সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো মোবাইল অ্যাপস্ এর প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
গতকাল সোমবার দুপুরে খাদ্য শস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপস্ এর পাইলটিং প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তর ও অংশীজনের সাথে ভিডিও কনফারেন্স শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডঃ মোছাম্মৎ নাজমানারা খানমের সাথে যুক্ত হন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

এ সময় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ৪ হাজার ৮শ মেট্টিক টন আমন ধান সরকারীভাবে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল অ্যাপস্ এর মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১ হাজার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ৯শ ৯৯ মেট্টিক টন ধান ১ হাজার ৪০টাকা প্রতি মন ( ৪০ কেজি) দরে সংগ্রহ করা হবে।

আগামী ৭ ডিসেম্বর মোবাইল অ্যাপস্ এর রেজিষ্ট্রেশনের শেষ দিন নির্ধারন করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধান সংগ্রহ কাজে কৃষকদের সহযোগীতা করবে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ক্রয় অভিযান চলবে। আধুনিক প্রক্রিয়ায় ধানক্রয়ে প্রান্তিক কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু নাসের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গ্রাম পর্যায়ের কৃষকেরা।
###

মোবাইল অ্যাপস্ এর প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো সংগ্রহ করা হবে ধান

সুমন আহম্মেদঃ
সুরে-ছন্দে-নৃত্যে-আবৃত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত রোববার রাতে শহরের পুরাতন জেলখানা পুকুরের পূর্বপাড়ে আসিফ টিউটোরিয়াল এন্ড হাই স্কুল উঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। বক্তব্য রাখেন জেলা জজ অরুনাভ চক্রবর্তী,সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব,সাহিত্য একাডেমী কবি জয়দুল হোসেন,সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার ও নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ। আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পিদের পরিবেশনায় সমবেত ও একক সঙ্গীত,নৃত্য এবং তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পরিবেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি উপভোগ করেন বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া এক নবজাতক নিয়ে

ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর ওই নবজাতককে যে মায়ের কোলে দেয়া হয়েছে তিনি এটি তার সন্তান নয় বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়। সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার, সুহিলপুরের তামান্না আক্তার ও পৌর এলাকার পাইকপাড়ার দিপ্তী রানী দাস ওই তিন সন্তানের জন্ম দেন।

শারমীন ও তামান্নার কোলে ছেলে শিশু এবং দিপ্তীর কোলে মেয়ে শিশু তুলে দেন ডাক্তার। কিন্তু জটিলতা তৈরি হয় তামান্না ও দিপ্তীর সন্তান নিয়ে। দিপ্তী মেয়ে শিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার ছেলে সন্তান তার বলে দাবি করেন।

দিপ্তীর মা শোভা রানী বিশ্বাস জানান, সদর হাসপাতালেই তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলে প্রতিবারই তার মেয়ের গর্ভে ছেলেসন্তান আছে বলে জানানো হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে তার কাছে মেয়ে শিশু দেয়া হয়। এ কারণে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তামান্নাকে দেয়া ছেলেসন্তানটি তার নাতি বলে দাবি করেন তিনি।

তবে তামান্নার স্বজন মো. বকুল মিয়া জানান, দিপ্তীর কোলে যে ছেলেসন্তান দেয়া হয়েছে সেটিই সঠিক। দিপ্তী ও তার মা কেন এমন করছে তা বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। একটা অস্ত্রোপচারের আধা ঘণ্টা পর আরেকটা হয়েছে। ডাক্তারও ছিলেন আলাদা। তারপরও যদি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে মেয়ে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
###

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বলছে ছেলে অথচ ডাক্তার ধরিয়ে দিলেন মেয়ে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদেরকে জেলার সব মসজিদে তাবলিগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সমঝোতা মোতাবেক মার্কাজ মসজিদে বয়ান করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাদপন্থীরা।

গত শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডা তিতাসপাড়ায় সাদপন্থীদের অস্থায়ী মার্কাজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রভাষক মোঃ সোহরাওয়ার্দী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের বাঁধার মধ্যে দিয়েই জেলার বিভিন্ন মসজিদে আমাদের জামাত চলছে। অনেক সময় জুবায়ের পন্থীরা আমাদেরকে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আমাদের জামাতকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমরা বারবারই ধৈর্য্য ধরে সংঘর্ষ এড়িয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত বুধবার (২০ নভেম্বর ) বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ায় তার নিজ মহল্লার আব্দুল আলীম ওয়াফকাহ ট্রাস্ট জামে মসজিদে আছরের নামাজ শেষে মহল্লার কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে দোয়া করার সময় মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারী ৭০/৮০ জন কওমী মাদরাসা ছাত্র ওই মসজিদে ঢুকে মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আবদুর রহিমের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয় ও তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মসজিদের ভেতরেই ঢলে পড়েন। সাথে সাথে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ এবিএম মুসা চৌধুরি তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আবদুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন, প্রশাসন কোনো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জুবায়েরপন্থী কওমী মাদরাসার ছাত্রদের সাহস দিন দিন বাড়ছে। এ কারনেই আবদুর রহিমের এই পরিণতি।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবেন গেলে তিনি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমাদেরকে বলেন- এটি জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা। আমরা এর কোনো সমাধান দিতে পারব না।

তিনি প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি আলাদা কোনো রাষ্ট্র? এখানে কি বাংলাদেশের সংবিধান প্রয়োগযোগ্য নয়? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে না?
এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল মসজিদে সাদপন্থীদের তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়াসহ পৌর এলাকার বিরাসারে অবস্থিত মার্কাজ মসজিদ তাদেরকে ব্যবহারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা আনিসুর রহমান ও আব্দুল আহাদসহ সাদপন্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের সাথে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনেরও বেগ পোহাতে হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আইন দিয়ে ধর্মকে নিয়ন্ত্রন করা যায়না। তিনি বলেন, যেহেতু মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দুইপক্ষকে নিয়ে বসে একটা সমঝোতা করে দিয়েছেন তাই আমরা সাদপন্থীদের বলেছি আপনাদের কোন সমস্যা থাকলে আপনারা মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেন। আমরা কাউকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে দেবনা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাদপন্থীদের সংবাদ সম্মেলন সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেয়ার দাবি

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকীর উপস্থিতিতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানতে পেরে সকাল থেকেই লোকজন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এসে লাইনে এসে দাঁড়ায়। পুরুষ ও মহিলারা দুইটি পৃথক লাইনে দাড়িয়ে জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করে। লোকজনের ভীড় এড়াতে এবং সুশৃংখলভাবে যাতে লোকজন পেঁয়াজ কিনতে পারেন সেজন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

রোজগার ট্রেডার্স নামে টিসিবির একজন ডিলারের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ভাষা চত্বরের ফটক বন্ধ করে জানানো হয়, লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের দিয়েই শেষ হবে পেঁয়াজ বিক্রির কাজ। পুলিশ কনস্টেবল মোঃ হেলাল মাইক হাতে এ ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ভীড় কমতে থাকে।

রোজগার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি নুরুন্নাহার বেগম জানান, বুধবার বিকেলে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানানো হয়। আমাদেরকে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বেশ ভালোভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি করা গেছে।
পেঁয়াজ কিনে বেরুনোর সময় পৌর এলাকার পৈরতলার পারুল বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দোকান থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। এখানে কমদামে বিক্রি হচ্ছে জেনে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছি।

পেঁয়াজ কিনে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার মেড্ডা গ্রামের আব্দুস সামাদের-(৭০) জানান, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে তিনি এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। গতকাল বুধবার পৌর কার্যালয়ে কাজে এসে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা শুনে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেন।

পেঁয়াজ কিনতে আসা মোঃ শাহ আলম, মোঃ আলীসহ আরো কয়েকজন টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘টানা কয়েকদিন এ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। আশা করি আগের দামেই বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা যাবে।

পেঁয়াজ বিক্রি তদারকি করতে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। তিন দিনে মোট তিন টন পেঁয়াজ দেয়া হবে। শনি ও রবিবার একইস্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আপাতত একস্থানেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে। আরো বরাদ্দ পাওয়া গেলে কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হবে।
###

টিসিবির ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু ॥ ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় নওশীন আহমেদ দিয়া নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার বিকেলে আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে গভঃ মডেল হাই স্কুল ও সাবেরা সোবহান সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আদনান হোসেন উজ্জলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গার্লস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মারজিয়া আক্তার, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোহিনুর আক্তার, প্রিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে দোষী চিকিৎসকদের গ্রেফতার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে ভুল চিকিৎসায় মৃত শিক্ষিকা দিয়ার শিশু পুত্র সায়ান ইসলাম তিয়ান-(৬) অংশ নেয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর পৌর এলাকার খ্রীস্টিয়ান মোমোরিয়াল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহমদ দিয়ার-(২৯) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর নওশীন আহমেদ দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার ক্লিনিকের দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল এবং মোঃ শাহাদাৎ হোসেন রাসেলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গত শুক্রবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দিয়ার লাশ কবর উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন করা হয়।
###

ভুল চিকিৎসায় শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণকাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামে পৃথক তিন পরিবারের তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পরিবারের লোকজন ওই তিন শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভর্তি করে। ধর্ষণের স্বীকার তিন শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

শিশুগুলোর পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ার পূর্ব পাড়ার শাহীন ভূইয়ার ছেলে ইমন (১৭) ওই এলাকাতেই একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শেণীতে পড়াশোনা করে।

গত রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাড়ির পাশে উঠানে কয়েকটি শিশু খেলাধূলা করছিল। এসময় তাদের মধ্য থেকে ৮বছরের দুইটি শিশুকে পাশের খলিল ভূইয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘরে ওই দুই শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই ঘরে শিশুদের এক সহপাঠি ডুকে এই অবস্থা দেখে স্থানীয়দের জানালে তারা ইমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। এই অবস্থায় স্থানীয় মাতবররা এই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আপোষ করার কথা বলে।

এর আগে গত শুক্রবার (১৫নভেম্বর) দুপুরে একই এলাকার ৯বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই ইমনের বিরুদ্ধে। ওই শিশুর মা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানায়, ওই শিশুটির বাবা প্রবাসে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে শিশুর মা বাড়িতে রান্না করছিলেন। রান্নার সময় শিশুটিকে পাশের দোকানে পাঠায় তার মা। এসময় একই এলাকার ইমন শিশুটিকে ফুসলিয়ে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, শিশুদের ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে আসলে কি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
###

স্কুল ছাত্রের বিরুদ্ধে তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলেকে নেশার টাকা না দেওয়ায় মাকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
আজ ১৭ই নভেম্বর দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে শাহিদা বেগম(৫৫) নামের এক মহিলাকে নেশার টাকা জন্য মারধর করেন তারই বড় ছেলে মুরাদ মিয়া(২৫)। শাহিদা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উত্তর মৌড়াইলের মৃত জামাল মিয়ার স্ত্রী।

শাহিদা বেগম বলেন- প্রায় ৮ বছর আগে তার স্বামী জামাল মিয়া স্টোক করে মারা যায়। তারপর থেকে তার বখাটে ছেলে মুরাদ মিয়াকে নিয়ে ছোট ছেলের থেকে আলাদা হয়ে যায়। নিজের মেয়েদের টাকায় সংসার চালায়। প্রায় সময় টাকার জন্য আমাকে মারধর করে, টাকা না পাইলে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করেন। আমি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- শাহিদা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। মেয়েদের টাকায় কোন মতে সংসার চলে।নেশা করার জন্য মুরাদ টাকা না পেলে সে মা’কে টাকার জন্য মারধর করে। তার বখাটে ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।এ নেশামুক্ত সমাজ থেকে কবে রক্ষা পাবে অসহায় ও অবাগী মা।
###

নেশার টাকা না দেওয়ায় মা’কে মারধর-

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা অন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুসহ বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচায্রের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন, নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, ওয়ার্কার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাখার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এখানে যতগুলো আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করে যাত্রীর তুলনায় সেটি অপ্রতুল। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন অন্তঃনগর ট্রেনে জেলাবাসী যাত্রা করে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের অনেক আসন কেটে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে যাত্রীদের দুভোর্গ দিন দিন বাড়ছে।

বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা-চট্রগাম রেলপথে ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস নামে একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু কারার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এর যাত্রাবিরতি ও যাত্রাবিরতি দেওয়া অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর আসন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধন শেষে জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের কাছে জমা দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন ট্রেন চালু ও দুটি ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সফিকুল ইসলাম-(২৬) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বৈষ্ণবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিকুল ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই যুবককে আটক করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বৈষ্ণবপুর গ্রামের আবুল খায়েরের গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে একই গ্রামের জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কিছুদিন আগে স্থানীয়ভাবে সালিশ করে এই বিরোধের নিষ্পত্তি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আবুল খায়েরের গোষ্ঠীর রুবেল মিয়ার বাড়িতে যায় জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর ইমাম হোসেন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে রুবেলের স্ত্রীকে ইমাম হোসেন ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় বাকপ্রতিবন্ধী সফিকুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিবাদ করে।

পরে রুবেল বাড়িতে এসে ইমাম হোসেনকে আটক করে। রুবেল রাতেই বিষয়টি এলাকার কয়েকজনকে অবহিত করেন।
এক পর্যায়ে ইমাম হোসেন সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তার গোষ্ঠির লোকজনকে জানায়, রুবেলের বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রেখে মারধর করেছে। ইমাম হোসেনের কাছে একথা শুনে জামাল মিয়ার গোষ্ঠির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাকপ্রতিবন্ধী সফিকুল ইসলাম দোকানে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সংঘর্ষে সিরাজ মিয়া-(৫০), আহাম্মদ আলী-(৬৫), আশেক মিয়া-(২৪), বাদশা মিয়া-(১৮), ইসমাইল মিয়া-(৩০), রুবেল মিয়া- (২৮), তাজুল ইসলাম-(৫৬), আহাদ মিয়া-(৩৮), শাবলু মিয়া-(২২), মুসা মিয়া-(২৮) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন, মেয়েলী ঘটনার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
###

গৃহবধূকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা ॥ আটক-২

ফেসবুকে আমরা..