বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমএ ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা

সুুমন আহম্মেদঃ
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়।প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ১৫/১৬টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়া নিয়ে ভাটারদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটাররা সকল নির্বাচনেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের দাবি জানান।

সকাল ৯টায় উপজেলার সিঙ্গারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রে উথারিয়াপাড়া গ্রামের ভোটার মোঃ আলমগীর জানান, তিনি খুব সহজেই ভোট দিতে পেরেছেন। কেন্দ্রটির বাইরে ভোট দেয়ার পদ্ধতির একাধিক ব্যানার দেখা যায়। সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল বাছেদ, শফিকুল ইসলামসহ অন্যদেরকে ভোট দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদেরকে বুঝিয়ে দিতে দেখা যায়।

উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটার বৃদ্ধ আবুল কালাম বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে তিনি খুব খুশী। তিনি বলেন, এইবার ভোট দিয়া শান্তি পাইছি। টিপ দেয়ার পরই আমার ছবি আইছে। আমার ভোট আমি দিছি। ইভিএমএ কোনো চুরি সুযোগ নাই। ইভিএমএ তাঁদের আস্থার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা।

এমনকি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ পদ্ধতিতে ভোট দানে স্বস্থি ও আস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে কেউ কেউ কিছু জটিলতার কথাও উল্লেখ করেছেন। আঙ্গুলের ছাপ বারবার দিয়েও না মিল পাওয়া, আগে থেকে জানা না থাকায় ভোট প্রদানে বিলম্ব, ভোটার নম্বর না থাকায় বুথ খোঁজে না পাওয়ায় জটিলতা সৃষ্টির কথা বলেছেন অনেকে। আগে থেকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় এ ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে অনেকের মত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দান পদ্ধতি খুবই স্বচ্ছ ও সহজ। প্রথমে ভোটার যাচাই মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিবে। আঙ্গুলের ছাপ নিশ্চিত হওয়ার পর তার ছবি ও পরিচিতি স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। এরপর তিনি গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিবেন। সেখানে তিন পদের প্রার্থীর জন্য তিনটি মেশিন রাখা। প্রার্থীদের প্রতীক বরাবর সাদা বাটনে চেপে নিশ্চিত করার জন্য সবুজ বাটনে চাপবেন। ভোটারের ভোটটি নিশ্চিত হওয়ার পর ভোট দেয়া সম্পন্ন হয়ে বলে লেখা উঠে। কেউ সঠিকভাবে ভোট না দেয়া পর্যন্ত লেখাটি উঠবে না।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ইভিএম’এর মনিটর নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এই কেন্দ্রে ১ ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিলো।
বিজয়নগরে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ৩৬৩ জন। তবে গতকাল ৪০ ভাগের মতো ভোট পড়বে বলে ধারণা পাওয়া যায়।
এদিকে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..