সুমন আহম্মেদঃ
বহুল প্রতিক্ষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের (চান্দুরা-সিঙ্গারবিল সড়ক) সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে চান্দুরা ডাক বাংলো মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান (মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রি রানী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বিএনপি এবং জাপা এই দুই দলের হাত রক্তে রঞ্জিত। এরশাদ বলত যে তার হাত নাকি রক্ত নাই। বসুনিয়ার রক্ত কার হাতে? সেলিম দেলোয়ারের রক্ত কার হাতে? এ রকম অগনিত মানুষের রক্তের কাহিনী বলা যাবে। তিনি বলেন, বেগম জিয়া এবং এরশাদের হাতে রক্তের দাগ আছে। তারা সাধারন মানুষের রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন। তাদের মুখে এমন বুলি মানায় না।

তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বিজয়নগরের এই সড়কটির কাজ শেষ হলে এপথে চলাচলকারী জনগন উপকৃত হবে। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

প্রায় ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত (চান্দুরা ডাকবাংলো এলাকা থেকে সিংগারবিল পর্যন্ত) মুক্তিযোদ্ধা সড়কটির সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটির বাস্তবায়ন করছে।
###

প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজয়নগরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ( আখাউড়া ও বিজয়নগরের অংশ বিশেষ) উপ-নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আতাউর রহমান নাজিম হাতি মার্কায় ও মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।

এদিকে নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে বিজয়নগর উপজেলার তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০জন জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) মারধোরের শিকার হয়েছেন। অপরদিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোটারদেরকে মারধোরের অভিযোগ এনে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ধ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া (তালা প্রতীক) নির্বাচন বর্জন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খন্দকার, সিঙ্গারবিল ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল হক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, বিজয়নগর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৪১জন ভোটার গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে গেলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল তাদের কয়েকজনের হাত থেকে ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই নির্বাচনের প্রার্থী আতাউর রহমান নাজিমের (হাতি) মার্কায় সীল মারেন।

এতে তারা প্রতিবাদ করলে মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেনসহ তাদের অনুসারীরা তাদের উপর চড়াও হয় ও তাদের বেধরক মারধোর করে। তাদের মারধোরে তিন ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে মনিরুল হক ভূইয়া, জামাল উদ্দিন, খন্দকার আবুল কালাম আজাদ খন্দকারসহ ১০জন মেম্বার আহত হয়। পরে তারা নিরাপত্তার কারনে ভোট না দিয়েই পুলিশের সহায়তা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জন করা প্রার্থী ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বিজয়নগর উপজেলার ১০/১২জন ভোটারের হাত থেকে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে হাতি মার্কায় সীল মারেন। এর প্রতিবাদ করায় মেয়র কাজল ও তার অনুসারীরা বিজয়নগরের তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০জন ভোটারকে মারধোর করেছেন। তিনি বলেন, শুধু বিজয়নগরের চেয়ারম্যান, মেম্বারই নয়, মেয়র কাজল তাকে ও তার স্ত্রীকেও মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ আলী ভূইয়া আরো বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের কারনে তিনি দুপুর ১২টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামুন মেম্বার, বাচ্চু মেম্বার, জালাল মেম্বার, ফাতেমা মেম্বার, কাকলী মেম্বার, ছায়েদ মেম্বার, বাছির মেম্বার, হুমায়ূন মেম্বার, রশিদ মেম্বার, আক্তার মেম্বার, হারিজ মেম্বারসহ ২৫জন সদস্য।

এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারীরা মিথ্যা কথা বলেছেন।
###

জেলা পরি ভোট দিতে গিয়ে মারধোরের শিকার তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০জন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কেরামবোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার কেরামবোর্ড খেলা নিয়ে হাজীপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার মস্তু মিয়ার ছেলে আবেদের সাথে পশ্চিম পাড়ার শিশু মিয়ার ছেলে শরিফ মিয়ার হাতাহাতি হয়।

বিষয়টি মিমাংসা করতে সোমবার রাতে উভয়পক্ষ সালিশে বসে। সালিশে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আহতদের মধ্যে আব্দুল খালেক-(৮৫), লোকমান মিয়া-(৪৫), লিটন মিয়া-(২৫), মাসুক মিয়া-(৩৮), শামীম মিয়া-(২৬), আলী আহাম্মদ-(৪৬), আইয়ুব মিয়া-(৩৫), হুমায়ূন মিয়া-(৩০), মজিদ মিয়া-(৪৫), মুজিবুর রহমান-(৪২), নূরুল আমিন-(৩৫), মোঃ রাসেল-(২৫), জিয়াউর রহমান-(৩৫), সাচ্চু মিয়া- (৪০), আরব আলী-(৪০), জীবন মিয়া-(২৩) এবং সামসু মিয়া-(৪২) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়জুল আজিম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
###

কেরামবোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-৩০

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে পৃথক অভিযানে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকেরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তুহিন মিয়া-(২০) এবং ওবায়দুল মিয়া-(৫০)। গ্রেপ্তারকৃত তুহিন মিয়া বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আবদুর রহমানের ছেলে এবং গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল মিয়া একই উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের ফকিরহাটি গ্রামের মরহুম সুরুজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রাম থেকে তুহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপর দিকে শনিবার রাত ৮টার দিকে ৪৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ওবায়দুল মিয়াকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামের উত্তরপাড়ার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা ছদ্মবেশে তার কাছ থেকে প্রথমে ৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় করে।

পরে তাকে আটক করে তার বাসা থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৪৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও ইয়াবা বিক্রির নগদ ৫০হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

৫৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া প্রতিক) বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে নাছিমা মুকাই আলী পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তানবীর ভূইয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। নির্বাচনে ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের বে-সরকারি ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।
###

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী বিজয়ী

সুুমন আহম্মেদঃ
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়।প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ১৫/১৬টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়া নিয়ে ভাটারদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটাররা সকল নির্বাচনেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের দাবি জানান।

সকাল ৯টায় উপজেলার সিঙ্গারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রে উথারিয়াপাড়া গ্রামের ভোটার মোঃ আলমগীর জানান, তিনি খুব সহজেই ভোট দিতে পেরেছেন। কেন্দ্রটির বাইরে ভোট দেয়ার পদ্ধতির একাধিক ব্যানার দেখা যায়। সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল বাছেদ, শফিকুল ইসলামসহ অন্যদেরকে ভোট দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদেরকে বুঝিয়ে দিতে দেখা যায়।

উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটার বৃদ্ধ আবুল কালাম বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে তিনি খুব খুশী। তিনি বলেন, এইবার ভোট দিয়া শান্তি পাইছি। টিপ দেয়ার পরই আমার ছবি আইছে। আমার ভোট আমি দিছি। ইভিএমএ কোনো চুরি সুযোগ নাই। ইভিএমএ তাঁদের আস্থার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা।

এমনকি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ পদ্ধতিতে ভোট দানে স্বস্থি ও আস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে কেউ কেউ কিছু জটিলতার কথাও উল্লেখ করেছেন। আঙ্গুলের ছাপ বারবার দিয়েও না মিল পাওয়া, আগে থেকে জানা না থাকায় ভোট প্রদানে বিলম্ব, ভোটার নম্বর না থাকায় বুথ খোঁজে না পাওয়ায় জটিলতা সৃষ্টির কথা বলেছেন অনেকে। আগে থেকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় এ ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে অনেকের মত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দান পদ্ধতি খুবই স্বচ্ছ ও সহজ। প্রথমে ভোটার যাচাই মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিবে। আঙ্গুলের ছাপ নিশ্চিত হওয়ার পর তার ছবি ও পরিচিতি স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। এরপর তিনি গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিবেন। সেখানে তিন পদের প্রার্থীর জন্য তিনটি মেশিন রাখা। প্রার্থীদের প্রতীক বরাবর সাদা বাটনে চেপে নিশ্চিত করার জন্য সবুজ বাটনে চাপবেন। ভোটারের ভোটটি নিশ্চিত হওয়ার পর ভোট দেয়া সম্পন্ন হয়ে বলে লেখা উঠে। কেউ সঠিকভাবে ভোট না দেয়া পর্যন্ত লেখাটি উঠবে না।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ইভিএম’এর মনিটর নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এই কেন্দ্রে ১ ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিলো।
বিজয়নগরে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ৩৬৩ জন। তবে গতকাল ৪০ ভাগের মতো ভোট পড়বে বলে ধারণা পাওয়া যায়।
এদিকে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।
###

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমএ ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা

সুমন আহম্মেদঃ
আগামী ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন স¤পন্ন করার জন্য সোমবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ২৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ গোলাম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন, আনসার ভিডিপি’র উপ-পরিচালক সজল চাকমা।

বক্তব্য রাখেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃনাল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন প্রার্থীদের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই বছর রসালো ফল লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে লিচু চাষীদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং ঝড়-বৃষ্টি কম হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ৬শ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। তারা জানান, লিচুর উৎপাদন এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়ি জমিতে লিচুর চাষ করা হয়।

আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর, রাজাপুর, আমোদাবাদ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ এলাকা এবং কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নে রয়েছে কয়েকশত লিচুর বাগান।
তবে সবচেয়ে বেশী লিচুর বাগান বিজয়নগর উপজেলায়। বিজয়নগর উপজেলার লিচু মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এর খ্যাতি রয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, কালাছড়া, মেরাশানী, কামাল মোড়া, নূরপুর, হরষপুর, ধোরানাল, মুকুন্দপুর, সেজামুড়া, নোয়াগাঁও, অলিপুর, চান্দপুর, মেরাশানী, কাশিনগর, ছতুরপুর, রূপা, শান্তামোড়া, কামালপুর, কচুয়ামোড়া, ভিটি দাউদপুর এলাকায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক লিচুর বাগান। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় ওইসব এলাকার লিচু চাষীরা ধানী জমিতেও লিচুর চাষ করছেন।

দেশের অন্যান্য জায়গায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে লিচু বাজারে আসলেও বিজয়নগর উপজেলার লিচু মে মাসের প্রথম দিকে বাজারে আসে।
বিজয়নগর উপজেলার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হচ্ছে আউলিয়া বাজার ও মেরাশানী। এছাড়াও উপজেলার মুকুন্দপুর, কাংকইরা বাজার, চম্পকনগর, সিঙ্গারবিল বাজার, আমতলী বাজারসহ আরো কয়েকটি বাজারে পাইকারীভাবে লিচু বেচা-কেনা হয়। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা লিচু কিনে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যায়। তবে লিচু কেনার পর ব্যবসায়ীদেরকে বাজারের ইজারা বাবদ ২০০ থেকে ৬০০ টাকা ইজারা দিতে হয়।

এলাকাবাসী ও চাষীরা জানায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় লিচু বাজার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার। সেখানে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার লিচু বেচা-কেনা হয়। প্রতিদিন গভীর রাতে চাষী ও বাগানের মালিকরা তাদের উৎপাদিত লিচু বাজারে নিয়ে আসে। রাত তিনটা থেকে শুরু হয়ে সকাল আটটার মধ্যেই বেচা-কেনা শেষ হয়ে যায়।
লিচু চাষীরা জানান, বিজয়নগরে পাটনাই, বোম্বাই, চায়না থ্রি ও এলাচী জাতের লিচু চাষ করা হয়। এলাচী ও চায়না থ্রি জাতের লিচু আকারে একটু বড়।
চাষীরা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও সার কীট নাশকের দাম সহজলভ্য হওয়ায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলার কামালমুড়া গ্রামের লিচুর চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, তার দুইটা বাগানে ৮০ -৯০টি লিচু গাছ আছে। গত ১০/১২দিন ধরে তিনি আউলিয়া বাজারে লিচু বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছেন তিনি।
একই এলাকার সোলেমান মিয়া. কাউছার মিয়া ফারুক ইসলামসহ একাধিক লিচু চাষী জানান, তারা প্রত্যেকেই এ পর্যন্ত দুই লাখ টাকার উপরে লিচু বিক্রি করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেন, ঈদের পর বাজার আরো ভালো হবে। তাদের বাগানে যে পরিমান লিচু আছে আরো ২০/২৫ দিন বিক্রি করতে পারবেন।

মুন্সীগঞ্জের লিচুর পাইকার অভিজিৎ রায় জানান, গত ৭ দিন ধরে তিনি এই বাজারে আসছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় লাখ টাকার লিচু তিনি কিনেন। এখানকার লিচু ভালো ও মিষ্টি হওয়ায় লিচু বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার ভিটিদাউদপুর গ্রামের লিচু চাষী সোলেমান মিয়া বলেন, এলাকার ছোট ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দামে লিচু কিনে বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। দালালদের জন্য চাষীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসন একটু তদারকি করলে দালালদের দৌরাত্ম কমে যাবে। চাষীরাও লাভবান হতে পারবে। ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাষী অভিযোগ করে বলেন, বাজারের ইজারার কারনে অনেক ব্যবসায়ী এখানে আসতে চায় না। বাজার ইজারামুক্ত হলে আউলিয়া বাজারে আরো বেশি ব্যবসায়ী আসতো।
আউলিয়া বাজারের ইজারা তোলার দায়িত্বে থাকা জসিম উদ্দিন জানান, বাজারটি সাড়ে তিন লাখ টাকায় ডেকে এনেছি। ভ্যাট ও কর মিলিয়ে চার লাখ টাকা পড়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা আদায় করা হয়।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় পাচঁ শতাধিক লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানে দেশী লিচু, এলাচি লিচু, চায়না লিচু, পাটনাই লিচু ও বোম্বাই লিচু চাষ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিচু গাছে মুকুল ও গুটি আসার পর স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার মহাজনের কাছে লিচু বাগান বিক্রি করা হয়।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার বলেন, দালাল ও ইজারার বিষয়ে লিচু চাষীদের কাছ থেকে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আবু নাসের জানান, কৃষি বিভাগ লিচু চাষীদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা করেছেন। এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫০ হেক্টর জমির বাগানে সাড়ে ৬শ মেট্রিক টন লিচুর উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন ॥ চাষীদের মুখে হাসি

সুমন আহম্মেদঃ
আগামী ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা ও বাঞ্চারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গত মঙ্গলবার প্রার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার এবং স্ব-স্ব উপজেলার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ১২ জন এবং বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বিজয়নগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, স্বতন্ত্র সৈয়দ মাঈনুদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, নাছিমা লুৎফুর রহমান ও এনামুল কবির। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মৃনাল চৌধুরী লিটন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও শাহনেওয়াজ তারেক।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুননাহার এবং সাবিত্রী রানী।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইদুল ইসলাম বকুল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার এবং খাদিজা আক্তার।

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
###

পঞ্চম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় ১৬ প্রার্থী

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ধান ক্রয়ে ভর্তুকিসহ কৃষকের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্সপার্টি বিজয়নগর উপজেলা শাখা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর থেকে লাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর উপজেলা সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, যুব মৈত্রীর আহবায়ক সম্পাদক সঞ্জয় পোদ্দার, কৃষক কুদ্দুস মিয়া, রায় মোহন চৌধুরী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না করা হলে কৃষক বাঁচবেনা। কৃষককে বাঁচাতে হলে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার জন্য ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে। বক্তারা বিদেশ থেকে চাল আমদানী বন্ধের জন্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
###

ধান ক্রয়ে ভর্তুকিসহ কৃষকের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে বিজয়নগরে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে আমরা..