদ্যুতের খুঁটি নামানোর সময় খুঁটিটি অসাবধানতাবশত রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক তারের লেগে গেলে আশিক মিয়া বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোরকিপার মামুন বলেন- আশিক মিয়া প্রায় সময়ই পল্লী বিদ্যুতের খুটি নামানোর কাজ করতো। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় সুলতানপুর এলাকায় লরি থেকে খুটি নামানোর সময় বিদ্যুৎস্পর্শে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেন নি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্দি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে বিজয়ফুল তৈরী, গল্প ও কবিতা, রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন একক অভিনয়, দেশাত্বোনধকও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বৃহস্পতিবার নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়–য়া।

অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহ, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ খান, সাধারন সম্পাদক মোঃ সাহেদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতায় উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়ফুল তৈরীর প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক মানবজমিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক জাবেদ রহিম বিজনকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয় হুমকি পেয়ে তিনি (বিজন) চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে রয়েছেন।

গত ২৫ অক্টোবর মানবজমিন পত্রিকায় আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগ নেতা তাকজিল খলিফা কাজলকে নিয়ে “আখাউড়ায় খলিফা সাম্রাজ্য” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরপর ফেসবুকে সাংবাদিক বিজনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

সাংবাদিক বিজনের দায়েরকৃত জিডিতে বলা হয়, “কাজল ভাইয়ের সমর্থক” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ২৬ অক্টোবর রাতের কোন এক সময়ে ‘বিজনের হাতের দাম- ১০০০০০০০/, পা- ৫০০০০০০, হত্যা মামলাসহ দেয়াহবে ১৫০০০০০০’ লিখে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এছাড়াও ‘বিজনকে যেখানে পাবে-তাকে সাইজ যে করতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে’ ইত্যাদি পোস্ট দেয়া হয়।

বিষয়টি জানার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আইটি কক্ষের কম্পিউটারে বিজনসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা হত্যার হুমকি দেয়ার পোস্টগুলো দেখতে পান। হুমকিদাতারা মেয়র কাজলের আত্মীয় ও রাজনৈতিক সহচর বলে প্রতীয়মান হওয়ার কথা জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ফেইক আইডি থেকে কাউকে দিয়ে এটি করানো হয়েছে। ওই আইডির বিরুদ্ধে গত রোববার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন নয়ন আখাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়টি সাবেক সংসদ সদস্য ও তাঁর অনুসারিরা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছেন না। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ করানো, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার একই সূত্রে গাঁথা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় জিডি

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৬শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নোয়াব আসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দা নাখলু আক্তার প্রমূখ। পরে অতিথিগন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি’র ৬৬৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
###

জলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

সুমন আহম্মেদঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর রোববার সকালে পৌনে ৯টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৬৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হুমায়ুন কবির মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং দু’বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা আওয়াামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র। হুমায়ুন কবীরের দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বরেণ্য রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবীর ১৯৫২সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মাতার নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৭সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৪সালে তিনি পূনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৮৭সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেএে ব্যাপক অবদান রাখেন। অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর র্দীঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ সহ নানান রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থতা থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

যুক্তরাষ্টে থাকা তার একমাএ মেয়ে এলিন কবীর দেশে আসলে সোমবার তাকে পৈরতলা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
###

চলে গেলেন সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর

ফেসবুকে আমরা..